সাইদের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি-আদালতে মামলা করা হবে : পরিবার
কারা হেফাজতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুরের স্বামী হাসান সাইদের মৃত্যুরহস্যের জট এখনো খোলেনি। এ ঘটনায় সাইদের পরিবারের পক্ষ থেকে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে রুমানা ও কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সাইদের পরিবার তাঁর মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশ সাইদের পরিবার থেকে দায়ের করা জিডির তদন্ত
করছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাইদের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্ত্রী রুমানা ও কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার অভিযোগ এনেছে পরিবার। এ ছাড়া রুমানার সঙ্গে ইরানি যুবক নাভিদের প্রেমের সম্পর্কের তথ্য পাওয়া গেছে। রুমানা ও নাভিদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ই-মেইলে প্রকাশ করা হয়েছে। সাইদের পরিবারের কাছেও রুমানা ও নাভিদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি রয়েছে। ইরানি ছেলেকে মেইলে লেখা রুমানার একটি চিঠি থেকেও তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। চিঠিটি বাংলা অনুবাদ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চিঠি, ছবি ও সাইদের মৃত্যুর ঘটনায় রুমানার জড়িত থাকার বিষয়ে পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর পরিবাগের বাসায় নিহত সাইদের বাবা সৈয়দ আহম্মেদ কবির সাংবাদিকদের জানান, সাইদের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করতে আদালতে মামলা করা হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, 'সাইদের রহস্যজনক মৃত্যুর পেছনে কারা কর্তৃপক্ষ ও অদৃশ্যশক্তি কাজ করেছে। ওদের হাত অনেক লম্বা, তাদের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই সর্বোচ্চ বিচারালয়ের কাছে প্রার্থনা করব, যেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।'
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদারকি কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তিন ধরনের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের হয়ে পড়বে। লাশের ময়নাতদন্ত, ভিসেরা ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল রিপোর্টেই মৃত্যুর ধরন ও কারণ জানা যাবে। তিনি আরো বলেন, সাইদের মুখে পেঁচানো পলিথিন ব্যাগ ও হাতে বাঁধা দড়ি জব্দ আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে কারা নিয়ন্ত্রিত বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলের বাথরুম থেকে হাসান সাইদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাইদের দুই হাত রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে পলিথিনের ব্যাগ পেঁচানো ছিল।
গতকাল রাজধানীর পরিবাগের বাসায় নিহত সাইদের বাবা সৈয়দ আহম্মেদ কবির সাংবাদিকদের জানান, সাইদের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটন করতে আদালতে মামলা করা হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, 'সাইদের রহস্যজনক মৃত্যুর পেছনে কারা কর্তৃপক্ষ ও অদৃশ্যশক্তি কাজ করেছে। ওদের হাত অনেক লম্বা, তাদের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই সর্বোচ্চ বিচারালয়ের কাছে প্রার্থনা করব, যেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।'
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদারকি কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তিন ধরনের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের হয়ে পড়বে। লাশের ময়নাতদন্ত, ভিসেরা ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল রিপোর্টেই মৃত্যুর ধরন ও কারণ জানা যাবে। তিনি আরো বলেন, সাইদের মুখে পেঁচানো পলিথিন ব্যাগ ও হাতে বাঁধা দড়ি জব্দ আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে কারা নিয়ন্ত্রিত বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলের বাথরুম থেকে হাসান সাইদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাইদের দুই হাত রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে পলিথিনের ব্যাগ পেঁচানো ছিল।
No comments