খনি নিয়ে সংকট-পেরুর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
পেরুর প্রধানমন্ত্রী সালোমন লারনার পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের ধারণা, নতুন একটি স্বর্ণ ও তামার খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিক্ষোভ আলোচনার মাধ্যমে নিরসনে ব্যর্থ হয়ে এ পদ ছাড়লেন তিনি। লারনারের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের পর গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসকার ভালদেসকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে লারনারের পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা
বলা হয়। একই সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ভালদেসের নামও ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। পেরুর আইনানুসারে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে পুরো মন্ত্রিসভাই ভেঙে গেল। প্রেসিডেন্ট এখন নতুন করে তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন করবেন।
লারনার পদত্যাগ করলেও তাঁর এ সিদ্ধান্তের কারণ সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন হুমালা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রচার কর্মকর্তা ছিলেন কোটিপতি এই ব্যবসায়ী লারনার। গত সপ্তাহে হুমালা দেশের উত্তরাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ওই এলাকায় বড় ধরনের স্বর্ণ ও তামার খনি প্রতিষ্ঠার একটি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন থেকে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রকল্পটি স্থবির হয়ে পড়ে। মার্কিন কম্পানি নিউমন্ট মাইনিং করপোরেশন 'কঙ্গা গোল্ড মাইন' নামের এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। প্রেসিডেন্ট এ প্রকল্পের ব্যাপারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পেঁৗছানোর চেষ্টা চালান। সমঝোতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় লারনারকে। কিন্তু এ ব্যাপারে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। গত সপ্তাহেও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে বিক্ষোভকারীদের। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত এ ব্যর্থতার কারণেই সরে যেতে হলো তাঁকে।
প্রেসিডেন্ট মনে করেন, কঙ্গা প্রকল্প দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হবে। বর্তমান বাজারদর অনুসারে, এ খনিতে দেড় হাজার কোটি ডলার মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলের খনিসমৃদ্ধ কাজামারসা এলাকার মানুষ মনে করে, এই খনির কাজ শুরু হলে তা পরিবেশ দূষণ ঘটাবে এবং তাদের পানি সরবরাহব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
লারনার পদত্যাগ করলেও তাঁর এ সিদ্ধান্তের কারণ সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন হুমালা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রচার কর্মকর্তা ছিলেন কোটিপতি এই ব্যবসায়ী লারনার। গত সপ্তাহে হুমালা দেশের উত্তরাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ওই এলাকায় বড় ধরনের স্বর্ণ ও তামার খনি প্রতিষ্ঠার একটি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন থেকে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রকল্পটি স্থবির হয়ে পড়ে। মার্কিন কম্পানি নিউমন্ট মাইনিং করপোরেশন 'কঙ্গা গোল্ড মাইন' নামের এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। প্রেসিডেন্ট এ প্রকল্পের ব্যাপারে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পেঁৗছানোর চেষ্টা চালান। সমঝোতা করার দায়িত্ব দেওয়া হয় লারনারকে। কিন্তু এ ব্যাপারে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। গত সপ্তাহেও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে বিক্ষোভকারীদের। ধারণা করা হচ্ছে, মূলত এ ব্যর্থতার কারণেই সরে যেতে হলো তাঁকে।
প্রেসিডেন্ট মনে করেন, কঙ্গা প্রকল্প দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হবে। বর্তমান বাজারদর অনুসারে, এ খনিতে দেড় হাজার কোটি ডলার মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলের খনিসমৃদ্ধ কাজামারসা এলাকার মানুষ মনে করে, এই খনির কাজ শুরু হলে তা পরিবেশ দূষণ ঘটাবে এবং তাদের পানি সরবরাহব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
No comments