দুটি কিলার গ্রুপ ভাড়া করা হয়
নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডে দুটি কিলিং গ্রুপ জড়িত ছিল। একটির নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা ও অপরটির নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা আশরাফ সরকার। লোকমানকে গুলি করে মোবার নিয়োজিত কিলার শরিফ। মুখে দাড়ি থাকা ওই যুবক প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর তাবলিগে যোগদান করে। গ্রেফতারকৃত আসামি কাজী টিপ্পনই তাকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন আগে সর্বশেষ বৈঠক হয় নরসিংদীর একটি বিশেষ বাড়িতে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোবাসহ হাতেগোনা কয়েকজন। মামলার তদন্ত সূত্র এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে। হত্যাকাণ্ডে মন্ত্রী রাজুর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। অপরদিকে আজ সোমবার পুলিশ লোকমান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, লোকমান হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। কী কারণে
লোকমানকে হত্যা, কারা টাকার জোগান দিয়েছে, কিলিং মিশনে কারা অংশ নিয়েছিল_ বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। কিলার শরীফকে গ্রেফতারের বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে জানা যাবে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে গ্রেফতারকৃত কাজী আলমকে গতকাল রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নরসিংদীর শিক্ষার্থীরা।
লোকমান হত্যা সম্পর্কে একটি সূত্র জানায়, লোকমান হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে অনেকেই জড়িত। অবশ্য তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করা কঠিন। এক বছর আগে পরিকল্পনা শুরু। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আশরাফ সরকারকে। আশরাফ সরকার ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাজী ফারুককে টাকা দিয়ে প্রথম দফায় ব্যর্থ হন। পরে মোবারক হোসেন মোবা নিজেই কিলার গ্রুপ ভাড়া করেন। এ জন্য মোবা নরসিংদীর বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে আশরাফ তার মতো করে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। দুই গ্রুপ একই দিন লোকমানকে হত্যায় অংশ নেয়। ঘটনার দিন মোবার ভগি্নপতি কাজী আলম মেয়র লোকমানকে অনুসরণ করার দায়িত্ব পালন করে। লোকমানকে গুলি করার ৫-৭ মিনিট আগে কাজী টিপ্পন মোটরসাইকেল চালিয়ে শরীফকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। মুখোশ পরে শরীফ রিভলবার দিয়ে লোকমানকে গুলি করে।
মন্ত্রীর ভাই বাচ্চু জড়িত থাকার ব্যাপারে সূত্র জানায়, আশরাফ সরকারের সঙ্গে সালাহউদ্দিন বাচ্চুর সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। বাচ্চুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল মোবার। আবার বাচ্চুর সঙ্গে লোকমানের বিরোধ ছিল চরমে। লোকমান হত্যার সঙ্গে বাচ্চুর সম্পৃক্ততার বিষয়টি মোবারক হোসেন মোবাই নিশ্চিত করতে পারবেন। মোবা দেশত্যাগ করার আগের দিন দীর্ঘক্ষণ বাচ্চুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
লোকমান হত্যার বিচার দাবি : মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নরসিংদীর শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে লোকমানের ছোট ভাই শামীম নেওয়াজ অংশ নেন।
সূত্র জানিয়েছে, লোকমান হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। কী কারণে
লোকমানকে হত্যা, কারা টাকার জোগান দিয়েছে, কিলিং মিশনে কারা অংশ নিয়েছিল_ বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। কিলার শরীফকে গ্রেফতারের বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে জানা যাবে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে গ্রেফতারকৃত কাজী আলমকে গতকাল রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নরসিংদীর শিক্ষার্থীরা।
লোকমান হত্যা সম্পর্কে একটি সূত্র জানায়, লোকমান হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে অনেকেই জড়িত। অবশ্য তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করা কঠিন। এক বছর আগে পরিকল্পনা শুরু। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আশরাফ সরকারকে। আশরাফ সরকার ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাজী ফারুককে টাকা দিয়ে প্রথম দফায় ব্যর্থ হন। পরে মোবারক হোসেন মোবা নিজেই কিলার গ্রুপ ভাড়া করেন। এ জন্য মোবা নরসিংদীর বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা সংগ্রহ করেন। অন্যদিকে আশরাফ তার মতো করে টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। দুই গ্রুপ একই দিন লোকমানকে হত্যায় অংশ নেয়। ঘটনার দিন মোবার ভগি্নপতি কাজী আলম মেয়র লোকমানকে অনুসরণ করার দায়িত্ব পালন করে। লোকমানকে গুলি করার ৫-৭ মিনিট আগে কাজী টিপ্পন মোটরসাইকেল চালিয়ে শরীফকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। মুখোশ পরে শরীফ রিভলবার দিয়ে লোকমানকে গুলি করে।
মন্ত্রীর ভাই বাচ্চু জড়িত থাকার ব্যাপারে সূত্র জানায়, আশরাফ সরকারের সঙ্গে সালাহউদ্দিন বাচ্চুর সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। বাচ্চুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল মোবার। আবার বাচ্চুর সঙ্গে লোকমানের বিরোধ ছিল চরমে। লোকমান হত্যার সঙ্গে বাচ্চুর সম্পৃক্ততার বিষয়টি মোবারক হোসেন মোবাই নিশ্চিত করতে পারবেন। মোবা দেশত্যাগ করার আগের দিন দীর্ঘক্ষণ বাচ্চুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
লোকমান হত্যার বিচার দাবি : মেয়র লোকমান হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নরসিংদীর শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে লোকমানের ছোট ভাই শামীম নেওয়াজ অংশ নেন।
No comments