সেনা-ছাত্র সংষর্ষ-জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না : মতিন
বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা সদস্যদের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ওই সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন। গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম অফিসে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি তাঁর এই অবস্থানের কথা জানান। বিজ্ঞপ্তিতে এম এ মতিন বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ঘটনার সময় আমি যোগাযোগ, নৌপরিবহন,
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম। আর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাই ২০০৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে এই ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।'
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও সেনা সদস্যদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সহিংসতা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভাগীয় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় ছয় বিভাগীয় শহরে কারফিউ জারি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫৩টি মামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় করা হয়। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক করে গঠিত চার সদস্যের ওই উপকমিটি গত ৮ ডিসেম্বর এ ঘটনার জন্য বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তখনকার প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়ী করেছে। তাঁদের মধ্যে এম এ মতিন ছাড়াও আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। এসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ফখরুদ্দীন ও মইন উ আহমেদ বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
এ সুপারিশ করার তিন দিন পর গতকাল সাবেক উপদেষ্টা মতিন তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে পত্রিকায় বিবৃতি দিলেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এম এ মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অকারণে আমাকে জনসম্মুখে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমি কোনোভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না।' এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি।'
লিখিত বক্তব্যে মতিন বলেন, 'সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত সংসদীয় উপকমিটি আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন কিংবা এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের কোনো সুযোগ দেয়নি। বরং বলা চলে, মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণপূর্বক সংসদীয় উপকমিটি আমার অজান্তেই ঢাবিতে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে সংঘটিত সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করে এবং তৎপ্রেক্ষিতে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সুপারিশ করে।'
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মতিন দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে আটক ছাত্র-শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের দুটি সভায় জোর সুপারিশ করেছিলেন। তারই ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির অল্প সময়ের মধ্যে সরকার এ সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে উপনীত হতে সমর্থ হয়েছিল।
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও সেনা সদস্যদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সহিংসতা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভাগীয় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় ছয় বিভাগীয় শহরে কারফিউ জারি করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫৩টি মামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় করা হয়। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষককে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়।
ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট সংসদীয় উপকমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে আহ্বায়ক করে গঠিত চার সদস্যের ওই উপকমিটি গত ৮ ডিসেম্বর এ ঘটনার জন্য বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও তখনকার প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়ী করেছে। তাঁদের মধ্যে এম এ মতিন ছাড়াও আছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ ও সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ। এসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ফখরুদ্দীন ও মইন উ আহমেদ বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
এ সুপারিশ করার তিন দিন পর গতকাল সাবেক উপদেষ্টা মতিন তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে পত্রিকায় বিবৃতি দিলেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এম এ মতিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অকারণে আমাকে জনসম্মুখে হেনস্তা করা হচ্ছে। আমি কোনোভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না।' এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি।'
লিখিত বক্তব্যে মতিন বলেন, 'সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত সংসদীয় উপকমিটি আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থন কিংবা এ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের কোনো সুযোগ দেয়নি। বরং বলা চলে, মিথ্যাচারের আশ্রয় গ্রহণপূর্বক সংসদীয় উপকমিটি আমার অজান্তেই ঢাবিতে ২০০৭ সালের আগস্ট মাসে সংঘটিত সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমাকে অভিযুক্ত করে এবং তৎপ্রেক্ষিতে আইনের আওতায় এনে শাস্তির সুপারিশ করে।'
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মতিন দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে তিনি সেনা-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে আটক ছাত্র-শিক্ষকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের দুটি সভায় জোর সুপারিশ করেছিলেন। তারই ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির অল্প সময়ের মধ্যে সরকার এ সমস্যার একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে উপনীত হতে সমর্থ হয়েছিল।
No comments