বন্ধুই বন্ধু, বন্ধুই শত্রু
১. জুবায়েরের বাবার হার্টে অপারেশন করা প্রয়োজন। কিন্তু জুবায়েরের কাছে এত টাকা নেই। তাই তিনি পরিচিতজনের কাছে সাহায্য চাইতে শুরু করলেন। টাকা সংগ্রহের জন্য জুবায়ের যখন নানাজনের কাছে হন্যে হয়ে ঘুরছেন, কিন্তু কারও কাছেই পাচ্ছেন না_ ঠিক তখন এগিয়ে এলেন তানভীর। তানভীর জুবায়েরের বন্ধু। তার আর্থিক অবস্থাও যে খুব একটা ভালো তা কিন্তু নয়। টিউশনি করে নিজের খরচ চালান। সেখান থেকে বাঁচিয়ে কিছু টাকা
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের কাছে পাঠান আর কিছু সঞ্চয় করেন। বন্ধুর বাবার অসুস্থতার খবর শুনে তানভীর নিজের সব সঞ্চয় দিয়ে দিলেন। তারপর সেই টাকায় অপারেশন হলো। জুবায়েরের বাবা একসময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেন।
২.
একদিন জুবায়ের আর রাতুল দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলল। চোখের পলকে লোকগুলো রাতুলের হাতে হাতকড়া পরিয়ে ফেলল। একটু পরে পুলিশ তার হাতেও হাতকড়া লাগাল। অনেক অনুনয় করলেন কিন্তু কোনো কাজই হলো না। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেল। সেখানে বসেই জানলেন, রাতুল একটি চরমপন্থি দলের সদস্য। রাতুলের সঙ্গে থাকায় পুলিশ তাকেও এই দলের সদস্য হিসেবে ধরে এনেছে।
আমরা সামাজিক জীব। আমাদের জীবনের নানা পর্যায়ে নানাজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়। এই বন্ধুদের কেউ কেউ হয়ে উঠে উপকারী, কেউবা ক্ষতির কারণ। জুবায়েরের ঘটনা দুটো খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন এক ব্যক্তির জীবনে দু'জন বন্ধু কীভাবে প্রভাব ফেলেছে। তানভীরের কারণে জুবায়ের মৃত্যুর হাত থেকে তার বাবাকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হলেও আরেক বন্ধু রাতুলের কারণে দোষ না করেও তিনি এখন জেলে। সে কারণে বন্ধু নির্বাচনে হতে হবে সতর্ক। সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ_ এ কথা আমাদের সমাজে সে কারণেই প্রচলিত হয়ে আছে।
বন্ধুত্ব করার আগে সেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, লেখাপড়া, আচার ব্যবহারসহ কথাবার্তার ধরনও গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এমনকি সেই ব্যক্তির অন্য বন্ধুরা কেমন সেটাও দেখতে হবে। আজকাল দুর্বৃত্তরা বন্ধুত্বের পবিত্র সম্পর্ককে পুঁজি করে নানা রকম প্রতারণামূলক কাজ করছে। ইদানীং ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসসহ অন্যান্য সোশ্যাল ওয়েবসাইটের কল্যাণে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে বন্ধুর সংখ্যা। এসব বন্ধুর অধিকাংশকেই আমরা চিনি না। এমনকি চেনার চেষ্টাও করি না। অথচ দিনের পর দিন আমরা সেই সব অচেনা বন্ধুর সঙ্গে ছবি শেয়ারিং করি, তাদের স্ট্যাটাসে কমেন্টস করি, তাদের ওয়ালে স্ট্যাটাস দেই আরও কত কি। তারপর একদিন সামনা সামনি দেখাও হয়ে যায়। বন্ধুত্ব গাঢ় থেকে গাঢ় হতে থাকে। তারপর ঘটে যায় অবাঞ্ছিত কোনো ঘটনা।
তাই বলতে চাই, এসো বন্ধু, বন্ধু নির্বাচনে আরও সতর্ক হই।
২.
একদিন জুবায়ের আর রাতুল দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলল। চোখের পলকে লোকগুলো রাতুলের হাতে হাতকড়া পরিয়ে ফেলল। একটু পরে পুলিশ তার হাতেও হাতকড়া লাগাল। অনেক অনুনয় করলেন কিন্তু কোনো কাজই হলো না। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেল। সেখানে বসেই জানলেন, রাতুল একটি চরমপন্থি দলের সদস্য। রাতুলের সঙ্গে থাকায় পুলিশ তাকেও এই দলের সদস্য হিসেবে ধরে এনেছে।
আমরা সামাজিক জীব। আমাদের জীবনের নানা পর্যায়ে নানাজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়। এই বন্ধুদের কেউ কেউ হয়ে উঠে উপকারী, কেউবা ক্ষতির কারণ। জুবায়েরের ঘটনা দুটো খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন এক ব্যক্তির জীবনে দু'জন বন্ধু কীভাবে প্রভাব ফেলেছে। তানভীরের কারণে জুবায়ের মৃত্যুর হাত থেকে তার বাবাকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হলেও আরেক বন্ধু রাতুলের কারণে দোষ না করেও তিনি এখন জেলে। সে কারণে বন্ধু নির্বাচনে হতে হবে সতর্ক। সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ_ এ কথা আমাদের সমাজে সে কারণেই প্রচলিত হয়ে আছে।
বন্ধুত্ব করার আগে সেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, লেখাপড়া, আচার ব্যবহারসহ কথাবার্তার ধরনও গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এমনকি সেই ব্যক্তির অন্য বন্ধুরা কেমন সেটাও দেখতে হবে। আজকাল দুর্বৃত্তরা বন্ধুত্বের পবিত্র সম্পর্ককে পুঁজি করে নানা রকম প্রতারণামূলক কাজ করছে। ইদানীং ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসসহ অন্যান্য সোশ্যাল ওয়েবসাইটের কল্যাণে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে বন্ধুর সংখ্যা। এসব বন্ধুর অধিকাংশকেই আমরা চিনি না। এমনকি চেনার চেষ্টাও করি না। অথচ দিনের পর দিন আমরা সেই সব অচেনা বন্ধুর সঙ্গে ছবি শেয়ারিং করি, তাদের স্ট্যাটাসে কমেন্টস করি, তাদের ওয়ালে স্ট্যাটাস দেই আরও কত কি। তারপর একদিন সামনা সামনি দেখাও হয়ে যায়। বন্ধুত্ব গাঢ় থেকে গাঢ় হতে থাকে। তারপর ঘটে যায় অবাঞ্ছিত কোনো ঘটনা।
তাই বলতে চাই, এসো বন্ধু, বন্ধু নির্বাচনে আরও সতর্ক হই।
No comments