দুস্থ মহিলাদের অর্থ লুট-নিরীক্ষা ও পরিদর্শনে ঘাটতি রয়েছে
এনজিওর অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। বরং সাধারণ্যের ধারণায় আছে, অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই। কিন্তু কালের কণ্ঠের এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে 'ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট ফর দি আল্ট্রা পুওর' প্রকল্পের বড় অঙ্কের অর্থের এক-তৃতীয়াংশই খেয়ে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলো। এমন পুকুরচুরির ঘটনা বর্তমান সময়ে কমই শোনা যায়।
বাস্তবায়নে নিয়োজিত চারটি সংস্থার মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল উত্তরায়ন জনকল্যাণ মহিলা সমিতি বা ইউজেএমএস। পত্রিকার রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, 'স্থায়ী সম্পদ' গড়ার লক্ষ্যে হতদরিদ্র প্রতি দুস্থ মহিলার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা। কিন্তু ইউজেএমএস প্রতি মহিলাকে দিয়েছে দেড় হাজার টাকারও কম মূল্যের ছাগল, যার অধিকাংশই অসুস্থ। নগদ বিতরণের জন্য মাথাপিছু এক হাজার ৯০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭৫০ টাকা করে। অন্যদিকে ইউজেএমএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেশ ফাউন্ডেশনের হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণে এক হাজার ২০০ দুস্থ মহিলা গত তিন মাসেও তাঁদের জন্য বরাদ্দকৃত মাথাপিছু ৯০০ টাকা করে অর্থ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব অসংগতি নিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করে চলেছেন।
হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ এই অর্থ বিতরণে কে বা কারা কোন ধরনের অনিয়ম করেছেন, তা সরকারের যথাযথ সংস্থা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। আমরা মনে করি, এসব অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দেশে স্বাস্থ্য, নারী, দুস্থ নারী, শিশু, কৃষি, শিক্ষাসহ বহু বিষয়ে হাজার হাজার এনজিও কর্মরত রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা এনজিও নিবন্ধন নিয়েছে স্বাধীনতার পর চার দশকে। এর মধ্যে আবার ২৫ হাজার এনজিওর কোনো কাজ নেই। এসব এনজিওর মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। খোদ কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, দেশে স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ_দুই ধরনের এনজিও রয়েছে। সুতরাং অনিয়মকারী, অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন বাতিল করে ঝেড়ে ফেলা এখন দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য অতিজরুরি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নিয়ে এনজিওগুলো কাজ করে থাকে। তাদের অর্থসহায়তা যখন এনজিওগুলো তসরুফ করে, তখন ওসব জনগোষ্ঠী তা বুঝতে পারে না। আমরা মনে করি, এ কারণে সব ধরনের এনজিওকে নিবিড়ভাবে নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের আওতায় এনে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের সেবায় তৎপর হবে।
হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ এই অর্থ বিতরণে কে বা কারা কোন ধরনের অনিয়ম করেছেন, তা সরকারের যথাযথ সংস্থা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। আমরা মনে করি, এসব অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দেশে স্বাস্থ্য, নারী, দুস্থ নারী, শিশু, কৃষি, শিক্ষাসহ বহু বিষয়ে হাজার হাজার এনজিও কর্মরত রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বা এনজিও নিবন্ধন নিয়েছে স্বাধীনতার পর চার দশকে। এর মধ্যে আবার ২৫ হাজার এনজিওর কোনো কাজ নেই। এসব এনজিওর মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। খোদ কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, দেশে স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ_দুই ধরনের এনজিও রয়েছে। সুতরাং অনিয়মকারী, অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন বাতিল করে ঝেড়ে ফেলা এখন দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য অতিজরুরি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী নিয়ে এনজিওগুলো কাজ করে থাকে। তাদের অর্থসহায়তা যখন এনজিওগুলো তসরুফ করে, তখন ওসব জনগোষ্ঠী তা বুঝতে পারে না। আমরা মনে করি, এ কারণে সব ধরনের এনজিওকে নিবিড়ভাবে নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের আওতায় এনে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের সেবায় তৎপর হবে।
No comments