ডারবানে শেষ মুহূর্তে চুক্তি-কার্বন নিঃসরণ কমাতে রাজি সব দেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছিল। কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হতে যাচ্ছিল সম্মেলন। তবে শেষ রক্ষা হয়েছে শেষ মুহূর্তের চুক্তিতে। ধরিত্রী রক্ষায় গতকাল রবিবার 'ডারবান রোডম্যাপ' নামে এক ঐতিহাসিক চুক্তি সই করেছে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। চুক্তি অনুযায়ী প্রথমবারের মতো বিশ্বের প্রতিটি দেশ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনবে।
আগামী বছর থেকে এ কাজ শুরু হলেও চলবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। আর তা কার্যকর হবে ২০২০ সালে। এ জন্য সমালোচকরা একে খুব বেশি অগ্রগতি বলে মানতে নারাজ।
এর আগে কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব দেশকেই কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে শক্তিধর হিসেবে আবির্ভূত হতে যাওয়া দেশগুলো এর বিরোধিতা করে। ভারত তো সম্মেলন থেকে ওয়াকআউট করারও হুমকি দিয়েছিল। এতে ধরে নেওয়া হয়েছিল সম্মেলনই হয়তো ভেস্তে যাবে।
প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা খালি হাতেই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ দিকে নারী মন্ত্রীরা উঠেপড়ে লাগেন সমঝোতায় আসতে। তাঁরা অন্যদের এক রকম বাধ্য করেন চুক্তি করতে। 'ধরিত্রী রক্ষায় ১০ মিনিট' শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ ফিরে পায় সম্মেলন। চুক্তি হওয়ায় করতালির মধ্য দিয়েই শেষ হয় সম্মেলন।
সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, ডারবান রোডম্যাপ খুব একটা শক্ত কোনো চুক্তি নয়। কেননা এতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বাধ্যবাধতার সময়সীমা অনেক দূরের বিষয়। আর তাতে তাপমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রা দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের বেশি বৃদ্ধি ঠেকানো সহজ হবে না।
তবে সম্মেলনের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যুক্তরাজ্যের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিউন একে 'বিশাল অগ্রগতি' বলে মন্তব্য করেছেন। ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের সর্বশেষ শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর এটি উল্লেখযোগ্য সফল বলে মনে করছেন তিনি। ব্রিটিশ ওই মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে যত কার্বন নিঃসরণ হয়, এর প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। তারা এখন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে।
শেষ মুহূর্তে চুক্তি হওয়ায় সম্মেলন সফল দাবি করে উৎফুল্ল দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী মাইতি একোয়ানা-মাসাবানে বলেন, 'আমরা এখানে জড়ো হয়েছিলাম একটি পরিকল্পনা নিয়ে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটি শেষ হয়েছে। আমরা ইতিহাস রচনা করলাম।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, ডেইলি মেইল ও দ্য হিন্দু অনলাইন।
এর আগে কিয়োটো প্রটোকল অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব দেশকেই কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য চাপ দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে শক্তিধর হিসেবে আবির্ভূত হতে যাওয়া দেশগুলো এর বিরোধিতা করে। ভারত তো সম্মেলন থেকে ওয়াকআউট করারও হুমকি দিয়েছিল। এতে ধরে নেওয়া হয়েছিল সম্মেলনই হয়তো ভেস্তে যাবে।
প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা খালি হাতেই দেশে ফিরতে যাচ্ছেন। কিন্তু শেষ দিকে নারী মন্ত্রীরা উঠেপড়ে লাগেন সমঝোতায় আসতে। তাঁরা অন্যদের এক রকম বাধ্য করেন চুক্তি করতে। 'ধরিত্রী রক্ষায় ১০ মিনিট' শীর্ষক আলোচনায় প্রাণ ফিরে পায় সম্মেলন। চুক্তি হওয়ায় করতালির মধ্য দিয়েই শেষ হয় সম্মেলন।
সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, ডারবান রোডম্যাপ খুব একটা শক্ত কোনো চুক্তি নয়। কেননা এতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বাধ্যবাধতার সময়সীমা অনেক দূরের বিষয়। আর তাতে তাপমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রা দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের বেশি বৃদ্ধি ঠেকানো সহজ হবে না।
তবে সম্মেলনের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যুক্তরাজ্যের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিউন একে 'বিশাল অগ্রগতি' বলে মন্তব্য করেছেন। ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের সর্বশেষ শীর্ষ পর্যায়ের সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর এটি উল্লেখযোগ্য সফল বলে মনে করছেন তিনি। ব্রিটিশ ওই মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে যত কার্বন নিঃসরণ হয়, এর প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। তারা এখন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে।
শেষ মুহূর্তে চুক্তি হওয়ায় সম্মেলন সফল দাবি করে উৎফুল্ল দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রী মাইতি একোয়ানা-মাসাবানে বলেন, 'আমরা এখানে জড়ো হয়েছিলাম একটি পরিকল্পনা নিয়ে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটি শেষ হয়েছে। আমরা ইতিহাস রচনা করলাম।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি, ডেইলি মেইল ও দ্য হিন্দু অনলাইন।
No comments