র ঙ বে র ঙ-ভারোত্তোলনে পতঙ্গই সেরা!
পৃথিবীর স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর মধ্যে হাতি, তিমি, ঘোড়া ও গোরিলার অস্বাভাবিক শক্তি ও ক্ষমতার কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু অতি ক্ষুদ্র কীট-পতঙ্গের শক্তি ও ক্ষমতার কথা জানতে পারলে আমাদের অবাক হতে হয়। চেহারা বা আকৃতি অনুপাতে পতঙ্গের শক্তি ও ক্ষমতা সত্যিই বিস্ময়কর। পতঙ্গের কী ক্ষমতা তা অনুমান করা যায় প্রাণীগুলোর লাফানো, কোনো কিছু টেনে তোলা এবং টানার দক্ষতা দেখে। লাফানোতে অস্বাভাবিক ক্ষমতার যথেষ্ট কৃতিত্বের দাবি
রাখে ক্ষুদ্র পতঙ্গ স্প্রিং টেল। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৫ মিলিমিটার। কিন্তু প্রাণীটি নিজের দৈর্ঘ্যের প্রায় ৪০ গুণ বেশি লাফিয়ে যেতে পারে! আরেকটি পতঙ্গ হলো উইংলেস। এটির পায়ের দৈর্ঘ্য ১ ইঞ্চির ২০ ভাগের এক ভাগ। ক্ষুদ্র পা হলে কী হবে, উইংলেস দীর্ঘ লম্ফনে প্রায় ১ ফুট এবং উচ্চ লম্ফনে ৪ ইঞ্চি যেতে পারে। পতঙ্গের আকৃতি ও ক্ষমতার সঙ্গে যদি মানুষের আকৃতি ও ক্ষমতার তুলনামূলক বিচার করা যায়, তাহলে একজন মানুষের ৭০০ ফুট দীর্ঘ ও ৪৫০ ফুট উঁচুতে লাফাতে পারা উচিত। লাফানোতে যে পতঙ্গটিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলা যেতে পারে, সেটির নাম গ্রাসহুপার। এটির দৈর্ঘ্য ১ ইঞ্চির একটু বেশি। কিন্তু এক লাফে এটি অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারে প্রায় ৩০ ইঞ্চি পথ। তুলনামূলক বিচারে সমান ক্ষমতাসম্পন্ন একজন মানুষের দুটি ফুটবল মাঠ যোগ করলে যতটা দূরত্ব হয়, এক লাফে ততটা দূরত্ব পেরিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্যক্তিটি এক লাফে মাত্র ২৭ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৭ ফুট উচ্চতায়
লাফাতে পারে।
লাফানোর মতো কোনো বস্তু টেনে নিয়ে যাওয়ার বিস্ময়কর ক্ষমতার অধিকারী পতঙ্গরা। যেখানে একটি ঘোড়া তার ওজনের অর্ধেক বস্তু টানতে পারে, সেখানে একটি মৌমাছি তার ওজনের প্রায় ৩০০ গুণ বেশি ওজনের বস্তু টেনে নিয়ে যেতে পারে। আর এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। বাস্বেল বী নামে এক প্রজাতির পতঙ্গ আছে, যেগুলো নিজের ওজনের ১৬ গুণ এবং বেটসি বিটল নামের পতঙ্গ নিজ শরীরের ওজনের প্রায় সাড়ে ৭ গুণ বেশি ওজনের বস্তু অনায়াসে টেনে নিয়ে যেতে পারে। পতঙ্গের ক্ষমতা সাধারণভাবে এতই আশ্চর্যজনক যে, একটি দুর্বল পতঙ্গও তার ওজনের অন্তত ২০ গুণ বেশি ওজন টানার ক্ষমতা রাখে। তুলনামূলক বিচারে একটি ঘোড়া তার ওজনের ০.৫ থেকে ০.৮৩ গুণ এবং মানুষ তার ওজনের ০.৮৬ গুণের বেশি ওজন টানতে পারে।
উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফে পতঙ্গের ক্ষমতায় আমরা যেমন আশ্চর্য হই, কোনো বস্তু টেনে নিয়ে যাওয়ায় পতঙ্গের অস্বাভাবিক ক্ষমতা আমাদের তেমনি বিস্মিত করে। একইভাবে ভারি কোনো বস্তু টেনে তোলার ক্ষেত্রে পতঙ্গের পারদর্শিতাও অবিশ্বাস্য! হারভেস্টার আ্যান্ট শ্রেণীর পতঙ্গ তার ওজনের প্রায় ৫০ গুণ বেশি ওজনের বস্তু অনায়াসে তুলতে পারে। তুলনা করলে একজন মানুষের উচিত ৪ টন ওজনের বস্তু তুলে ফেলা। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এবিটল শ্রেণীর যে পতঙ্গগুলো পৃথিবীতে এখনও বর্তমান, সেগুলো নিজ দেহের তুলনায় প্রায় ৮৫০ গুণ বেশি ওজন বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে! যা-ই ভাবুন না কেন, এ ক্ষেত্রে একজন মানুষের কিন্তু উচিত ৬২ টন ওজনের কোনো বস্তু মাথায় তুলে হাঁটা। কিন্তু তা কি সম্ভব? পতঙ্গের শারীরিক গঠন ও ওজনের অনুপাতে তাদের শক্তি ও ক্ষমতা আসলেই আমাদের বিস্মিত করে।
ফয়সাল আহমেদ
লাফাতে পারে।
লাফানোর মতো কোনো বস্তু টেনে নিয়ে যাওয়ার বিস্ময়কর ক্ষমতার অধিকারী পতঙ্গরা। যেখানে একটি ঘোড়া তার ওজনের অর্ধেক বস্তু টানতে পারে, সেখানে একটি মৌমাছি তার ওজনের প্রায় ৩০০ গুণ বেশি ওজনের বস্তু টেনে নিয়ে যেতে পারে। আর এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। বাস্বেল বী নামে এক প্রজাতির পতঙ্গ আছে, যেগুলো নিজের ওজনের ১৬ গুণ এবং বেটসি বিটল নামের পতঙ্গ নিজ শরীরের ওজনের প্রায় সাড়ে ৭ গুণ বেশি ওজনের বস্তু অনায়াসে টেনে নিয়ে যেতে পারে। পতঙ্গের ক্ষমতা সাধারণভাবে এতই আশ্চর্যজনক যে, একটি দুর্বল পতঙ্গও তার ওজনের অন্তত ২০ গুণ বেশি ওজন টানার ক্ষমতা রাখে। তুলনামূলক বিচারে একটি ঘোড়া তার ওজনের ০.৫ থেকে ০.৮৩ গুণ এবং মানুষ তার ওজনের ০.৮৬ গুণের বেশি ওজন টানতে পারে।
উচ্চ লম্ফ ও দীর্ঘ লম্ফে পতঙ্গের ক্ষমতায় আমরা যেমন আশ্চর্য হই, কোনো বস্তু টেনে নিয়ে যাওয়ায় পতঙ্গের অস্বাভাবিক ক্ষমতা আমাদের তেমনি বিস্মিত করে। একইভাবে ভারি কোনো বস্তু টেনে তোলার ক্ষেত্রে পতঙ্গের পারদর্শিতাও অবিশ্বাস্য! হারভেস্টার আ্যান্ট শ্রেণীর পতঙ্গ তার ওজনের প্রায় ৫০ গুণ বেশি ওজনের বস্তু অনায়াসে তুলতে পারে। তুলনা করলে একজন মানুষের উচিত ৪ টন ওজনের বস্তু তুলে ফেলা। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, এবিটল শ্রেণীর যে পতঙ্গগুলো পৃথিবীতে এখনও বর্তমান, সেগুলো নিজ দেহের তুলনায় প্রায় ৮৫০ গুণ বেশি ওজন বয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা রাখে! যা-ই ভাবুন না কেন, এ ক্ষেত্রে একজন মানুষের কিন্তু উচিত ৬২ টন ওজনের কোনো বস্তু মাথায় তুলে হাঁটা। কিন্তু তা কি সম্ভব? পতঙ্গের শারীরিক গঠন ও ওজনের অনুপাতে তাদের শক্তি ও ক্ষমতা আসলেই আমাদের বিস্মিত করে।
ফয়সাল আহমেদ
No comments