বিভক্ত ঢাকা সিটির নির্বাচন নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত আজ-নেতিবাচক অবস্থানে দুই কমিশনার
বিভক্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ সোমবার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। প্রায় ১০ দিনের থাইল্যান্ড ভ্রমণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এ টি এম শামসুল হুদা দেশে ফিরে গতকাল অফিস করেছেন। সিইসির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখনো তাঁরা দুই কমিশনার তাঁদের মেয়াদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার
পক্ষে। এ বিষয়ে সিইসির মতামত কী? এ প্রশ্নে ছহুল হোসাইন বলেন, সোমবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক বৈঠক শেষে ঢাকার নির্বাচন নিয়ে কমিশনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। বৈঠকের পর সিইসি এবং কমিশনের মতামত জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, সিইসিসহ তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দুই কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিয়ে কমিশন বৈঠকের আগেই জানিয়ে রেখেছেন, তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁরা আগ্রহী নন।
নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে গত শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুই কমিশনার ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচক মত প্রকাশ করলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ থেমে নেই। বিভাজন অনুসারে দুই সিটির ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার কাজও চলছে।
এদিকে সিইসি ড. হুদার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না,
তা দুই নির্বাচন কমিশনার জানেন না। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে আমি অন্তত কিছু জানি না। অপর নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনও একই তথ্য দিয়েছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানোর পর থেকেই নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং এম সাখাওয়াত হোসেন একাধিকবার সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা তাঁদের বিদায়ের সময় এ নির্বাচন করতে আগ্রহী নন।
গত ৪ ডিসেম্বর ছহুল হোসাইন স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি পাওয়ার আগেই বলেন, 'সংশোধিত আইনে ৯০ দিনের মধ্যে (আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে) ঢাকার নতুন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে বলা হলেও নির্বাচন কমিশন তা করতে চায় না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে।'
সহুল হোসাইন আরো বলেন, "আমাদের মেয়াদই আর ৯০ দিন নেই। তাই কোনো নির্বাচন অর্ধেক করতে চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য 'এ টু জেড' পরিকল্পনা এক নির্বাচন কমিশনেরই করা উচিত। এই সমস্যার কথা সরকারকে জানিয়েছি। আমরা এ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করতে পারতাম। কিন্তু না করাই ভালো। নতুন কমিশন এসে নিজস্ব পরিকল্পনায় নির্বাচন করলেই ভালো হয়। এ জন্য আমরা এ নির্বাচনটা করতে চাই না।"
এর পরদিন নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'এ নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সভায় আলোচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন এ বিষয়ে আমাদের মতামত হচ্ছে ব্যক্তিগত। এ ছাড়া কমিশনের সিদ্ধান্তের আগে আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে হবে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলে ৯০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। ৯০ দিন পর প্রশাসক থাকার আর সুযোগ নেই। আবার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কারণে ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অুনষ্ঠান সম্ভব না হলে বিকল্প কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।'
এদিন এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, 'এ কমিশনের মেয়াদ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখের আগে এ দুই সিটির নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে ২০ ডিসেম্বরের দিকে। তার জন্য এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে হবে। এসব কাজের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভোটার এলাকা স্থানান্তরের দাবি পূরণের কাজটিও রয়েছে। দক্ষিণ ঢাকার অনেকে উত্তর ঢাকায় বসবাস করছেন এবং উত্তরেই তাঁরা ভোটার হয়েছেন। এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁরা তাঁদের নিজ এলাকায় ভোটার হতে চাইবেন। এসব কাজ শেষ করে ভোটার তালিকা ঠিক করতে হবে। ভোটার তালিকার সিডি সরবরাহ করতে হবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কি এত কাজ শেষ করা সম্ভব?'
প্রসঙ্গত, সিইসিসহ তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মধ্যে দুই কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিয়ে কমিশন বৈঠকের আগেই জানিয়ে রেখেছেন, তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁরা আগ্রহী নন।
নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন এ বিষয়ে গত শুক্রবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা দুই কমিশনার ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচক মত প্রকাশ করলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ থেমে নেই। বিভাজন অনুসারে দুই সিটির ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার কাজও চলছে।
এদিকে সিইসি ড. হুদার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না,
তা দুই নির্বাচন কমিশনার জানেন না। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে আমি অন্তত কিছু জানি না। অপর নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনও একই তথ্য দিয়েছেন।
গত ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনকে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানোর পর থেকেই নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং এম সাখাওয়াত হোসেন একাধিকবার সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা তাঁদের বিদায়ের সময় এ নির্বাচন করতে আগ্রহী নন।
গত ৪ ডিসেম্বর ছহুল হোসাইন স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি পাওয়ার আগেই বলেন, 'সংশোধিত আইনে ৯০ দিনের মধ্যে (আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে) ঢাকার নতুন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে বলা হলেও নির্বাচন কমিশন তা করতে চায় না। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে।'
সহুল হোসাইন আরো বলেন, "আমাদের মেয়াদই আর ৯০ দিন নেই। তাই কোনো নির্বাচন অর্ধেক করতে চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য 'এ টু জেড' পরিকল্পনা এক নির্বাচন কমিশনেরই করা উচিত। এই সমস্যার কথা সরকারকে জানিয়েছি। আমরা এ নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করতে পারতাম। কিন্তু না করাই ভালো। নতুন কমিশন এসে নিজস্ব পরিকল্পনায় নির্বাচন করলেই ভালো হয়। এ জন্য আমরা এ নির্বাচনটা করতে চাই না।"
এর পরদিন নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'এ নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সভায় আলোচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন এ বিষয়ে আমাদের মতামত হচ্ছে ব্যক্তিগত। এ ছাড়া কমিশনের সিদ্ধান্তের আগে আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে হবে। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলে ৯০ দিনের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। ৯০ দিন পর প্রশাসক থাকার আর সুযোগ নেই। আবার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কারণে ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অুনষ্ঠান সম্ভব না হলে বিকল্প কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।'
এদিন এম সাখাওয়াত হোসেন আরো বলেন, 'এ কমিশনের মেয়াদ অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখের আগে এ দুই সিটির নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে ২০ ডিসেম্বরের দিকে। তার জন্য এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে হবে। এসব কাজের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভোটার এলাকা স্থানান্তরের দাবি পূরণের কাজটিও রয়েছে। দক্ষিণ ঢাকার অনেকে উত্তর ঢাকায় বসবাস করছেন এবং উত্তরেই তাঁরা ভোটার হয়েছেন। এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁরা তাঁদের নিজ এলাকায় ভোটার হতে চাইবেন। এসব কাজ শেষ করে ভোটার তালিকা ঠিক করতে হবে। ভোটার তালিকার সিডি সরবরাহ করতে হবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কি এত কাজ শেষ করা সম্ভব?'
No comments