বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে-প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক ভর্তির নীতিমালা
বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রথমবারের মতো একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০১২ সালের ভর্তির কার্যক্রম শেষ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সব বেসরকারি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টি বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। গতকাল বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে খসড়া নীতিমালাটি নিয়ে বৈঠক হয়। চলতি সপ্তাহেই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করে সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো
হবে। শিক্ষা কর্মকর্তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালাটি পাঠাবেন এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, সব বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের মতো বেসরকারি স্কুলেও প্রথম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীর বয়সসীমা পাঁচ থেকে সাত বছর এবং ভর্তি পরীক্ষার খাতা কোড নম্বরের অধীনে মূল্যায়নসহ বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও রাজধানীর প্রথম শ্রেণীর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে সবাই উপকৃত হবেন। শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, 'বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আগে কোনো নীতিমালা ছিল না। আমরা এবার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। নীতিমালাটি কঠিন ও কঠোর নয়। এটি একটি গাইডলাইন, যা দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপকৃত করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা মেনেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা নীতিমালা বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইতিমধ্যে ঢাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি প্রক্রিয়ার অর্ধেক কাজ শেষ করে ফেলছে। এ অবস্থায় ভর্তির নীতিমালাটি বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জু আরা বেগম বলেন, 'ইতিমধ্যেই আমাদের প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির কার্যক্রম অর্ধেক শেষ। এ অবস্থায় নীতিমালা জারি করলে বাস্তবায়ন একটু কঠিন হবে।' মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বলেন, 'বৈঠকে প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা, একসঙ্গে ফরম বিতরণসহ বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।'
শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও রাজধানীর প্রথম শ্রেণীর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে সবাই উপকৃত হবেন। শিগগিরই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, 'বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আগে কোনো নীতিমালা ছিল না। আমরা এবার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। নীতিমালাটি কঠিন ও কঠোর নয়। এটি একটি গাইডলাইন, যা দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপকৃত করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালা মেনেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা নীতিমালা বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ইতিমধ্যে ঢাকার সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি প্রক্রিয়ার অর্ধেক কাজ শেষ করে ফেলছে। এ অবস্থায় ভর্তির নীতিমালাটি বাস্তবায়ন করা বেশ কঠিন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জু আরা বেগম বলেন, 'ইতিমধ্যেই আমাদের প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির কার্যক্রম অর্ধেক শেষ। এ অবস্থায় নীতিমালা জারি করলে বাস্তবায়ন একটু কঠিন হবে।' মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বলেন, 'বৈঠকে প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা, একসঙ্গে ফরম বিতরণসহ বেশ কিছু বিষয় আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।'
No comments