একজন ইউনিসের বড়ই অভাব
চাওয়া হয়েছিল তামিমকে। এই সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫ রান করার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নয়। 'কী হয়েছে তার' -এটা জানার জন্য। কিন্তু কুলডাউনে থাকা তামিম কিছুতেই আসতে রাজি হননি সাংবাদিকদের সামনে। আশরাফুলের কাছে তার আউটের কারণ জানার আগ্রহ ছিল না কারও। তাই বাধ্য হয়েই ৪৭ ওভারে ১২৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ইলিয়াস সানিকে নিয়ে আসা হয়েছিল; কিন্তু তিনিও প্রথমে আসতে রাজি হননি 'কী বলার আছে?' বলে।
পরে অবশ্য সানিই এসেছিলেন। বলেও ছিলেন, 'সাকিব-নাজিম আছে, খারাপের তো কিছু দেখছি না।' ইলিয়াস সানির অসহায় এই বাক্যগুলোর শোনার পর আফসোস হয়েছিল। কেননা যে আসনটিতে বসে সানি এ কথা বলেছিলেন, সেখানেই কিছুক্ষণ আগে আসাদ শফিককে নিয়ে এসেছিলেন ম্যাচে ২০০ রান করা ইউনিস খান। পাকিস্তান থেকে আসা দেশি সাংবাদিকের প্রশ্নে উদুর্তে বারবার বলেছিলেন। 'যখন দেশের তাকে প্রয়োজন, তখনই তিনি কিছু দিতে পেরেছেন। এর চেয়ে খুশির আর কিছু নেই। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলাই তার ক্রিকেটীয় জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য।' একজন পাকিস্তানি যখন তার দেশকে নিয়ে এতটা বলতে পারেন, তখন বাংলাদেশি হয়ে আশরাফুলদের জন্য করুণা হয়। দেশের প্রয়োজনে দেশকেই সীমাহীন সমস্যায় ফেলে দেওয়ার পুরনো রীতি থেকে এ ম্যাচেও বেরোতে পারেনি তারা।
ইউনিস যখন তার উত্তরসূরিদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকতে চান। সেখানেই কি-না আমাদের নাসিরদের আর্দশ বড় ভাই খুঁজতে হয়। অধিনায়কত্ব নিয়ে যখন আমাদের মনকষাকষি চলে তখন ইউনিস খান বলেন, 'অধিনায়কত্ব আমার চাই না। আমি যদি এমনই পারফর্ম করতে পারি, তাহলে অধিনায়কত্ব দিয়ে কী হবে। দলের ভালো-মন্দে এখনও মিসবাহ আমার পরামর্শ নেয়। নতুন ছেলেরা এসে আমার কাছে জানতে চায়, ইউনিস ভাই, এটা কীভাবে খেললে ভালো হতো। তখন নিজেকে বেশ গর্বিত মনে হয়। আমি থাকতে থাকতেই যদি দেখে যাই নতুনরা ভালো করছে, তাহলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না। যখন দেখব, আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেগুলো শফিক, আজহার, উমররা করছে না, তখন আমিই সবার কাছে বলব, দেখ, এই ছেলেগুলোর সঙ্গেই আমি ইনিংস খেলেছি।' ক্যারিয়ারে ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা ইউনিস খানের মতে, অভিজ্ঞতা একটা পার্থক্য গড়ে দেয়। 'আপনারা সবাই জানতে চাইছেন বাংলাদেশের সমস্যা কোথায়। আমি বলব সমস্যা না, একটা ধারাবাহিকতার অভাব। এ দলটির অনেকেই নতুন। যত দূর জানি, একমাত্র আশরাফুলই পঞ্চাশের বেশি টেস্ট (৫৬ টেস্টে ২৩.২ গড়) খেলেছে। এ দলটিতে প্রতিভা রয়েছে। তবে তাদের বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। কেউ যখন টেস্টে সেঞ্চুরি কিংবা ডাবল সেঞ্চুরি করবে, তখন তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। সব ফরম্যাটেই ভালো করতে পারবে।'
ইউনিসের কাছে গতকালের ডাবল সেঞ্চুরিটা অনুরোধ রক্ষার ইনিংস ছিল। 'প্রথমে ডাবল সেঞ্চুরির কথা ভাবিইনি। টার্গেট ছিল ৪ রান করে সেঞ্চুরিটা পূরণ করার। তারপর অধিনায়ক আর কোচ মিলেই বলেন ডাবল সেঞ্চুরিটা করে আসো। সে কারণেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়। ডিক্লেয়ারটাও দেরিতে হয়।' ধৈর্য, দক্ষতা আর দলের প্রতি প্রচণ্ড দায়বদ্ধতার কারণেই ইউনিসের কাছে বলার মতো সেঞ্চুরি করাও সহজ। তামিমদের কাছে শুধু বলাটাই সহজ, করাটা নয়।
ইউনিস যখন তার উত্তরসূরিদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকতে চান। সেখানেই কি-না আমাদের নাসিরদের আর্দশ বড় ভাই খুঁজতে হয়। অধিনায়কত্ব নিয়ে যখন আমাদের মনকষাকষি চলে তখন ইউনিস খান বলেন, 'অধিনায়কত্ব আমার চাই না। আমি যদি এমনই পারফর্ম করতে পারি, তাহলে অধিনায়কত্ব দিয়ে কী হবে। দলের ভালো-মন্দে এখনও মিসবাহ আমার পরামর্শ নেয়। নতুন ছেলেরা এসে আমার কাছে জানতে চায়, ইউনিস ভাই, এটা কীভাবে খেললে ভালো হতো। তখন নিজেকে বেশ গর্বিত মনে হয়। আমি থাকতে থাকতেই যদি দেখে যাই নতুনরা ভালো করছে, তাহলে আমার চেয়ে খুশি কেউ হবে না। যখন দেখব, আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেগুলো শফিক, আজহার, উমররা করছে না, তখন আমিই সবার কাছে বলব, দেখ, এই ছেলেগুলোর সঙ্গেই আমি ইনিংস খেলেছি।' ক্যারিয়ারে ১৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা ইউনিস খানের মতে, অভিজ্ঞতা একটা পার্থক্য গড়ে দেয়। 'আপনারা সবাই জানতে চাইছেন বাংলাদেশের সমস্যা কোথায়। আমি বলব সমস্যা না, একটা ধারাবাহিকতার অভাব। এ দলটির অনেকেই নতুন। যত দূর জানি, একমাত্র আশরাফুলই পঞ্চাশের বেশি টেস্ট (৫৬ টেস্টে ২৩.২ গড়) খেলেছে। এ দলটিতে প্রতিভা রয়েছে। তবে তাদের বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। কেউ যখন টেস্টে সেঞ্চুরি কিংবা ডাবল সেঞ্চুরি করবে, তখন তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। সব ফরম্যাটেই ভালো করতে পারবে।'
ইউনিসের কাছে গতকালের ডাবল সেঞ্চুরিটা অনুরোধ রক্ষার ইনিংস ছিল। 'প্রথমে ডাবল সেঞ্চুরির কথা ভাবিইনি। টার্গেট ছিল ৪ রান করে সেঞ্চুরিটা পূরণ করার। তারপর অধিনায়ক আর কোচ মিলেই বলেন ডাবল সেঞ্চুরিটা করে আসো। সে কারণেই পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়। ডিক্লেয়ারটাও দেরিতে হয়।' ধৈর্য, দক্ষতা আর দলের প্রতি প্রচণ্ড দায়বদ্ধতার কারণেই ইউনিসের কাছে বলার মতো সেঞ্চুরি করাও সহজ। তামিমদের কাছে শুধু বলাটাই সহজ, করাটা নয়।
No comments