নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিতের দাবি
নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফেডউই)। শনিবার সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শাখা পর্যায়ের ব্যাংক কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত নারীকে শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে গ্রহণের মানসিকতা গড়ে তুলতে পারেননি। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহজশর্তে ও
বিনা জামানতে ঋণ দিচ্ছে না। 'তৃণমূল নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যা ও সমাধানের পথ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সভাপতি মৌসুমী ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ফরিদা সুলতানা, চন্দনা ঘোষ, সম্পাদিকা সেলিনা আক্তার, নির্বাহী সদস্য রওনক সুলতানা, শামীমা কবির, মাহবুব আরা আমান ও নাজমা শিকদার।
মৌসুমী ইসলাম বলেন, নারী উদ্যোক্তারা পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এনজিও থেকে নারীদের নাম ব্যবহার করে ঋণ নিয়ে পুরুষ উদ্যোক্তারা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের নামে ঋণ দিতে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাবে কষ্টের বিনিময়ে নারীরা যে পণ্য উৎপাদন করছেন তার সঠিক দাম পাচ্ছে না। এতে প্রকৃত নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় নারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সরঞ্জামাদি আমদানির ওপর শুল্ক পরিহার, নারীদের নাম ব্যবহার করে পুরুষরা যেন ঋণ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা, তথ্য প্রযুক্তি ও বিপণন ব্যবস্থার সঙ্গে নারীদের পরিচিত করানো, নারীদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারজাতের ব্যবস্থা করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ডাটা ব্যাংক প্রস্তুত করা।
ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নারী সমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা না গেলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
মৌসুমী ইসলাম বলেন, নারী উদ্যোক্তারা পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এনজিও থেকে নারীদের নাম ব্যবহার করে ঋণ নিয়ে পুরুষ উদ্যোক্তারা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের নামে ঋণ দিতে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাবে কষ্টের বিনিময়ে নারীরা যে পণ্য উৎপাদন করছেন তার সঠিক দাম পাচ্ছে না। এতে প্রকৃত নারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ৮ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো_ নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় নারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সরঞ্জামাদি আমদানির ওপর শুল্ক পরিহার, নারীদের নাম ব্যবহার করে পুরুষরা যেন ঋণ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা, তথ্য প্রযুক্তি ও বিপণন ব্যবস্থার সঙ্গে নারীদের পরিচিত করানো, নারীদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারজাতের ব্যবস্থা করা এবং নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ডাটা ব্যাংক প্রস্তুত করা।
ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নারী সমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা না গেলে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
No comments