রেকর্ড রেকর্ড আর রেকর্ড... by সারোয়ার সুমন
কষ্ট নেবে কষ্ট/ লাল কষ্ট, নীল কষ্ট, কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট/ মাল্টি কালার কষ্ট আছে/ কষ্ট নেবে কষ্ট...' এমন নানা রঙের কষ্ট পাবেন কবি হেলাল হাফিজের কাছে। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গেলে পাবেন হরেক রঙের 'রেকর্ড'। ইচ্ছে করলে আপনার বুক পকেটে রেকডগুলোকে রাখতেও পারবেন ভাঁজে ভাঁজে। কারণ টেস্টের মাত্র তিন দিন যেতেই ওই মাঠে লুটোপুটি খাচ্ছে রেকর্ড আর রেকর্ড। ব্যক্তিগত রেকর্ড হয়েছে।
দলীয় রেকর্ড হয়েছে। হয়েছে মাঠেরও একাধিক রেকর্ড। ১৬৪ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ গড়ে চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে রেকর্ডের খাতাটি খুলেছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও তৌফিক ওমর। গতকাল টেস্টের তৃতীয় দিন সে খাতা বন্ধ করেন ইউনিস খান ও আসাদ শফিক। এর আগে সে খাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড কাল নতুন করে লিখে নেন ইউনিসরা। ২০০১ সালে মুলতানে বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে গড়া ৫৪৬ রানই ছিল এতদিন পাকদের সর্বোচ্চ দলীয় রান। গতকাল আগের রেকর্ডটি মুছে তাতে নতুন করে লেখেন তারা ৫৯৪/৫। এ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে টেস্ট খেলেছে যে নয়টি দল, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিল ইংল্যান্ড। ২০১০ সালের ১২ মার্চ এই মাঠে বাংলাদেশকে এক ইনিংসে ৫৯৯ রানের পাহাড় তুলে দিয়েছিল তারা। গতকাল পাকিস্তান ৫৯৪ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করায় এই মাঠের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান হয়েছে এটি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮৩ ছিল এ মাঠের এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। মাঠের রেকর্ড শেষ নয় এখানে। ইউনিস খান ও আসাদ শফিকের গতকাল তোলা ২৫৯, এ মাঠে পঞ্চম উইকেট জুটির সর্বোচ্চ রান।
রেকর্ড হয়েছে অতিরিক্ত রানেও। ইউনিস ও আসাদদের ব্যাটিংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশি বোলাররা প্রথম ইনিংসে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন ৩৪। এতদিন এ কলঙ্কের ভাগিদার ছিল লংকানরা। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে এ মাঠেই তারা অতিরিক্ত রান দিয়েছিল ৩৩। আবার এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরির রেকর্ডও এ মাঠে প্রথম করলেন পাকরা। মোহাম্মদ হাফিজের ১৪৩-এর পর কাল ইউনিস খান অপরাজিত ২০০ ও আসাদ শফিক করেন ১০৪ রান। ইংল্যান্ড এ মাঠে ৫৯৯ রান তুললেও সেঞ্চুরি পেয়েছিল তাদের দুই ব্যাটসম্যান।
এবার দেখুন ব্যক্তিগত রেকর্ডগুলো। পাকিস্তানের আসাদ শফিক চট্টগ্রাম টেস্টে ১০৪ রান করে গতকাল পেয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আবার ইউনিস খান ২০০ রান করে সমৃদ্ধ করেছেন তার রানের খাতা। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ১১৯ রানই এতদিন সর্বোচ্চ ছিল ইউনিসের। আবার চট্টগ্রামের এ ডাবল সেঞ্চুরি ইউনিসকে দিয়েছে পাক ক্রিকেটারদেও মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ছয় হাজার টেস্ট রান করার গৌরবও। মাত্র ৭২ টেস্ট খেলে এই এলিট ক্লাবে চতুর্থ পাকিস্তানি হয়েছেন ইউনিস। তার অপরাজিত ২০০ বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো পাক ক্রিকেটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। ২০৪ রান করে এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
গুনে গুনে নিতে পারবেন দলীয় রেকর্ডও। কারণ ইউনিস ও আসাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে তোলা ২৫৯ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান। আগে ১৭৫ রানের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ডটি ছিল রশিদ লতিফ ও আবদুল রাজ্জাকের কাছে।
রেকর্ড হয়েছে অতিরিক্ত রানেও। ইউনিস ও আসাদদের ব্যাটিংয়ে দিশেহারা বাংলাদেশি বোলাররা প্রথম ইনিংসে অতিরিক্ত রান দিয়েছেন ৩৪। এতদিন এ কলঙ্কের ভাগিদার ছিল লংকানরা। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে এ মাঠেই তারা অতিরিক্ত রান দিয়েছিল ৩৩। আবার এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরির রেকর্ডও এ মাঠে প্রথম করলেন পাকরা। মোহাম্মদ হাফিজের ১৪৩-এর পর কাল ইউনিস খান অপরাজিত ২০০ ও আসাদ শফিক করেন ১০৪ রান। ইংল্যান্ড এ মাঠে ৫৯৯ রান তুললেও সেঞ্চুরি পেয়েছিল তাদের দুই ব্যাটসম্যান।
এবার দেখুন ব্যক্তিগত রেকর্ডগুলো। পাকিস্তানের আসাদ শফিক চট্টগ্রাম টেস্টে ১০৪ রান করে গতকাল পেয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আবার ইউনিস খান ২০০ রান করে সমৃদ্ধ করেছেন তার রানের খাতা। ২০০২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ১১৯ রানই এতদিন সর্বোচ্চ ছিল ইউনিসের। আবার চট্টগ্রামের এ ডাবল সেঞ্চুরি ইউনিসকে দিয়েছে পাক ক্রিকেটারদেও মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ছয় হাজার টেস্ট রান করার গৌরবও। মাত্র ৭২ টেস্ট খেলে এই এলিট ক্লাবে চতুর্থ পাকিস্তানি হয়েছেন ইউনিস। তার অপরাজিত ২০০ বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো পাক ক্রিকেটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এটি। ২০৪ রান করে এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।
গুনে গুনে নিতে পারবেন দলীয় রেকর্ডও। কারণ ইউনিস ও আসাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে তোলা ২৫৯ রান বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান। আগে ১৭৫ রানের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ডটি ছিল রশিদ লতিফ ও আবদুল রাজ্জাকের কাছে।
No comments