রিয়াদ ফিরলেন টেস্ট দলে
সেই যে গায়ে জ্বর নিয়ে মায়ের সঙ্গে হোটেল ছেড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তারপর আর বন্ধুদের কাউকেই কাছ থেকে দেখা হয়নি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। কখনও হাসপাতালের বেডে শুয়ে, কখনও সোফায় গা হেলান দিয়ে টেলিভিশনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সবাইকে খেলতে দেখেছেন। অধিনায়ক মুশফিকের এমন একটা অভিষেক টেলিভিশনে দেখতে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর মোটেও ভালো লাগেনি। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তেই তিনি মিস করেছেন সবাইকে। আক্ষেপ করেছেন এমন একটা সিরিজ ঘরে বসে কাটিয়ে দেওয়ার।
তবে রিয়াদের সে আক্ষেপ আজ শেষ হচ্ছে। ডেঙ্গুজ্বর থেকে সেরে ওঠার চার দিন পর আজই তিনি মিরপুরে মুশফিকদের অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন। তার এই অন্তর্ভুক্তির কারণে বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াডের সদস্য এখন ১৪ থেকে বেড়ে ১৫ হয়েছে। 'রিয়াদ এখন অনেকটাই সুস্থ। কাল (আজ) সে দলের সঙ্গে যোগ দেবে। সে কারণেই স্কোয়াড এখন ১৫ সদস্যের। যারা দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে থাকবে না, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন পরবর্তীকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যাবে 'এ' দলের হয়ে খেলতে।' নির্বাচকপ্রধান আকরাম খান গতকাল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং বিসিবি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে স্কোয়াড বৃদ্ধির খবর নিশ্চিত করেন। তবে শনিবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্টে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলছেন কি-না, সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল না আকরাম খানের। 'কাল (আজ) অনুশীলনে রিয়াদকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপরই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।'
আকরাম খানের মতো অধিনায়ক মুশফিকও এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। মাত্রই গতকাল তিনি দলবল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরেছেন। সন্ধ্যার একটু পর এসেছেন ড্যারেন স্যামির ওয়েস্ট ইন্ডিজও। দুই দলের মধ্যেই চট্টগ্রাম টেস্টের ঘোর লেগে আছে। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি কাদামাটির কারণে ড্র হওয়ার পর ঢাকা টেস্টের গুরুত্ব ভীষণ বেড়ে গেছে, যেখানে মুশফিক চাইছেন চট্টগ্রামের মতো মিরপুরের পিচ থেকেও তার স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাক। চট্টলার মতো মিরপুরেও উইকেটের ওপর ধুলা উড়ূক। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজের পর নতুন মৌসুমে মিরপুরের উইকেটে বাড়তি কিছু ঘাস রাখা হয়েছে। বিদেশে গিয়ে ঘাসের উইকেটে অপদস্থ হতে হয়, এ কারণেই মিরপুরের পিচে ঘাস রাখা। কিন্তু ঢাকা টেস্টে স্পিন পিচই যে শুধু ক্যারিবিয়ানদের ঘায়েল করতে পারে সেটা জানিয়েছেন নির্বাচকপ্রধান আকরাম খান। 'চট্টগ্রাম টেস্টে বেশ ভালো করেছে ছেলেরা। যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংটা ভালো করার চেষ্টা করেছে। বোলাররা লাইন ধরে বোলিং করেছে। যারা রান করতে পারেনি, তাদের মধ্যেও কিন্তু সে চেষ্টাটা দেখা গেছে। মনে রাখতে হবে, ঢাকা টেস্টে কিছু করতে হলে আমাদের বোলারদের উইকেট থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা পেতে হবে। কেননা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু অমন দল নয় যে, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। তাছাড়া তারা মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে। আমার মনে হয় উইকেটে যদি আমাদের স্পিনাররা একটু টার্ন পায় চট্টগ্রামের মতো, তাহলে ঢাকা টেস্টেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।' চট্টগ্রাম টেস্টের পোস্টমর্টেম করার পর ঢাকা টেস্টেও ভালো কিছুর ব্যাপারে আশবাদী নির্বাচকপ্রধান আকরাম খান।
আকরাম খানের মতো অধিনায়ক মুশফিকও এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছেন না। মাত্রই গতকাল তিনি দলবল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরেছেন। সন্ধ্যার একটু পর এসেছেন ড্যারেন স্যামির ওয়েস্ট ইন্ডিজও। দুই দলের মধ্যেই চট্টগ্রাম টেস্টের ঘোর লেগে আছে। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি কাদামাটির কারণে ড্র হওয়ার পর ঢাকা টেস্টের গুরুত্ব ভীষণ বেড়ে গেছে, যেখানে মুশফিক চাইছেন চট্টগ্রামের মতো মিরপুরের পিচ থেকেও তার স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাক। চট্টলার মতো মিরপুরেও উইকেটের ওপর ধুলা উড়ূক। কিন্তু গত বছর ইংল্যান্ড সিরিজের পর নতুন মৌসুমে মিরপুরের উইকেটে বাড়তি কিছু ঘাস রাখা হয়েছে। বিদেশে গিয়ে ঘাসের উইকেটে অপদস্থ হতে হয়, এ কারণেই মিরপুরের পিচে ঘাস রাখা। কিন্তু ঢাকা টেস্টে স্পিন পিচই যে শুধু ক্যারিবিয়ানদের ঘায়েল করতে পারে সেটা জানিয়েছেন নির্বাচকপ্রধান আকরাম খান। 'চট্টগ্রাম টেস্টে বেশ ভালো করেছে ছেলেরা। যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো সবাই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংটা ভালো করার চেষ্টা করেছে। বোলাররা লাইন ধরে বোলিং করেছে। যারা রান করতে পারেনি, তাদের মধ্যেও কিন্তু সে চেষ্টাটা দেখা গেছে। মনে রাখতে হবে, ঢাকা টেস্টে কিছু করতে হলে আমাদের বোলারদের উইকেট থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা পেতে হবে। কেননা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু অমন দল নয় যে, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। তাছাড়া তারা মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে। আমার মনে হয় উইকেটে যদি আমাদের স্পিনাররা একটু টার্ন পায় চট্টগ্রামের মতো, তাহলে ঢাকা টেস্টেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।' চট্টগ্রাম টেস্টের পোস্টমর্টেম করার পর ঢাকা টেস্টেও ভালো কিছুর ব্যাপারে আশবাদী নির্বাচকপ্রধান আকরাম খান।
No comments