মুখোমুখি প্রতিদিন-যত দিন আমাকে দরকার তত দিন খেলব

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে এই বয়সে ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘরে নয়, ৪৯ বছর বয়সী নকীব পাশাকে এখনো দেখা যায় মাঠে। কিসের টানে, কোন অনুপ্রেরণায় এখনো খেলে যাচ্ছেন, কালের কণ্ঠ স্পোর্টসকে সেটাই জানিয়েছেন তিতাসের অধিনায়ক-কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : ৪৯ বছর বয়সেও মাঠে দেখা যাচ্ছে আপনাকে। এ বয়সেও খেলে যাচ্ছেন কিসের অনুপ্রেরণায়?নকীব পাশা : ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা আমার ভালো লাগত। এখন এটা নেশা হয়ে গেছে। এ ছাড়া নিয়মিত খেলাধুলা করলে স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। জীবনে বার্ধক্য হয়তো সবারই আসবে। কিন্তু নিয়মিত খেলাধুলা করলে বার্ধ্যকটা পেয়ে বসতে একটু হয়তো দেরি হবে।


তাই যত দিন শক্তি থাকবে, মনে সাহস থাকবে তত দিন আপনারা আমাকে মাঠে পাবেন।
প্রশ্ন : ভলিবল খেলা শুরু করেছেন কবে?
নকীব : ১৯৭৯ সালে রাজশাহী ব্রাদার্সের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। ঢাকায় প্রথম খেলি ১৯৮১ সালে, ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবে। সেই থেকে এখনো খেলছি।
প্রশ্ন : আপনি তো তিতাসের অধিনায়ক। দলের কাছে আপনার প্রত্যাশা কতটুকু?
নকীব : আশা করছি ভালো করব। তবে খেলাটির নাম তো ভলিবল। এটি এমন এক খেলা, যেখানে জয়ের ব্যাপারে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
প্রশ্ন : সরকারি চাকরি করে প্র্যাকটিসের জন্য কতটুকু সময় পান?
নকীব : এ টুর্নামেন্টের জন্য আমরা প্র্যাকটিস শুরু করেছি জুন মাসে। যখন খেলা থাকে তখন অফিস থেকে আমাদের ছুটি দেওয়া হয়। তবে এ দিনগুলো আমাদের কার্যদিবস হিসেবে গণনা করা হয়।
প্রশ্ন : চাকরিটা কি তাহলে খেলার সুবাদেই পেয়েছেন?
নকীব : হ্যাঁ। ভলিবল খেলার কারণেই ১৯৮৭ সালে আমি চাকরি পেয়েছিলাম। শুরু করেছিলাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে, এখন তিতাসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই আমি ম্যানেজারের দায়িত্ব পাব। আমার সব কিছুই এ খেলার কারণে। কারণ খেলাধুলা না করলে হয়তো আমি এ চাকরিই পেতাম না।
প্রশ্ন : আরো কত দিন খেলতে চান?
নকীব : খেলাটি ভালোবাসি বলেই এখনো খেলছি। যত দিন আমাকে দলে দরকার হবে তত দিন খেলব।
প্রশ্ন : কোন পজিশনে আপনি খেলেন?
নকীব : আমি আসলে সেটার হিসেবে আছি। যে খেলাটি তৈরি করে দেয় তাকে সেটার বলে। বাংলাদেশে সেটার নেই বললেই চলে। যে দিন দলে এ পজিশনের খেলোয়াড় চলে আসবে সে দিন আমি দল থেকে অবসর নেব।
প্রশ্ন : এত দীর্ঘ সময় খেলছেন, জাতীয় দলে কখনো সুযোগ পাননি?
নকীব : হ্যাঁ। ১৯৮৩ সালে একবার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছি। সেবার জাতীয় দলের হয়ে ব্যাংকক গিয়েছিলাম খেলতে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে ভলিবলের উন্নয়নে আপনার কোনো পরামর্শ আছে?
নকীব : ফুটবল কিংবা ক্রিকেটে স্কুল পর্যায়ে খেলা হয়, নিয়মিত বয়সভিত্তিক খেলাগুলো হয়। কিন্তু ভলিবলে এমনটা দেখা যায় না। খেলাটিকে স্কুল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে অবশ্যই ভলিবলে আমরা ভালো করতাম।

No comments

Powered by Blogger.