জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আমিরের!
'স্পট ফিঙ্ংি' কেলেঙ্কারির পরও মোহাম্মদ আমিরের সহমর্মীর অভাব নেই। বয়স মাত্র ১৯ বলেই এ সহমর্মিতা পেয়ে আসছেন পাকিস্তানের এ ফাস্ট বোলার। কিন্তু গতকাল লন্ডনের আদালতে আরেক অভিযুক্ত সালমান বাটের আইনজীবী যে নথি হাজির করেছেন, তাতে জুয়াড়ির সঙ্গে আমিরের যোগসাজশের প্রমাণ রয়েছে। গতকাল বিচারপতি কুকের আদালতে সালমান বাটের পক্ষে সওয়াল-জবাবকালে সাবেক এ পাকিস্তানি অধিনায়কের আইনজীবী আলী বাজওয়া বলেন, 'আমির কোনোভাবেই বোকা কিংবা নিষ্কলঙ্ক তরুণ নন।
' উদাহরণ হিসেবে মাজিদ মাজহারের সঙ্গে 'নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এ আন্ডারকাভার রিপোর্টারের আর্থিক লেনদেনের ঘটনা উল্লেখ করেন বাজওয়া, 'ছন্দবেশী ওই প্রতিবেদকের কাছ থেকে মাজিদ মাজহার এক লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড গ্রহণের পর তাকে নিজের রুমে দেখা করতে বলেছিল আমির।' শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডে পাকিস্তান দলের ওই সফর চলাকালে মোহাম্মদ আমিরের কিছু রহস্যজনক এসএমএস বার্তাও আদালতে তুলে ধরেন বাজওয়া, "এটা কোনোভাবেই ১৯ বছর বয়সী একজনের নির্বুদ্ধিতা হতে পারে না। স্পট ফিঙ্ংি ফাঁস হওয়ার পরপরই আমির তার এক পাকিস্তানি বন্ধুকে এসএমএস করে জানিয়েছিল, 'আমির বলছি। আমার এ নম্বরে ফোন করো না। আইসিসির পুলিশ আমার এ ফোনটা নিয়ে গেছে। পারলে আমাদের সবগুলো কল মুছে দিও। এ বার্তার উত্তর দেওয়ারও দরকার নাই।" এ মুঠোফোন বার্তার সূত্র ধরে বাজওয়ার যুক্তি, 'তাতে এটা পরিষ্কার যে সালমান বাটের কোনো পরামর্শ কিংবা চাপে পড়ে এ কাজ করেনি আমির।' সালমান বাটের আইনজীবীর দাবি, "স্পট ফিঙ্ংিয়ের জন্য সালমান কিংবা মাজিদের সঙ্গে জড়ানোর দরকার হয়নি। মাজিদ এবং ওই ছদ্মবেশী সাংবাদিক পরিচিত হওয়ার আগেই পাকিস্তানের একটি নম্বরে কিছু টেঙ্ট পাঠিয়েছিল আমির। ওর একটা বার্তা, 'কত দেবে এবং কী করতে হবে?' পরের বার্তা, 'ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে কী করতে হবে?' আরেকটিতে লিখেছে, 'এটা অনেক বেশি হয়ে যাবে বন্ধু!' সবশেষ বার্তাটিতে লেখা, 'তার মানে প্রথম তিনটা বল নিজের ইচ্ছামতো করব। শেষ দুই বলে কি ৮ রান দিতে হবে?'"
গতকালের সওয়াল-জবাবের সময় আদালতে কেতাদুরস্ত পোশাকে উপস্থিত ছিলেন সালমান এবং স্পট ফিঙ্ংি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত আরেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ। সালমানের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক কুকের অভিমত, 'মাজিদ ও আমিরের মাঝে যোগাযোগ ছিল ধরে নিয়েই আমরা মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এখানে অনুপস্থিতদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।' সূত্র : ওয়েবসাইট
গতকালের সওয়াল-জবাবের সময় আদালতে কেতাদুরস্ত পোশাকে উপস্থিত ছিলেন সালমান এবং স্পট ফিঙ্ংি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত আরেক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ। সালমানের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক কুকের অভিমত, 'মাজিদ ও আমিরের মাঝে যোগাযোগ ছিল ধরে নিয়েই আমরা মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এখানে অনুপস্থিতদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।' সূত্র : ওয়েবসাইট
No comments