উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর-কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে অকল্যাণের অভিযোগ by আপেল মাহমুদ
উত্তরা মডেল টাউনের প্রতিটি সেক্টরে এলাকাবাসীর কল্যাণের জন্য একটি করে কল্যাণ সমিতি আছে। তবে ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি এলাকাবাসীর অকল্যাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সমিতি খালি জায়গা দখল, গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ, পানি নিষ্কাশন ও পয়ঃপ্রণালি বন্ধ এবং পরিবেশ ধ্বংস করছে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য। ৩ নম্বর সেক্টরের নাগরিকরা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিতভাবে এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিকার দাবি করেছে। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানের কোনো আশ্বাস পাচ্ছে না সেক্টরের সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ দাখিলকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা সৈয়দ মাজহারুল হক, এস এম কামরুজ্জামান, ডা. জোনাইদ শফিক, জি ই সালেহউদ্দিন, কবিরুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৩ নম্বর সেক্টরের ২৬ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশে লেকের ধারে প্রায় এক কাঠা জমির ওপর কল্যাণ সমিতির নামে একটি পাকা দালান নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য লেকের সবুুজ বেষ্টনী ও গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। তা ছাড়া নির্মাণাধীন স্থাপনার ওপর রয়েছে হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক লাইন ও একটি পোল মাউল্টেড ট্রান্সফরমার। এ কারণে যেকোনো সময় ওই স্থাপনায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে সেক্টরের বাসিন্দাদের আগুনের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হবে। ঘটনাস্থল ঘুরে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেক্টরের মাস্টারপ্ল্যান বহির্ভূত স্থাপনাটি নির্মাণ করা হলে ভবিষ্যতে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। গাছ কেটে গার্বেজ পয়েন্ট করা হলে শুধু পরিবেশ বিপর্যয়ই হবে না, স্থাপনার পাশে অবস্থিত মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হবে। কল্যাণ সমিতি তাদের ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার জন্য সেখানে ১৫-২০টি ময়লার ভ্যান রাখা এবং ৮০-৯০ জন নিরাপত্তাকর্মীর থাকার ব্যবস্থা করার জন্য স্থাপনাটি নির্মাণ করছে বলে জানা যায়। এতে লেকের পাড়ে হাঁটাচলা ও শরীর চর্চায় বিঘ্ন ঘটবে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল বারেক।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নেতারা যেখানেই খালি জায়গা পান সেখানেই নিজেদের দখলিস্বত্ব কায়েম করেন। এরই মধ্যে তাঁরা কল্যাণ সমিতি, সোসাইটি ও নিরাপত্তা চৌকির নামে তিনটি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। সব শেষে সমিতির ঘর নির্মাণের নামে লেকের পাড়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো এক টুকরো খালি জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে। তবে সমিতি থেকে বলা হয়েছে, তারা রাজউক থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বরাদ্দ নিয়েছে ওই জায়গা। এর আগে কল্যাণ সমিতির নামে ৩ নম্বর সেক্টরে আরো তিনটি অফিস করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে রাজউক থেকে এসব অফিসের জমি বরাদ্দের কথা স্বীকার করা হয়নি।
কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খুরশেদ আলম খান বলেন, সমিতির ঘর নির্মাণের জন্য কোনো গাছপালা কাটা ও পরিবেশ দূষণের কথা তাঁর জানা নেই।
৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানায়, ওই সেক্টরের হাজার হাজার বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক বাস করলেও সমিতির সদস্য করা হয়েছে গুটিকয়েক ব্যক্তিকে। তা ছাড়া সাধারণ সদস্য ও আজীবন সদস্য করার নামে সেখানে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। যারা এককালীন তিন হাজার টাকা চাঁদা দেয় তারাই শুধু আজীবন সদস্য হতে পারে ও ভোট দেয়। সাধারণ সদস্যরা বার্ষিক ১৫০ টাকা চাঁদা দিলেও কোনো ভোট দিতে পারে না। সেক্টরের বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সেক্টরের কল্যাণ সমিতির নামে সেখানে নিয়মবহির্ভূত অনেক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। কল্যাণ সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে গেট বানিয়ে রাস্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার নামে চাঁদা আদায় করছে বলে অনেক অভিযোগ উঠেছে। রাজউকে প্রতিনিয়নত এ রকম অভিযোগ জমা পড়ছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা আরো জানান, উত্তরা মডেল টাউনের মাস্টারপ্ল্যানে কল্যাণ সমিতির নামে জমি বরাদ্দ ও স্থাপনা নির্মাণের কোনো নিয়ম রাখা হয়নি। বর্তমানে কল্যাণ সমিতির নামে যা চলছে, তা গায়ের জোরে। এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালা শিগগিরই প্রণয়ন করা হবে বলে রাজউক থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নেতারা যেখানেই খালি জায়গা পান সেখানেই নিজেদের দখলিস্বত্ব কায়েম করেন। এরই মধ্যে তাঁরা কল্যাণ সমিতি, সোসাইটি ও নিরাপত্তা চৌকির নামে তিনটি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। সব শেষে সমিতির ঘর নির্মাণের নামে লেকের পাড়ে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো এক টুকরো খালি জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে। তবে সমিতি থেকে বলা হয়েছে, তারা রাজউক থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বরাদ্দ নিয়েছে ওই জায়গা। এর আগে কল্যাণ সমিতির নামে ৩ নম্বর সেক্টরে আরো তিনটি অফিস করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে রাজউক থেকে এসব অফিসের জমি বরাদ্দের কথা স্বীকার করা হয়নি।
কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক খুরশেদ আলম খান বলেন, সমিতির ঘর নির্মাণের জন্য কোনো গাছপালা কাটা ও পরিবেশ দূষণের কথা তাঁর জানা নেই।
৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানায়, ওই সেক্টরের হাজার হাজার বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক বাস করলেও সমিতির সদস্য করা হয়েছে গুটিকয়েক ব্যক্তিকে। তা ছাড়া সাধারণ সদস্য ও আজীবন সদস্য করার নামে সেখানে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। যারা এককালীন তিন হাজার টাকা চাঁদা দেয় তারাই শুধু আজীবন সদস্য হতে পারে ও ভোট দেয়। সাধারণ সদস্যরা বার্ষিক ১৫০ টাকা চাঁদা দিলেও কোনো ভোট দিতে পারে না। সেক্টরের বাসিন্দাদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সেক্টরের কল্যাণ সমিতির নামে সেখানে নিয়মবহির্ভূত অনেক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। কল্যাণ সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে গেট বানিয়ে রাস্তা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার নামে চাঁদা আদায় করছে বলে অনেক অভিযোগ উঠেছে। রাজউকে প্রতিনিয়নত এ রকম অভিযোগ জমা পড়ছে বলে কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা আরো জানান, উত্তরা মডেল টাউনের মাস্টারপ্ল্যানে কল্যাণ সমিতির নামে জমি বরাদ্দ ও স্থাপনা নির্মাণের কোনো নিয়ম রাখা হয়নি। বর্তমানে কল্যাণ সমিতির নামে যা চলছে, তা গায়ের জোরে। এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নীতিমালা শিগগিরই প্রণয়ন করা হবে বলে রাজউক থেকে জানা গেছে।
No comments