প্রথম আলোর খবরে শেয়ারের বড় পতন হলো : শাকিল রিজভী
আগের দিন ৮১.৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধির পর গতকাল বুধবার আবারও ১৪৩.২৯ পয়েন্ট কমে গেল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রভাবে সর্বশেষ গতকাল দরপতন ঘটেছে বলে শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন।ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, প্রথম আলোয় শেয়ারবাজার নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বরাত দিয়ে প্রকাশিত একটি খবরের নেতিবাচক প্রভাবে গতকাল শেয়ারবাজারে বড় দরপতন ঘটেছে। এর ফলে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গতকাল প্রথম আলোয় শেয়ারবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পর্যবেক্ষণ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের একাংশে আইএমএফকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, 'শেয়ারবাজার এখনো অস্থিতিশীল। শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে।' প্রতিবেদনটি গতকাল দিনভর শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার জন্ম দেয়।
অস্থিতিশীল শেয়ারবাজারে এ প্রতিবেদন বড় প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর সভাপতি। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, একটু একটু করে স্থিতিশীল হয়ে আসছিল। কিন্তু প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের প্রভাবে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনে বড় ধরনের সংশয় তৈরি করে। ফলে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। শাকিল রিজভী আরো বলেন, আইএমএফকে উদ্ধৃত করে এ রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আইএমএফই কিভাবে এ রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
ডিএসইর সভাপতি বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনে আইএমএফের পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এটা কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ নয়। সরকার ইচ্ছা করলে তা মানতে পারে আবার নাও পারে। এর আগেও আইএমএফের অনেক সুপারিশই সরকার মানেনি। আবার তাদের সুপারিশ মানতে গিয়ে অনেক সময় সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এ সুপারিশও বাস্তবায়ন করা হবে কি না, সেটা সরকারের বিবেচ্য বিষয়। তিনি বলেন, 'দিনভর অসংখ্য বিনিয়োগকারী আমাদের ফোন করে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।'
এদিকে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রবীর রতন কুমার নামে একজন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন, 'শেয়ারবাজার নিয়ে প্রথম আলোর কোনো এজেন্ডা রয়েছে বলে মনে হয়।' তিনি বলেন, আগেও দেখা গেছে, যখন বাজার একটু স্থিতিশীল হওয়া শুরু করেছে, তখনই প্রথম আলো শেয়ারবাজারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। দরপতন ঘটিয়ে প্রথম আলো তাদের পক্ষের বড় খেলোয়াড়দের শেয়ার কিনিয়ে দিতে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলেও ওই বিনিয়োগকারী মন্তব্য করেন।
অস্থিতিশীল শেয়ারবাজারে এ প্রতিবেদন বড় প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর সভাপতি। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, একটু একটু করে স্থিতিশীল হয়ে আসছিল। কিন্তু প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের প্রভাবে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মনে বড় ধরনের সংশয় তৈরি করে। ফলে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। শাকিল রিজভী আরো বলেন, আইএমএফকে উদ্ধৃত করে এ রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আইএমএফই কিভাবে এ রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
ডিএসইর সভাপতি বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদনে আইএমএফের পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এটা কোনো সুপারিশ বা পরামর্শ নয়। সরকার ইচ্ছা করলে তা মানতে পারে আবার নাও পারে। এর আগেও আইএমএফের অনেক সুপারিশই সরকার মানেনি। আবার তাদের সুপারিশ মানতে গিয়ে অনেক সময় সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এ সুপারিশও বাস্তবায়ন করা হবে কি না, সেটা সরকারের বিবেচ্য বিষয়। তিনি বলেন, 'দিনভর অসংখ্য বিনিয়োগকারী আমাদের ফোন করে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।'
এদিকে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। প্রবীর রতন কুমার নামে একজন বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন, 'শেয়ারবাজার নিয়ে প্রথম আলোর কোনো এজেন্ডা রয়েছে বলে মনে হয়।' তিনি বলেন, আগেও দেখা গেছে, যখন বাজার একটু স্থিতিশীল হওয়া শুরু করেছে, তখনই প্রথম আলো শেয়ারবাজারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। দরপতন ঘটিয়ে প্রথম আলো তাদের পক্ষের বড় খেলোয়াড়দের শেয়ার কিনিয়ে দিতে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলেও ওই বিনিয়োগকারী মন্তব্য করেন।
No comments