চাষ হচ্ছে ৮০০ বিঘা জমিতে-মেহেরপুরে ৫০ কোটি টাকার হলুদ উৎপাদনের সম্ভাবনা
লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুরে হলুদ চাষ বাড়ছে। পরিত্যক্ত জমি, বাগান, ভিটেবাড়িসহ বিভিন্ন স্থান মিলে এবার জেলায় ৮০০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ চাষ হয়েছে, যা থেকে উৎপাদন হবে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার হলুদ।মেহেরপুর সব সময়ই হলুদ চাষের জন্য খ্যাত। রবিশস্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখানে চাষ হয় হলুদও। হলুদ চাষ যিনি একবার করেছেন, তিনি আর তা বন্ধ করেরনি ভালো লাভ পাওয়ায়। কোনো কোনো কৃষক ১০ বিঘা পর্যন্ত জমিতে হলুদ চাষ করেন।
গত মৌসুমে মেহেরপুরে ৪০ কোটি টাকার হলুদ উৎপাদন হয়েছিল বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গত বছরের মতো দাম বজায় থাকলে এবার ৫০ কোটি টাকার হলুদ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ ইফতেখারুল হোসেন জানান, জেলায় সিন্দুরী জাতের হলুদ বেশি চাষ হয়। সাধারণত উঁচু এবং পতিত জমি হলুদ চাষের জন্য উপযোগী। হলুদের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে শাকসবজি, মরিচ ইত্যাদি চাষ করা যায়। আগামী ডিসেম্বরে হলুদ সংগ্রহ শুরু হবে। গাংনীর সিন্দুর কোটা গ্রামের হলুদচাষি হাসেম আলী জানান, এক বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অথচ অন্য ফসলে ১০ হাজার টাকার বেশি আয় সম্ভব নয়। আরেকজন চাষি শাহিনুর রহমান জানান, তিনি তাঁর বাগানের তিন বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করে গত বছর ৪৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। এবারও তিনি ওই বাগানে হলুদ চাষ করছেন। তিনি জানান, জমিভেদে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৬০ মণ হলুদ উৎপাদন হয়, যা শুকিয়ে আট থেকে ১০ মণ হলুদ পাওয়া যায়। বাজারে বর্তমানে ২০০ টাকা দরে শুকনা হলুদ বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই হলুদ বিক্রি হয়েছিল ৩০০ টাকা কেজি দরে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে হলুদচাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তা ছাড়া পরিচর্যার তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় জেলার সব পরিত্যক্ত জমির মালিক সেসব জমিতে হলুদ চাষে নেমেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে হলুদচাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। তা ছাড়া পরিচর্যার তেমন প্রয়োজন না হওয়ায় জেলার সব পরিত্যক্ত জমির মালিক সেসব জমিতে হলুদ চাষে নেমেছেন।
No comments