কমে গেল দাম সূচক লেনদেন সবই
এক দিন দর বাড়ে তো পরদিন পড়ে যায়। সপ্তাহজুড়েই এ চিত্র শেয়ারবাজারে। কেন দাম বাড়ে, আর কেনই বা কমে এর সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেন না শেয়ারবাজারের কর্তাব্যক্তিরাও। কোনো একটি সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার সঙ্গে সূচকের ওঠানামাকে জুড়ে দিয়ে একটি ব্যাখ্যা তাঁরা দাঁড় করান। এসব ব্যাখ্যার গূঢ় রহস্য প্রাতিষ্ঠানিকবাবড়বিনিয়োগকারীদের কাছে বোধগম্য হলেও হতে পারে। তবে কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না খুচরা লগি্নকারীরা, যাদের আশার আলো একবার জ্বলে উঠে পরক্ষণেই নিভে যাচ্ছে।
সরকারের নানা উদ্যোগের খবরে গত সপ্তাহের শেষ দিন ও এ সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক বেড়ে গেলে সবাই ধরে নিয়েছিলেন, দীর্ঘ দরপতনে এবার বোধ হয় বিরতি পড়ল। বৃহস্পতি ও রবিবার ডিএসইতে সূচক বৃদ্ধি পায় ৩৯৫.৭৮ পয়েন্ট। কিন্তু পরদিনই ডিএসইতে সূচক কমে যায় ১৮০.৬২ পয়েন্ট। মঙ্গলবার ডিএসইর সূচক ৮১.৬৭ পয়েন্ট বাড়লেও গতকাল বুধবার আবার কমে গেছে ১৪৩.২৯ পয়েন্ট। বাজারসংক্রান্ত কোনো কারণ খুঁজে পাননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী মনে করেন, একটি জাতীয় দৈনিক গতকাল বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বরাত দিয়ে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত যে খবর প্রকাশ করেছে এর নেতিবাচক প্রভাবে বড় দরপতন ঘটেছে। তাঁর ধারণা, এ ধরনের প্রতিবেদনের কারণে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ব্যাংকার্সের (এবিবি) পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর সেদিন শেয়ারের দর বেড়ে যায়। রবিবারও একই ধারা বজায় থাকে। ওই দিনই ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি) এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল বা মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেয়। পরদিনই সূচকের ব্যাপক পতন ঘটে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যাংকগুলোর দুটি সংগঠন থেকে দুটি ঘোষণা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক বার্তা নিয়ে আসে। অনেকে মনে করছেন, বৃহস্পতিবারের ঘোষণা থেকে সরে যাওয়ার জন্যই রবিবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলো। মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ফলে এই ফান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের ঘোষণা থেকে সরে যাবে বলে অনেক বিনিয়োগকারী ধারণা করেন। সোমবার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ছিল কম। ফলে সেদিন দরপতন ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেই প্রভাব অবশ্য ফিকে হয়ে যেতে সময় লাগেনি। গতকাল ১৪৩ পয়েন্ট সূচক পড়ে গেলে আবার রাস্তায় নামে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।
মানববন্ধন
অব্যাহত দরপতনে শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আবারও ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৩৮ পয়েন্ট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে নেমে এসে ডিএসইর মূল ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, 'শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তবে বাস্তবে এর কোনো ফল দেখা যাচ্ছে না।' তাই শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ দেশের অর্থনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে, যার বিরূপ প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়েছে।
বাজার পরিস্থিতি
গতকালের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে সূচক ১৪৩.২৯ পয়েন্ট কমে ৫৪১১.৯৯ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৭টি কম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৩৭টির, বেড়েছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি কম্পানির শেয়ারের দাম। বেশির ভাগ কম্পানির দরপতনের কারণেই সূচকের এই পতন ঘটেছে। কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণও।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে মোট ২৫৭টি কম্পানির পাঁচ কোটি দুই লাখ আট হাজার ৫৯৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ছয় কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম।
গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩ টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_গ্রামীণফোন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, বেঙ্মিকো লিমিটেড, ইউসিবিএল, ন্যাশনাল ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, সিটি ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও সামিট পাওয়ার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা গতকালের ১০টি কম্পানি হলো_ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ১ম বিএসআরএস, ৪র্থ আইসিবি, ৫ম আইসিবি, দেশ গার্মেন্টস, ন্যাশনাল টি কম্পানি, এসিআই জিরো কুপন বন্ড, ব্র্যাক সেকেন্ড, শমরিতা হাসপাতাল ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_অলটেঙ্, মেট্রো স্পিনিং, রহিমা ফুড, মেঘনা সিমেন্ট, মালেক স্পিনিং, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, বিডি অটোকারস, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও এইচআর টেঙ্টাইল।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ব্যাংকার্সের (এবিবি) পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর সেদিন শেয়ারের দর বেড়ে যায়। রবিবারও একই ধারা বজায় থাকে। ওই দিনই ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (বিএবি) এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল বা মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেয়। পরদিনই সূচকের ব্যাপক পতন ঘটে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যাংকগুলোর দুটি সংগঠন থেকে দুটি ঘোষণা শেয়ারবাজারে নেতিবাচক বার্তা নিয়ে আসে। অনেকে মনে করছেন, বৃহস্পতিবারের ঘোষণা থেকে সরে যাওয়ার জন্যই রবিবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের ঘোষণা দেওয়া হলো। মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ফলে এই ফান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের ঘোষণা থেকে সরে যাবে বলে অনেক বিনিয়োগকারী ধারণা করেন। সোমবার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ছিল কম। ফলে সেদিন দরপতন ঘটে। পরদিন মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেই প্রভাব অবশ্য ফিকে হয়ে যেতে সময় লাগেনি। গতকাল ১৪৩ পয়েন্ট সূচক পড়ে গেলে আবার রাস্তায় নামে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ।
মানববন্ধন
অব্যাহত দরপতনে শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আবারও ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৩৮ পয়েন্ট পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে নেমে এসে ডিএসইর মূল ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী বলেন, 'শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তবে বাস্তবে এর কোনো ফল দেখা যাচ্ছে না।' তাই শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ দেশের অর্থনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে, যার বিরূপ প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়েছে।
বাজার পরিস্থিতি
গতকালের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে সূচক ১৪৩.২৯ পয়েন্ট কমে ৫৪১১.৯৯ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৭টি কম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৩৭টির, বেড়েছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি কম্পানির শেয়ারের দাম। বেশির ভাগ কম্পানির দরপতনের কারণেই সূচকের এই পতন ঘটেছে। কমে গেছে লেনদেনের পরিমাণও।
ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে মোট ২৫৭টি কম্পানির পাঁচ কোটি দুই লাখ আট হাজার ৫৯৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮১১ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ছয় কোটি ৫৬ লাখ টাকা কম।
গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩ টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_গ্রামীণফোন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, বেঙ্মিকো লিমিটেড, ইউসিবিএল, ন্যাশনাল ব্যাংক, মালেক স্পিনিং, সিটি ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও সামিট পাওয়ার।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা গতকালের ১০টি কম্পানি হলো_ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ১ম বিএসআরএস, ৪র্থ আইসিবি, ৫ম আইসিবি, দেশ গার্মেন্টস, ন্যাশনাল টি কম্পানি, এসিআই জিরো কুপন বন্ড, ব্র্যাক সেকেন্ড, শমরিতা হাসপাতাল ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস।
অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_অলটেঙ্, মেট্রো স্পিনিং, রহিমা ফুড, মেঘনা সিমেন্ট, মালেক স্পিনিং, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ইমাম বাটন, বিডি অটোকারস, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ও এইচআর টেঙ্টাইল।
No comments