মন্দার বাজারেও ৩৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে জনতা ক্যাপিটাল by তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু
জনতা ব্যাংকের মার্চেন্ট ইউনিট হিসেবে দুই বছর আগে কার্যক্রম শুরু করেছিল জনতা মার্চেন্ট ব্যাংক ইউনিট। সম্পূর্ণ আলাদাভাবে জনতা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর। তখন নাম দেওয়া হয় জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মার্চেন্ট ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ছিল ৩৩ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে বিপর্যয় শুরু হলে এ মার্চেন্ট ব্যাংকটি হাত গুটিয়ে রাখেনি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত এই মন্দার বাজারে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে মার্জিন ঋণসহ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।বাকি ১৭০ কোটি টাকা নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে জনতা ক্যাপিটাল। বিদ্যমান মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ফোর্সড সেল করে ঋণ সমন্বয় করলেও জনতা ক্যাপিটালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলে কর্মকর্তারা জানান। বিপর্যয়ের মধ্যে শেয়ারবাজারকে সমর্থন দিতে শেয়ার কেনা অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জনতা ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহাঙ্গীর মিয়া সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সে কারণে আমরা বাজারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সরকারেরও নির্দেশনা রয়েছে। তবে আমরা ভালো মৌল ভিত্তির কম্পানির শেয়ার কিনেছি। কেনার পর বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দরপতনে বিক্রি করা থেকেও বিরত রয়েছি আমরা। আমাদের মতো অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না। লাভে আসতেও আমাদের সময় লাগবে। বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংকই আমাদের মতো অবস্থায় রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা অনেকেরই নেই।'
জনতা ক্যাপিটালের বিনিয়োগকারী আল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখানে দুই বছর আগে অ্যাকাউন্ট খুলি। প্রথমে বিভিন্ন কম্পানির প্রাথমিক শেয়ার কিনেছি।' আরএকে সিরামিকস ও গ্রামীণফোনের শেয়ার লটারিতে জিতেছিলেন আল আমিন। সেই আইপিওর মাধ্যমে তাঁর লাভ হয় এক লাখ টাকা। এ টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁর পুঁজি দাঁড়িয়েছিল দুই লাখ টাকা। কিন্তু তারপর তাঁর কেনা শেয়ারের দাম পড়ে যায়। তাতে সেকেন্ডারি মার্কেটের অর্জিত টাকার পুরোটাই হারান তিনি। গতকাল পর্যন্ত তাঁর পুঁজি এক লাখে নেমেছে। আল আমিন বলেন, 'প্রাইমারি মার্কেটেই ভালো ছিলাম। কেন যে সেকেন্ডারি মার্কেটে এলাম? এখানে একেক দিন একেক ধরনের আশার বাণী শুনি। তাতে কিছুটা আশ্বস্ত হই। আবার বাজার পড়ে যায়। আমাদের মতো লোকদের তাতে মরণদশা হয়।'
জনতা ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহাঙ্গীর মিয়া সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সে কারণে আমরা বাজারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে সরকারেরও নির্দেশনা রয়েছে। তবে আমরা ভালো মৌল ভিত্তির কম্পানির শেয়ার কিনেছি। কেনার পর বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দরপতনে বিক্রি করা থেকেও বিরত রয়েছি আমরা। আমাদের মতো অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই শেয়ার বিক্রি করতে পারছে না। লাভে আসতেও আমাদের সময় লাগবে। বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংকই আমাদের মতো অবস্থায় রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের যে সক্ষমতা রয়েছে তা অনেকেরই নেই।'
জনতা ক্যাপিটালের বিনিয়োগকারী আল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখানে দুই বছর আগে অ্যাকাউন্ট খুলি। প্রথমে বিভিন্ন কম্পানির প্রাথমিক শেয়ার কিনেছি।' আরএকে সিরামিকস ও গ্রামীণফোনের শেয়ার লটারিতে জিতেছিলেন আল আমিন। সেই আইপিওর মাধ্যমে তাঁর লাভ হয় এক লাখ টাকা। এ টাকা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করে গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁর পুঁজি দাঁড়িয়েছিল দুই লাখ টাকা। কিন্তু তারপর তাঁর কেনা শেয়ারের দাম পড়ে যায়। তাতে সেকেন্ডারি মার্কেটের অর্জিত টাকার পুরোটাই হারান তিনি। গতকাল পর্যন্ত তাঁর পুঁজি এক লাখে নেমেছে। আল আমিন বলেন, 'প্রাইমারি মার্কেটেই ভালো ছিলাম। কেন যে সেকেন্ডারি মার্কেটে এলাম? এখানে একেক দিন একেক ধরনের আশার বাণী শুনি। তাতে কিছুটা আশ্বস্ত হই। আবার বাজার পড়ে যায়। আমাদের মতো লোকদের তাতে মরণদশা হয়।'
No comments