চবিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ২৮
হলে বহিরাগত থাকাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ ও জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। আগের দিন রাত ১২টা থেকে গতকাল বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত হলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
ভোরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ছাত্রশিবিরের কর্মীসহ ৩৮ জনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ছাত্রলীগের দায়ের করা মামলায়।
ভোরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ছাত্রশিবিরের কর্মীসহ ৩৮ জনকে আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ছাত্রলীগের দায়ের করা মামলায়।
ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল কর্তৃপক্ষের দুটি তদন্ত কমিটি হচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক খান তৌহিদ হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। হল কর্তৃপক্ষের কমিটি গঠনের কাজ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, শাহজালাল হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে শিবিরের এক বহিরাগত কর্মী ছিলেন। ছাত্রলীগের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে কক্ষ ছেড়ে দিতে বলায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মীরা উভয় পক্ষের সাতটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের সময় রাত আড়াইটায় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম নামের একজন সাধারণ ছাত্র আহত হয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
ঘটনার সময় হলে অবস্থানকারী আবাসিক শিক্ষক আফতাব উদ্দিন জানান, ২১৮ নম্বর কক্ষে শিবিরের এক কর্মী নিয়ে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তাঁরা দ্রুত হলে গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে খবর পান হলের বর্ধিত ভবনে শিবির গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। তখন সেখানে গিয়ে প্রথম বর্ষের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে দেখতে পান তাঁরা। এর পরই বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ভোরে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ শাফায়েত বিল্লাহ হাটহাজারী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। এতে অজানা আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি সামিউল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ হল থেকে ৩৮ জন শিবিরকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরীক্ষার্থী হওয়ায় ১০ ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ২৮ জনকে ছাত্রলীগের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নাসিম হাসান জানান, হলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
এদিকে, ঘটনার জন্য শিবিরকে দায়ী করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, হলের পরিবেশ নষ্ট করতে শিবির পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত এনে তুলেছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তফা শাকের উল্লাহ দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শিবির দমনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তিনি এক দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি করে বলেন, অন্যথায় শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, শাহজালাল হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে শিবিরের এক বহিরাগত কর্মী ছিলেন। ছাত্রলীগের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে কক্ষ ছেড়ে দিতে বলায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ছাত্রলীগ ও শিবিরের কর্মীরা উভয় পক্ষের সাতটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের সময় রাত আড়াইটায় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম নামের একজন সাধারণ ছাত্র আহত হয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
ঘটনার সময় হলে অবস্থানকারী আবাসিক শিক্ষক আফতাব উদ্দিন জানান, ২১৮ নম্বর কক্ষে শিবিরের এক কর্মী নিয়ে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তাঁরা দ্রুত হলে গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে খবর পান হলের বর্ধিত ভবনে শিবির গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। তখন সেখানে গিয়ে প্রথম বর্ষের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে দেখতে পান তাঁরা। এর পরই বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর শুরু হয়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ভোরে হাটহাজারী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ শাফায়েত বিল্লাহ হাটহাজারী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। এতে অজানা আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি সামিউল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ হল থেকে ৩৮ জন শিবিরকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরীক্ষার্থী হওয়ায় ১০ ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ২৮ জনকে ছাত্রলীগের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নাসিম হাসান জানান, হলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
এদিকে, ঘটনার জন্য শিবিরকে দায়ী করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, হলের পরিবেশ নষ্ট করতে শিবির পরিকল্পিতভাবে বহিরাগত এনে তুলেছে।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তফা শাকের উল্লাহ দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শিবির দমনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তিনি এক দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি করে বলেন, অন্যথায় শিবির কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেবে।
No comments