গভর্নরকে স্মারকলিপি প্রদান-বান্দরবানে প্রতি কেজি আদা বিক্রি ২২ টাকা, উৎপাদন ব্যয় ৩২ by মনু ইসলাম,
প্রতি কেজি আদা উৎপাদন করতে ৩২ টাকা ব্যয় করে ২২ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় বান্দরবানের আদাচাষিরা বিপাকে পড়েছেন।হঠাৎ আদার বাজার দর পড়ে যাওয়ায় কারণ হিসেবে বিপুল আদা আমদানিকেই দায়ী করছেন আড়তদার ও উৎপাদকরা। এ অবস্থায় অবিলম্বে আদা আমদানি বন্ধ করার দাবি জানায় বান্দরবানের আদা ও হলুদচাষি সমিতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবরে সম্প্রতি দেওয়া এক স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমদানি করা আদা বাজার দখল করায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আদা বাজার হারাচ্ছে।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, স্থানীয়ভাবে চাষের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় তুলতে না পারলে ব্যাংকঋণ শোধ করা কঠিন হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় মসলা-জাতীয় কৃষিপণ্য উৎপাদনের প্রতি স্থানীয় কৃষকরা আগ্রহ হারাবে। স্থানীয় আদাচাষিরা জানান, জমি তৈরি, বীজ ক্রয়, বীজ বপন, সার কীটনাশক এবং আগাছা পরিষ্কার করতে একর প্রতি তাদের ব্যয় হয়েছে গড়ে এক লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। ফলন ভালো না হওয়ায় ডলুপাড়া ও আশপাশের এলাকায় একরপ্রতি ১০০ থেকে ১২৫ মণ আদা পাওয়া গেছে। ফলে এ পরিমাণ আদা বিক্রি করে এক লাখ টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না।
বান্দরবানের বিশিষ্ট আদিবাসী আদাচাষি ক্য চিং অং কালের কণ্ঠকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে শতকরা দুই টাকা হার সুদে ঋণ পেয়ে এবার বান্দরবান সদর উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার কমপক্ষে আট হাজার একর জমিতে আদা চাষ করেছেন। তিনি জানান, অগ্রণী ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবার আদা ও হলুদ চাষের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ অবস্থায় উৎপাদন ব্যয় তুলতে না পারলে ব্যাংকঋণ ফেরত দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। আদা উৎপাদকরা আশঙ্কা করছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদের বাজারে কয়েকগুণ লাভ করার জন্য উৎপাদন মৌসুমে কৌশলে বাজার দর নামিয়ে দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে আদা মজুদ করছে আড়তদাররা। তবে বান্দরবানের আড়তদার ফরিদুল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, বিপুল আমদানি করা আদায় বাজার সয়লাব হওয়ায় সারা দেশে স্থানীয় জাতের আদার দর অন্যবারের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তিনি জানান, ২২ টাকা দরে ক্রয় করে শহরের বড় বড় মোকামে বর্তমানে তাঁরা বিক্রি করছেন মাত্র ২৫ টাকা দরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ৭১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহরের খুচরা দোকানগুলোয় প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে স্থানীয় আদা কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বান্দরবান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ভগীরথ দাশ জানান, দিনে দিনে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে আদা বেশি দিন দোকানে রাখা যায় না। তাই স্থানীয় আড়ত থেকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পাইকারি দরে কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেও তাঁদের পোষাচ্ছে না।
বান্দরবানের বিশিষ্ট আদিবাসী আদাচাষি ক্য চিং অং কালের কণ্ঠকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে শতকরা দুই টাকা হার সুদে ঋণ পেয়ে এবার বান্দরবান সদর উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার কমপক্ষে আট হাজার একর জমিতে আদা চাষ করেছেন। তিনি জানান, অগ্রণী ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবার আদা ও হলুদ চাষের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ অবস্থায় উৎপাদন ব্যয় তুলতে না পারলে ব্যাংকঋণ ফেরত দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে। আদা উৎপাদকরা আশঙ্কা করছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদের বাজারে কয়েকগুণ লাভ করার জন্য উৎপাদন মৌসুমে কৌশলে বাজার দর নামিয়ে দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে কম মূল্যে আদা মজুদ করছে আড়তদাররা। তবে বান্দরবানের আড়তদার ফরিদুল আলম কালের কণ্ঠকে জানান, বিপুল আমদানি করা আদায় বাজার সয়লাব হওয়ায় সারা দেশে স্থানীয় জাতের আদার দর অন্যবারের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তিনি জানান, ২২ টাকা দরে ক্রয় করে শহরের বড় বড় মোকামে বর্তমানে তাঁরা বিক্রি করছেন মাত্র ২৫ টাকা দরে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ৭১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহরের খুচরা দোকানগুলোয় প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে বান্দরবান শহরের বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে স্থানীয় আদা কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বান্দরবান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ভগীরথ দাশ জানান, দিনে দিনে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে আদা বেশি দিন দোকানে রাখা যায় না। তাই স্থানীয় আড়ত থেকে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পাইকারি দরে কিনে এনে খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেও তাঁদের পোষাচ্ছে না।
No comments