প্রশিক্ষিত শ্রমিক বাড়ানো হচ্ছে-রেমিট্যান্স মেলায় অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত কর্মীরা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিবছর তারা ১০ থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করছে।গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ও ইসলামী ব্যাংক আয়োজিত সোনার মানুষ সম্মাননা ও রেমিট্যান্স উৎসব-২০১১ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রামরুর সভাপতি ড. তাসনিম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রামরুর ট্রেজারার ড. শাহদীন মালিক ও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান আলোচনায় অংশ নেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠান কেন্দ্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এবি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, আল-মুল্লাহ এক্সচেঞ্জ ও বায়রার স্টল থেকে প্রবাসীদের জন্য তাদের দেওয়া বিভিন্ন সেবা তুলে ধরা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমাদের কর্মীরা বিদেশে যাওয়ার আগেই জানতে পারবেন, তারা কোথায় গিয়ে কী কাজ করবেন, কত টাকা বেতন পাবেন। তিনি বলেন, এখনও কর্মীদের বিদেশে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ভিসা পেতে দালালি ফি ও ঘুষ গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ১০০ দিনের মধ্যে ঋণ দিয়ে অনেককেই বিদেশে যেতে সহায়তা করেছে। তাদের কোথাও ঘুষ দিতে হয়নি বলে কম খরচেই বিদেশে যেতে পারছেন তারা। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ থেকে যেসব শ্রমিক প্রবাসে যান তারা প্রশিক্ষিত নয়। তাদের প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে বছরে ৫০ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এটিকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে পারলে তারা ভালো কাজ পাবে। বেতনও বেশি পাবে। ফলে রেমিট্যান্সও বাড়বে।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির ১১টি দেশের একটি হিসেবে। তিনটি খাত বাংলাদেশকে এক অনন্য সন্মানের জায়গায় তুলে এনেছে। এগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, সেবা খাত এবং অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের পেছনে যে মানুষগুলো তারাই দেশের সোনার সন্তান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের জনশক্তির ৫৫ ভাগই অদক্ষ। তাদের আয়ের পরিমাণও কম। মেধানির্ভর দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রফতানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব। আর রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনামাফিক অর্থায়ন করলে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশে নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে। অনুষ্ঠানে সোনার মানুষ, সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারী ও সেরা রেমিট্যান্স সংগ্রাহক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। রামরুর সোনার মানুষ সম্মাননা পেয়েছেন টাঙ্গাইলের করটিয়ার ভাতকুড়া গ্রামের ১২ সদস্যের এক দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান মোঃ ইসমাইল হোসেন। সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারীর সম্মাননা পেয়েছেন চট্টগ্রামের হাইদগাঁও গ্রামের আবদুল মান্নান, সীতাকুণ্ডের মোঃ বেলাল উদ্দিন। এ ছাড়াও রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চারজন এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ১৪ জন কর্মকর্তাকে সন্মাননা দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান :এর আগে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি ২০১২ সালকে অভিবাসী শ্রমিক বর্ষ ঘোষণার দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি দেশে টাকা পাঠিয়ে এবং তার সঠিক বাণিজ্যিক ব্যবহার করছেন, এমন অভিবাসীদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করারও দাবি জানান। তিনি অভিবাসীদের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শহিদুল হক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান সরকার, ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেজা রেজা চৌধুরী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম শাহ আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান কেন্দ্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এবি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, আল-মুল্লাহ এক্সচেঞ্জ ও বায়রার স্টল থেকে প্রবাসীদের জন্য তাদের দেওয়া বিভিন্ন সেবা তুলে ধরা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমাদের কর্মীরা বিদেশে যাওয়ার আগেই জানতে পারবেন, তারা কোথায় গিয়ে কী কাজ করবেন, কত টাকা বেতন পাবেন। তিনি বলেন, এখনও কর্মীদের বিদেশে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। ভিসা পেতে দালালি ফি ও ঘুষ গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ১০০ দিনের মধ্যে ঋণ দিয়ে অনেককেই বিদেশে যেতে সহায়তা করেছে। তাদের কোথাও ঘুষ দিতে হয়নি বলে কম খরচেই বিদেশে যেতে পারছেন তারা। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ থেকে যেসব শ্রমিক প্রবাসে যান তারা প্রশিক্ষিত নয়। তাদের প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে বছরে ৫০ হাজার শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এটিকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষিত শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে পারলে তারা ভালো কাজ পাবে। বেতনও বেশি পাবে। ফলে রেমিট্যান্সও বাড়বে।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির ১১টি দেশের একটি হিসেবে। তিনটি খাত বাংলাদেশকে এক অনন্য সন্মানের জায়গায় তুলে এনেছে। এগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, সেবা খাত এবং অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের পেছনে যে মানুষগুলো তারাই দেশের সোনার সন্তান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের জনশক্তির ৫৫ ভাগই অদক্ষ। তাদের আয়ের পরিমাণও কম। মেধানির্ভর দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রফতানির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব। আর রেমিট্যান্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিকল্পনামাফিক অর্থায়ন করলে দেশে বিনিয়োগ পরিবেশে নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে। অনুষ্ঠানে সোনার মানুষ, সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারী ও সেরা রেমিট্যান্স সংগ্রাহক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। রামরুর সোনার মানুষ সম্মাননা পেয়েছেন টাঙ্গাইলের করটিয়ার ভাতকুড়া গ্রামের ১২ সদস্যের এক দরিদ্র্য পরিবারের সন্তান মোঃ ইসমাইল হোসেন। সেরা রেমিট্যান্স ব্যবহারকারীর সম্মাননা পেয়েছেন চট্টগ্রামের হাইদগাঁও গ্রামের আবদুল মান্নান, সীতাকুণ্ডের মোঃ বেলাল উদ্দিন। এ ছাড়াও রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য চারজন এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ১৪ জন কর্মকর্তাকে সন্মাননা দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান :এর আগে সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি ২০১২ সালকে অভিবাসী শ্রমিক বর্ষ ঘোষণার দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি দেশে টাকা পাঠিয়ে এবং তার সঠিক বাণিজ্যিক ব্যবহার করছেন, এমন অভিবাসীদের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) ঘোষণা করারও দাবি জানান। তিনি অভিবাসীদের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শহিদুল হক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান সরকার, ব্যাংক এশিয়ার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেজা রেজা চৌধুরী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম শাহ আলম প্রমুখ।
No comments