একীভূত হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আমদানি ও রফতানি শাখা by সারোয়ার সুমন,
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে ঢেলে সাজানো হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিভিন্ন অফিসকে। দীর্ঘদিন ধরে পৃথক থাকা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক রাজধানীতে স্থাপন করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ বন্ড কমিশনারেট অফিস। আবার চট্টগ্রামে নতুন দুটি করাঞ্চলেরও যাত্রা শুরু হয়েছে। নতুন এসব অফিসে কমিশনারসহ অন্তত দুই হাজার জনবল নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে এসব অফিসে কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'প্রশাসনিকভাবে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগরী হচ্ছে চট্টগ্রাম। তাই তিন করাঞ্চলে বিভক্ত চট্টগ্রামে করাঞ্চল করা হয়েছে পাঁচটি। পূর্ণাঙ্গ বন্ড কমিশনারেটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কমিশনারও। আশা করছি এসব সংস্কার চট্টগ্রাম থেকে রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়াবে।'
জানা গেছে, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে প্রাধান্য দিয়েই এবার নতুন সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করেছে এনবিআর। এখানকার কাস্টম হাউস, করাঞ্চল ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়াতে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে এনবিআরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অফিসে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় পৃথক হওয়া আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করা হচ্ছে আবার। হয়রানি বেড়ে যাওয়ায় তিন বছর ধরে ব্যবসায়ীরা এ দুটি শাখাকে একীভূত করার দাবি জানিয়ে আসছিল। পূরণ হয়েছে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ একটি বন্ড কমিশনারেট অফিস স্থাপনের দাবিও। আবার রাজস্ব আয় বাড়াতে তিনটি থেকে করাঞ্চলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে পাঁচটিতে। এতদিন চট্টগ্রাম মহানগরীসহ ১১টি জেলাকে নিয়ে কর কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তিনটি করাঞ্চল। এখন চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য থাকছে পৃথক একটি করাঞ্চল। নতুন আরেকটি করাঞ্চল হচ্ছে কুমিল্লায়। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাকে নিয়ে নতুন এ করাঞ্চলের যাত্রা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। এতদিন বৃহত্তর কুমিল্লা ছিল করাঞ্চল-১ ও বৃহত্তর নোয়াখালী ছিল করাঞ্চল-৩-এর অধীনে।
রাজস্ব আয় বাড়াতে কুমিল্লায় হচ্ছে নতুন একটি ভ্যাট কমিশনারেট অফিসও। জানা গেছে, নতুন এসব অফিসে গত সপ্তাহে কমিশনারও নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর। কুমিল্লার নতুন করাঞ্চল, বন্ড কমিশনারেট অফিস ও আপিলেট ট্রাইব্যুনালে নতুন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর নতুন করাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কমিশনার। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কমিশনারের সুপারিশে পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে অফিস সরঞ্জামাদি। এরই মধ্যে এসব অফিসে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরও নিয়োগ কার্যক্রম চলবে। চট্টগ্রামের করাঞ্চলগুলোতে এখন প্রায় ৯০০ জনবল কর্মরত থাকলেও নতুন করে আরও অন্তত ৬০০ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম করাঞ্চল-১-এর কমিশনার রমেন্দ্র চন্দ্র বসাক বলেন, 'নতুন করাঞ্চলগুলোতে গত সপ্তাহে কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর। এখন অফিস সরঞ্জামসহ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরেই নতুন এসব অফিস পুরোদমে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আশা করছি বর্ধিত এ কার্যক্রম চট্টগ্রামের গুরুত্ব বাড়াবে। কারণ সংস্কারের সুফল হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণও নিশ্চিতভাবে বাড়বে।' এদিকে চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়েও নতুন কর অফিস স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। জেলার সীতাকুণ্ড, পটিয়া, রাউজান ও লোহাগাড়ায় নতুন কর অফিস হবে। কক্সবাজারে এমন অফিস হবে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। চট্টগ্রামের নতুন সব অফিসে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় এক হাজার জনবল।
জানা গেছে, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে প্রাধান্য দিয়েই এবার নতুন সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করেছে এনবিআর। এখানকার কাস্টম হাউস, করাঞ্চল ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিস থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়াতে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে এনবিআরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অফিসে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় পৃথক হওয়া আমদানি ও রফতানি শাখাকে একীভূত করা হচ্ছে আবার। হয়রানি বেড়ে যাওয়ায় তিন বছর ধরে ব্যবসায়ীরা এ দুটি শাখাকে একীভূত করার দাবি জানিয়ে আসছিল। পূরণ হয়েছে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ একটি বন্ড কমিশনারেট অফিস স্থাপনের দাবিও। আবার রাজস্ব আয় বাড়াতে তিনটি থেকে করাঞ্চলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে পাঁচটিতে। এতদিন চট্টগ্রাম মহানগরীসহ ১১টি জেলাকে নিয়ে কর কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তিনটি করাঞ্চল। এখন চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য থাকছে পৃথক একটি করাঞ্চল। নতুন আরেকটি করাঞ্চল হচ্ছে কুমিল্লায়। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাকে নিয়ে নতুন এ করাঞ্চলের যাত্রা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। এতদিন বৃহত্তর কুমিল্লা ছিল করাঞ্চল-১ ও বৃহত্তর নোয়াখালী ছিল করাঞ্চল-৩-এর অধীনে।
রাজস্ব আয় বাড়াতে কুমিল্লায় হচ্ছে নতুন একটি ভ্যাট কমিশনারেট অফিসও। জানা গেছে, নতুন এসব অফিসে গত সপ্তাহে কমিশনারও নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর। কুমিল্লার নতুন করাঞ্চল, বন্ড কমিশনারেট অফিস ও আপিলেট ট্রাইব্যুনালে নতুন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর নতুন করাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন কমিশনার। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কমিশনারের সুপারিশে পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে অফিস সরঞ্জামাদি। এরই মধ্যে এসব অফিসে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরও নিয়োগ কার্যক্রম চলবে। চট্টগ্রামের করাঞ্চলগুলোতে এখন প্রায় ৯০০ জনবল কর্মরত থাকলেও নতুন করে আরও অন্তত ৬০০ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম করাঞ্চল-১-এর কমিশনার রমেন্দ্র চন্দ্র বসাক বলেন, 'নতুন করাঞ্চলগুলোতে গত সপ্তাহে কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর। এখন অফিস সরঞ্জামসহ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরেই নতুন এসব অফিস পুরোদমে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। আশা করছি বর্ধিত এ কার্যক্রম চট্টগ্রামের গুরুত্ব বাড়াবে। কারণ সংস্কারের সুফল হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে অর্জিত রাজস্বের পরিমাণও নিশ্চিতভাবে বাড়বে।' এদিকে চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়েও নতুন কর অফিস স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। জেলার সীতাকুণ্ড, পটিয়া, রাউজান ও লোহাগাড়ায় নতুন কর অফিস হবে। কক্সবাজারে এমন অফিস হবে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে। চট্টগ্রামের নতুন সব অফিসে নিয়োগ দেওয়া হবে প্রায় এক হাজার জনবল।
No comments