বাংলাদেশ-ইরাক ম্যাচ আজ-'দুর্দান্ত ফুটবল প্রজন্মের' কঠিন চ্যালেঞ্জ
যুদ্ধবাজ' ইরাকিরা ফুটবল মাঠেও যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। ইলিয়েভস্কির জন্য এই যুদ্ধ কঠিন। সারাদিন অঙ্ক কষে তিনি দাঁড় করিয়েছেন মাসুদ রানাহীন বাংলাদেশ যুব দলকে! এরপর মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই গোল করা মাসুদকে রিজার্ভ বেঞ্চে ঠেলে দেওয়ার খবর শুনলে যে কেউ ভ্যাবাচেকা খাবে। কিন্তু এটাই বাংলাদেশের মেসিডোনিয়ান কোচের নতুন 'জুয়া', ইরাকের বিপক্ষে যুদ্ধ জয়ের তরিকা।তাঁর প্রথম জুয়াটা ছিল মালদ্বীপের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েও পরশু ঠিকই জিতে গেছেন ওই ম্যাচ। শুধু ৩-০ গোলের জয় নয়, সব বিভাগেই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
তাই শুরুর এই ম্যাচ স্বাগতিক যুবাদের দিয়েছেন অনেক কিছু, কোচের চোখে বড় প্রাপ্তিটা হলো, 'তারা যে জিততে পারে, সেই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছে সবার মনে। এটাই হলো মালদ্বীপের ম্যাচের অর্জন। তাই শুরুর চাপটা কেটে গেছে।' চাপ গিয়ে ফিরেছে দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস। যখন-তখন যে কারো বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে বসতে পারেন তারা। তাই তো পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ইরাকেও ভয়-ডরহীন এই দল। তাদের সুঠাম গড়ন দেখেও নির্ভীক অধিনায়ক আবদুল মালেক হেসে বলে উঠেন, 'শরীরে কী যায় আসে! আমরা খেলব বার্সেলোনার মতো, গায়ে গা লাগবে না।' প্রায় 'মিথ' হওয়ার পথে বার্সেলোনার বর্তমান দল, তাকে ছোঁয়া হয়তো অসম্ভব, তার পরও ওইটুকু ছেলের চোখে অমন স্বপ্নও তো চাট্টিখানি ব্যাপার নয়!
আসল ব্যাপারটা হলো, এই বিদেশি কোচের অধীনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রসায়নটাই পাল্টে গেছে। তাদের খেলায় উন্নতি হয়েছে, সামর্থ্য বেড়েছে, সুবাদে স্বপ্নটাও ডানা মেলছে আকাশ ছোঁয়ার জন্য। এমন শিষ্যদের পেলে কোচের সাত-পাঁচ ভাবার সুযোগ থাকে, দুঃসাহসী হয়ে উঠতে পারেন। তাই আজকের ম্যাচে তিনি ম্যাচ উইনার মাসুদ রানাকে একাদশের বাইরে রাখার মতো সাহস দেখাতে পারছেন, 'মাসুদ রানা গত ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেছে, তাই ইরাকের বিপক্ষে তাকে খেলাব না। এ টুর্নামেন্টটা খুব কঠিন, এক দিন পর পর ম্যাচ খেলতে হবে। এ জন্য প্রতি ম্যাচেই বেশ কিছু পরিবর্তন করে খেলাতে হবে।' শুধু মাসুদ নন, প্রথম ম্যাচের একাদশের রুবেল, রাসেল, ওয়াহেদ, সিফাতও বাইরে থাকবেন। তাঁদের জায়গা নেবেন সজীব, মালেক, অনিক, কৃষ্ণা ও শহীদ।
মানে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে চুরমার। তবে জয়ের কথাও ইলিয়েভস্কি সরাসরি বলছেন না, 'এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা জিততে পারলে আমাদের মূল পর্বে ওঠাটা সহজ হবে।' পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ইরাক যে তা সহজে হতে দেবে না তা বলা বাহুল্য। গতকাল ইরাকি কোচ হাকিম শাকের ঘোষণা দিয়েছেন, 'গ্রুপটা কঠিন, তবে ইরাক সব প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়ার জন্য তৈরি।' বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্র্যাকটিসও করেছে তারা অনেকক্ষণ, সঙ্গে যথারীতি স্বাগতিকদের সেট-পিসে দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার প্র্যাকটিসও সেরেছে। তাদের কোচ বলেই দিয়েছেন, 'ইরাক প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গাটা ধরে খেলতে পছন্দ করে।' অথচ ইলিয়েভস্কি কিছুই জানেন না ইরাকের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে। শক্তিটা বোঝেন শুধু '৮৬ বিশ্বকাপ খেলা ইরাকি ফুটবল ঐতিহ্যে। এমন দলের সঙ্গে খেলতে নামার আগে তাই বাংলাদেশের কোচ গলা উঁচিয়ে কিছু বলতেও পারছেন না, 'প্রথম ১৫-২০ মিনিট খেলতে হবে প্রতিপক্ষকে বোঝার জন্য। তারপর ধরন বুঝে ট্যাকটিকসও পাল্টে যাবে।'
এটা মালদ্বীপ নয়, টপ ফেভারিট ইরাক, যাদের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামার আগে উঁচু গলায় কিছু বলা যায় না। শুধু বলা যায়, ইরাকের সামনে আজ দেশের 'দুর্দান্ত ফুটবল প্রজন্মের' কঠিন পরীক্ষা।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ একাদশ : লিটন, তপু, রাখিন, ইয়াসিন, রায়হান, কৃষ্ণা, শহীদ, সোহেল, অনিক, মালেক, সজীব।
আসল ব্যাপারটা হলো, এই বিদেশি কোচের অধীনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের রসায়নটাই পাল্টে গেছে। তাদের খেলায় উন্নতি হয়েছে, সামর্থ্য বেড়েছে, সুবাদে স্বপ্নটাও ডানা মেলছে আকাশ ছোঁয়ার জন্য। এমন শিষ্যদের পেলে কোচের সাত-পাঁচ ভাবার সুযোগ থাকে, দুঃসাহসী হয়ে উঠতে পারেন। তাই আজকের ম্যাচে তিনি ম্যাচ উইনার মাসুদ রানাকে একাদশের বাইরে রাখার মতো সাহস দেখাতে পারছেন, 'মাসুদ রানা গত ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেছে, তাই ইরাকের বিপক্ষে তাকে খেলাব না। এ টুর্নামেন্টটা খুব কঠিন, এক দিন পর পর ম্যাচ খেলতে হবে। এ জন্য প্রতি ম্যাচেই বেশ কিছু পরিবর্তন করে খেলাতে হবে।' শুধু মাসুদ নন, প্রথম ম্যাচের একাদশের রুবেল, রাসেল, ওয়াহেদ, সিফাতও বাইরে থাকবেন। তাঁদের জায়গা নেবেন সজীব, মালেক, অনিক, কৃষ্ণা ও শহীদ।
মানে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে চুরমার। তবে জয়ের কথাও ইলিয়েভস্কি সরাসরি বলছেন না, 'এই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা জিততে পারলে আমাদের মূল পর্বে ওঠাটা সহজ হবে।' পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ইরাক যে তা সহজে হতে দেবে না তা বলা বাহুল্য। গতকাল ইরাকি কোচ হাকিম শাকের ঘোষণা দিয়েছেন, 'গ্রুপটা কঠিন, তবে ইরাক সব প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়ার জন্য তৈরি।' বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্র্যাকটিসও করেছে তারা অনেকক্ষণ, সঙ্গে যথারীতি স্বাগতিকদের সেট-পিসে দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার প্র্যাকটিসও সেরেছে। তাদের কোচ বলেই দিয়েছেন, 'ইরাক প্রতিপক্ষের দুর্বল জায়গাটা ধরে খেলতে পছন্দ করে।' অথচ ইলিয়েভস্কি কিছুই জানেন না ইরাকের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে। শক্তিটা বোঝেন শুধু '৮৬ বিশ্বকাপ খেলা ইরাকি ফুটবল ঐতিহ্যে। এমন দলের সঙ্গে খেলতে নামার আগে তাই বাংলাদেশের কোচ গলা উঁচিয়ে কিছু বলতেও পারছেন না, 'প্রথম ১৫-২০ মিনিট খেলতে হবে প্রতিপক্ষকে বোঝার জন্য। তারপর ধরন বুঝে ট্যাকটিকসও পাল্টে যাবে।'
এটা মালদ্বীপ নয়, টপ ফেভারিট ইরাক, যাদের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামার আগে উঁচু গলায় কিছু বলা যায় না। শুধু বলা যায়, ইরাকের সামনে আজ দেশের 'দুর্দান্ত ফুটবল প্রজন্মের' কঠিন পরীক্ষা।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ একাদশ : লিটন, তপু, রাখিন, ইয়াসিন, রায়হান, কৃষ্ণা, শহীদ, সোহেল, অনিক, মালেক, সজীব।
No comments