কী এমন হয়েছিল যে সেঁজুতি আত্মহননের পথ বেছে নিল! by রফিকুল ইসলাম,
বরিশালের বাকেরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সেঁজুতি আক্তারকে ধর্ষণ ও আত্মহননের ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ কারণে এখনো ঘটনার রহস্য জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে, তদন্তকাজ অনেক দূর এগিয়েছে। জানা গেছে, সেঁজুতির পরিবারের লোকজনের বিভ্রান্তিকর তথ্যে একেক সময় একেকজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে।ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আখতারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সেঁজুতি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।'বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঘটনার পর পারিপাশ্বর্িক কারণে মেয়েটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।'
গত ২১ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সেঁজুতি আত্মহত্যা করে। সে ওই এলাকার চৈতা মাধ্যমিক স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। ১৩ অক্টোবর এলাকার কয়েকজন বখাটে তাকে অপহরণের চেষ্টা করে বলে থানায় অভিযোগ করেন তার মা। ১৭ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়। আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয় ২৩ অক্টোবর। দুটি মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় কেউ বাড়ি ছিল না : সেঁজুতির ছোট বোন লাইজু জানায়, তাদের বড় বোন শিল্পী বিকেলে উঠানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। তার মা হাফিজা বেগম ছিলেন পাশের বাড়ি। আর সে স্কুলের বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির অন্যদিকে ছিল। সেও চৈতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই সময় সেঁজুতি একাই বাসায় ছিল। মাগরিবের নামাজ শেষে সে বাসার দোতলায় গিয়ে সেঁজুতির দেহ চৌকাঠের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।
প্রতিবেশীরা জানায়, মামলার বিষয় নিয়ে মা-মেয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাফিজা বেগম তাঁর মেয়ে সেঁজুতিকে বলেন, 'তোর জন্য আজ আমাকে কোর্ট-কাছারিতে যেতে হচ্ছে। আমাকে না জ্বালিয়ে মরে যেতে পারিস না?' পাল্টা উত্তরে সেঁজুতি বলে, 'মা, তোমার বেপথে চলাফেরার সমস্যার কারণে বাবা আমাদের এক বছর ধরে খোঁজ নিচ্ছে না।' তখন হাফিজা তাঁর মেয়েকে এ নিয়ে মারধর করেন।
সহপাঠীদের কথা : সেঁজুতির সহপাঠী ইসরাত জাহান, রুবি আক্তার, কুলসুম আক্তারসহ কয়েকজন জানায়, বেশির ভাগ সময়ই লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকত সে। স্কুলে আসা-যাওয়া করত পর্দা করে। ওর সঙ্গে কোনো ছেলের সম্পর্ক ছিল না। তবে সবুজ খান ও সাইফুল ইসলাম আসা-যাওয়ার পথে ওকে উত্ত্যক্ত করত। ওই ঘটনা সেঁজুতি মা-বাবাকে জানিয়েছিল। অপহরণচেষ্টার ঘটনার পর থেকে সেঁজুতি তাদের সঙ্গে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছিল। সব সময় মনমরা হয়ে থাকত। মনোযোগসহকারে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
১৮ অক্টোবর সেঁজুতির ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. জাফর ইকবাল। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, "সেঁজুতির পরীক্ষায় মনোযোগ ছিল না। লেখা বন্ধ রেখে বাইরে বেশ কিছু সময় একনজরে তাকিয়ে ছিল। আমি কাছে গেলাম। কিন্তু তখনো ওর ভেতরে আনমনা সেই ভাবটি দূর হয়নি। কাছে গিয়ে বললাম, লেখছ না কেন? তার সহজ-সরল জবাব, 'স্যার, পারিবারিক সমস্যার কারণে পড়তে পারিনি।' সমস্যার কথাটি অকপটেই বলেছিল।"
পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করছে : রঘুনাথপুর গ্রামের লাগোয়া কাঠালতলী গ্রাম ও চেয়ারম্যান বাজার এলাকার একাধিক শিক্ষক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যার পর ঘনবসতিপূর্ণ পাড়ার মধ্যে অপহরণের মতো একটি ঘটনা ঘটে গেল আর কেউ দেখল না, এটা মানা যায় না। সেঁজুতির পরিবারের লোকজন নিশ্চয়ই কিছু না কিছু জানে। আন্দাজ করতে পারে। তাঁরা মনে করেন, ঘটনাটি আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে সেঁজুতির পরিবারের পক্ষ থেকে। তাঁরা আরো জানান, সেঁজুতির বাড়ির দুই পাশেই চারটি বাড়ি রয়েছে। অনেক মানুষ চলাচল করে। বাড়ির সামনে থেকে অপহরণের প্রশ্নই ওঠে না। তাঁরা দাবি করেন, ঘটনার রাতে সেঁজুতি প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের নানা হামেদ হাওলাদারের ঘরে পড়ছিল। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও চৈতা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নয়ন মৃধা ওই বাড়িতে গিয়ে সেঁজুতিকে বলে, তার মা বাড়িতে ডাকছেন। তখন নয়নের সঙ্গেই সেঁজুতি নানার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। ছোট নালার ওপর বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ওত পেতে থাকা সবুজ খান, শামীম ও সাইফুল পেছন থেকে কাপড় দিয়ে সেঁজুতির মুখ বেঁধে ফেলে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ সময় সেঁজুতিকে ধর্ষণ করে। ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাত ১০টার দিকে আবদুল হামেদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠানে নামলে তাঁর ঘরের পাশে পাহারায় থাকা নয়ন ভয় পেয়ে নালার মধ্যে পড়ে যায়। তখন হামেদ চিৎকার দিলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন গিয়ে মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় সেঁজুতিকে বাগান থেকে উদ্ধার করে। গভীর রাতে নিজ বাড়িতেই সেঁজুতির জ্ঞান ফেরে।
কিন্তু মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেঁজুতি এশার নামাজ আদায়ের জন্য উঠানের নলকূপে অজু করতে যায়। তখন আসামিরা তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
মামলার এজাহারে ঘটনা আড়াল করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্যের ব্যাপারে হাফিজা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওর (সেঁজুতি) বাবা বিদেশে থাকেন। তিনি যদি জানতে পারেন মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়ি পাহারা দিতে পাঠিয়েছি, তাহলে ক্ষুব্ধ হবেন। তা ছাড়া মেয়েকে তো বিয়ে দিতে হবে। তাই প্রকৃত ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে।' তাঁর দাবি, সেঁজুতিকে ধর্ষণ করা হয়নি।
ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে। এর পরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
গত ২১ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সেঁজুতি আত্মহত্যা করে। সে ওই এলাকার চৈতা মাধ্যমিক স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। ১৩ অক্টোবর এলাকার কয়েকজন বখাটে তাকে অপহরণের চেষ্টা করে বলে থানায় অভিযোগ করেন তার মা। ১৭ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়। আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয় ২৩ অক্টোবর। দুটি মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় কেউ বাড়ি ছিল না : সেঁজুতির ছোট বোন লাইজু জানায়, তাদের বড় বোন শিল্পী বিকেলে উঠানে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। তার মা হাফিজা বেগম ছিলেন পাশের বাড়ি। আর সে স্কুলের বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির অন্যদিকে ছিল। সেও চৈতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই সময় সেঁজুতি একাই বাসায় ছিল। মাগরিবের নামাজ শেষে সে বাসার দোতলায় গিয়ে সেঁজুতির দেহ চৌকাঠের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।
প্রতিবেশীরা জানায়, মামলার বিষয় নিয়ে মা-মেয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার একপর্যায়ে হাফিজা বেগম তাঁর মেয়ে সেঁজুতিকে বলেন, 'তোর জন্য আজ আমাকে কোর্ট-কাছারিতে যেতে হচ্ছে। আমাকে না জ্বালিয়ে মরে যেতে পারিস না?' পাল্টা উত্তরে সেঁজুতি বলে, 'মা, তোমার বেপথে চলাফেরার সমস্যার কারণে বাবা আমাদের এক বছর ধরে খোঁজ নিচ্ছে না।' তখন হাফিজা তাঁর মেয়েকে এ নিয়ে মারধর করেন।
সহপাঠীদের কথা : সেঁজুতির সহপাঠী ইসরাত জাহান, রুবি আক্তার, কুলসুম আক্তারসহ কয়েকজন জানায়, বেশির ভাগ সময়ই লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকত সে। স্কুলে আসা-যাওয়া করত পর্দা করে। ওর সঙ্গে কোনো ছেলের সম্পর্ক ছিল না। তবে সবুজ খান ও সাইফুল ইসলাম আসা-যাওয়ার পথে ওকে উত্ত্যক্ত করত। ওই ঘটনা সেঁজুতি মা-বাবাকে জানিয়েছিল। অপহরণচেষ্টার ঘটনার পর থেকে সেঁজুতি তাদের সঙ্গে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছিল। সব সময় মনমরা হয়ে থাকত। মনোযোগসহকারে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
১৮ অক্টোবর সেঁজুতির ভূগোল বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। তখন পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. জাফর ইকবাল। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, "সেঁজুতির পরীক্ষায় মনোযোগ ছিল না। লেখা বন্ধ রেখে বাইরে বেশ কিছু সময় একনজরে তাকিয়ে ছিল। আমি কাছে গেলাম। কিন্তু তখনো ওর ভেতরে আনমনা সেই ভাবটি দূর হয়নি। কাছে গিয়ে বললাম, লেখছ না কেন? তার সহজ-সরল জবাব, 'স্যার, পারিবারিক সমস্যার কারণে পড়তে পারিনি।' সমস্যার কথাটি অকপটেই বলেছিল।"
পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করছে : রঘুনাথপুর গ্রামের লাগোয়া কাঠালতলী গ্রাম ও চেয়ারম্যান বাজার এলাকার একাধিক শিক্ষক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যার পর ঘনবসতিপূর্ণ পাড়ার মধ্যে অপহরণের মতো একটি ঘটনা ঘটে গেল আর কেউ দেখল না, এটা মানা যায় না। সেঁজুতির পরিবারের লোকজন নিশ্চয়ই কিছু না কিছু জানে। আন্দাজ করতে পারে। তাঁরা মনে করেন, ঘটনাটি আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে সেঁজুতির পরিবারের পক্ষ থেকে। তাঁরা আরো জানান, সেঁজুতির বাড়ির দুই পাশেই চারটি বাড়ি রয়েছে। অনেক মানুষ চলাচল করে। বাড়ির সামনে থেকে অপহরণের প্রশ্নই ওঠে না। তাঁরা দাবি করেন, ঘটনার রাতে সেঁজুতি প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের নানা হামেদ হাওলাদারের ঘরে পড়ছিল। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে প্রতিবেশী ও চৈতা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নয়ন মৃধা ওই বাড়িতে গিয়ে সেঁজুতিকে বলে, তার মা বাড়িতে ডাকছেন। তখন নয়নের সঙ্গেই সেঁজুতি নানার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। ছোট নালার ওপর বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে ওত পেতে থাকা সবুজ খান, শামীম ও সাইফুল পেছন থেকে কাপড় দিয়ে সেঁজুতির মুখ বেঁধে ফেলে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ সময় সেঁজুতিকে ধর্ষণ করে। ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাত ১০টার দিকে আবদুল হামেদ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠানে নামলে তাঁর ঘরের পাশে পাহারায় থাকা নয়ন ভয় পেয়ে নালার মধ্যে পড়ে যায়। তখন হামেদ চিৎকার দিলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন গিয়ে মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় সেঁজুতিকে বাগান থেকে উদ্ধার করে। গভীর রাতে নিজ বাড়িতেই সেঁজুতির জ্ঞান ফেরে।
কিন্তু মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সেঁজুতি এশার নামাজ আদায়ের জন্য উঠানের নলকূপে অজু করতে যায়। তখন আসামিরা তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
মামলার এজাহারে ঘটনা আড়াল করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর বক্তব্যের ব্যাপারে হাফিজা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওর (সেঁজুতি) বাবা বিদেশে থাকেন। তিনি যদি জানতে পারেন মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়ি পাহারা দিতে পাঠিয়েছি, তাহলে ক্ষুব্ধ হবেন। তা ছাড়া মেয়েকে তো বিয়ে দিতে হবে। তাই প্রকৃত ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে।' তাঁর দাবি, সেঁজুতিকে ধর্ষণ করা হয়নি।
ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে। এর পরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
No comments