পাকিস্তানি পত্রিকার দাবি-পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বানাতে চায় চীন
পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে চায় চীন। পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া সিনচিয়াং প্রদেশের চরমপন্থীদের দমনে এ ঘাঁটি ব্যবহার করবে তারা। পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় এসব চরমপন্থী প্রশিক্ষণ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, রাজনৈতিক কারণে ইসলামাদের পক্ষে এখনই প্রকাশ্যে বেইজিংকে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়।পাকিস্তানের দ্য নিউজ পত্রিকা কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার জানায়, চীন তাদের দেশে তৎপর আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট পূর্ব তুর্কমেনিস্তান ইসলামী আন্দোলনের বেড়ে চলা তৎপরতা প্রতিরোধে পাকিস্তানে সেনা ঘাঁটি স্থাপন করতে চাইছে। এ বিদ্রোহী দলটি চীনের একাংশে একটি স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় এরা প্রশিক্ষণ নেয়। আল কায়েদা তাদের আর্থিক সহায়তাও করে। পাকিস্তানের এ এলাকার ব্যাপারে চীনের উদ্বেগ রয়েছে।
চীনা সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেইজিংয়ের অভিযোগ, 'প্রায় এক দশক ধরে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে সিনচিয়াংয়ে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। তারা মনে করে, এসব বিদ্রোহীকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেরও সামরিক উপস্থিতি থাকা উচিত পাকিস্তানে।' পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা সম্প্রতি চীন সফর করেন। সিনচিয়াংয়ের কাশগর শহরে গত জুলাইয়ে দুই দফা বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মেং চিয়ানঝুও পাকিস্তান সফর করেন। এসব সফরেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় চীন ও পাকিস্তান দীর্ঘ দিনের সহযোগী। কাশগর ঘটনার পর তারা এ সহযোগিতা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন মার্কিন হামলায় নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ 'বেইজিং-এর দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকতে শুরু করেছে। সম্ভবত ওয়াশিংটনের অতিরিক্ত চাপ এড়াতে বেইজিংকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তারা। অ্যাবোটাবাদে হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সহায়তা চাইতে বেইজিং সফর করেন। গিলানির সফরসঙ্গী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মুখতার জানান, সে সময় পাকিস্তানের সব আবেদন সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয় চীন। এমনকি ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষায় পাকিস্তানের গদর এলাকায় একটি নৌঘাঁটি তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাবেও রাজি হয় তারা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক কারণেই পাকিস্তান সরকারের পক্ষে চীনকে এখনই এ ধরনের ঘাঁটির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংকে ইসলামাবাদ হয়তো তাদের সামরিক স্থাপনাগুলো ব্যবহার করতে দেবে। তবে সেক্ষেত্রে তারা হয়তো প্রকাশ্যে কোনো ঘোষণা দেবে না। সূত্র : পিটিআই।
চীনা সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেইজিংয়ের অভিযোগ, 'প্রায় এক দশক ধরে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে সিনচিয়াংয়ে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে। তারা মনে করে, এসব বিদ্রোহীকে প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের মতো চীনেরও সামরিক উপস্থিতি থাকা উচিত পাকিস্তানে।' পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা সম্প্রতি চীন সফর করেন। সিনচিয়াংয়ের কাশগর শহরে গত জুলাইয়ে দুই দফা বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মেং চিয়ানঝুও পাকিস্তান সফর করেন। এসব সফরেই বিষয়টি আলোচনায় আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় চীন ও পাকিস্তান দীর্ঘ দিনের সহযোগী। কাশগর ঘটনার পর তারা এ সহযোগিতা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন মার্কিন হামলায় নিহত হওয়ার পর ইসলামাবাদ 'বেইজিং-এর দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকতে শুরু করেছে। সম্ভবত ওয়াশিংটনের অতিরিক্ত চাপ এড়াতে বেইজিংকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তারা। অ্যাবোটাবাদে হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সহায়তা চাইতে বেইজিং সফর করেন। গিলানির সফরসঙ্গী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মুখতার জানান, সে সময় পাকিস্তানের সব আবেদন সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয় চীন। এমনকি ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষায় পাকিস্তানের গদর এলাকায় একটি নৌঘাঁটি তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাবেও রাজি হয় তারা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাজনৈতিক কারণেই পাকিস্তান সরকারের পক্ষে চীনকে এখনই এ ধরনের ঘাঁটির অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংকে ইসলামাবাদ হয়তো তাদের সামরিক স্থাপনাগুলো ব্যবহার করতে দেবে। তবে সেক্ষেত্রে তারা হয়তো প্রকাশ্যে কোনো ঘোষণা দেবে না। সূত্র : পিটিআই।
No comments