এই শতাব্দীতে হাজার কোটিতে পৌঁছাবে বিশ্বের জনসংখ্যা
আগামী সপ্তাহেই বিশ্বের জনসংখ্যার পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০০ কোটিতে। এখন এই পৃথিবীকে ৭০০ কোটি মানুষের সুস্থভাবে বসবাসের উপযোগী করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ বুধবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার একই রকম থাকলে এই শতকের শেষ দিকে তা এক হাজার কোটিতে পৌঁছতে পারে। তবে বৃদ্ধির এই হার আর একটু বেড়ে গেলেই তা এক হাজার ৫০০ কোটিতেও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের পপুলেশন ফান্ড এক্সিকিউটিভ বাবাটুন্ডে ওজোটিমেহিন আজ লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রতিবেদনটিতে পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর জনসংখ্যার প্রভাবটাই দেখানো হয়েছে।
তবে তুলনামূলকভাবে উন্নতি, সুশিক্ষা ও জন্ম নিরোধকের প্রাপ্তির সহজ সুযোগ থাকলে গোটা বিশ্বেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার কমে আসবে। ধনী দেশগুলো সহজেই এভাবে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে পারে।
গত ছয় দশকের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার গড়ে অনেকটাই কমে গেছে। যেমন আগে একজন নারীর গড়ে ছয় সন্তানের মা হতেন। আর এখন তা কমে ২ দশমিক ৫ এসে পৌঁছেছে।
এর পরও প্রতিবছর প্রায় আট কোটি মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যার সঙ্গে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশের বয়স হলো ২৫ বছরের নিচে।
বাবাটুন্ডে ওজোটিমেহিন বলেন, জনসংখ্যার এই প্রতিবেদনটিকে বিভিন্নভাবেই দেখা যেতে পারে। যেমন মানুষের দীর্ঘায়ু বা তাদের সুস্বাস্থ্য—যেকোনো দিক থেকেই এটিকে দেখা যেতে পারে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘তাহলে আমাদের এই পৃথিবী কী পরিমাণ জনসংখ্যা ধারণ করতে পারে?’ এর জবাবে আবার তিনিই বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কিন্তু সেটার সঠিক সংখ্যা ভাবার সময় এখনো আমাদের আসেনি। যখন আমরা দেখব যে আমাদের জনসংখ্যা অনেক হারে বেড়ে যাচ্ছে, তখন ভাবতে হবে ঝুঁকি আমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলছে। ভবিষ্যতে সবার সুন্দর জীবনযাপনের নতুন নতুন সুযোগকেও আমরা হারিয়ে ফেলছি।’
আর জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি এসব ঝুঁকির চ্যালেঞ্জকেই গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো:
যুব সমাজের সহায়তা: যুবসমাজের বড় একটি সংখ্যা দরিদ্রগুলোর দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বড় ধরনের আশা হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব বিশ্বে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ যুবক বেকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সুপারিশ করেছে, যুবসমাজের এই সংখ্যাই ওই দেশের উন্নতির জন্য প্রধান সহায়ক হতে পারে।
সবুজ সংকট: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরে যেসব পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে, তা এরই মধ্যে খাদ্য, শক্তি ও বাড়ি নির্মাণের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এ জন্য প্রতি বছর প্রাকৃতিক সম্পদের পুনর্ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। হর্ন অব আফ্রিকায় (ইথিওপিয়া) ব্যাপক খাদ্যাভাব ও বৃষ্টিহীনতার জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি। আর এর প্রভাব পড়ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার ওপর। প্রতিবেদনটি বলছে, এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্ব চাহিদার তুলনায় পানির সংকট বাড়বে ৪০ শতাংশ।
শহরের ভবিষ্যত্: শহর কিংবা গ্রামে জনসংখ্যার ভারসাম্য অপরিবর্তনীয় রয়েছে। জনসংখ্যা শহরকে ক্রমেই পুঞ্জীভূত করে ফেলছে বলে জানিয়েছে ইউএনএফপিএ। সংস্থাটি দেখিয়েছে, টোকিওতে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা, এর পরিমাণ হলো তিন কোটি ৬৭ লাখ। এ ছাড়া দিল্লিতে দুই কোটি ২০ লাখ, সাওপাওলোতে দুই কোটি এবং মুম্বাইতেও দুই কোটি মানুষের বসবাস।
যেহেতু বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাই এখন দরকার খুব ভালো নগর পরিকল্পনার। আবাসিক এলাকাও বেশ জরুরি। শহরে আবাসনব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ও সবুজায়নের দিকেও জোর দিতে হবে।
অভিবাসন: অনেক উন্নত দেশেই শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য অভিবাসন একটি ভালো উপায়। এ ক্ষেত্রে উচ্চ জনসংখ্যার দেশ থেকে লোকজনকে ওইসব দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
পরিবার পরিকল্পনা: বিশ্বের অনেক দেশ এখনো জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অনেক পিছিয়ে আছে। আর এটার মূল কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে অজ্ঞতা।
এ বিষয়ে বাবাটুন্ডে ওজোটিমেহিন বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনার জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন এই মুহূর্তে তার জোগান নেই। সব শেষে তিনি আরও বলেছেন, শক্তিশালী জনসংখ্যা পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
তবে তুলনামূলকভাবে উন্নতি, সুশিক্ষা ও জন্ম নিরোধকের প্রাপ্তির সহজ সুযোগ থাকলে গোটা বিশ্বেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার কমে আসবে। ধনী দেশগুলো সহজেই এভাবে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনতে পারে।
গত ছয় দশকের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার গড়ে অনেকটাই কমে গেছে। যেমন আগে একজন নারীর গড়ে ছয় সন্তানের মা হতেন। আর এখন তা কমে ২ দশমিক ৫ এসে পৌঁছেছে।
এর পরও প্রতিবছর প্রায় আট কোটি মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যার সঙ্গে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশের বয়স হলো ২৫ বছরের নিচে।
বাবাটুন্ডে ওজোটিমেহিন বলেন, জনসংখ্যার এই প্রতিবেদনটিকে বিভিন্নভাবেই দেখা যেতে পারে। যেমন মানুষের দীর্ঘায়ু বা তাদের সুস্বাস্থ্য—যেকোনো দিক থেকেই এটিকে দেখা যেতে পারে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘তাহলে আমাদের এই পৃথিবী কী পরিমাণ জনসংখ্যা ধারণ করতে পারে?’ এর জবাবে আবার তিনিই বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কিন্তু সেটার সঠিক সংখ্যা ভাবার সময় এখনো আমাদের আসেনি। যখন আমরা দেখব যে আমাদের জনসংখ্যা অনেক হারে বেড়ে যাচ্ছে, তখন ভাবতে হবে ঝুঁকি আমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলছে। ভবিষ্যতে সবার সুন্দর জীবনযাপনের নতুন নতুন সুযোগকেও আমরা হারিয়ে ফেলছি।’
আর জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি এসব ঝুঁকির চ্যালেঞ্জকেই গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো:
যুব সমাজের সহায়তা: যুবসমাজের বড় একটি সংখ্যা দরিদ্রগুলোর দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য বড় ধরনের আশা হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব বিশ্বে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ যুবক বেকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সুপারিশ করেছে, যুবসমাজের এই সংখ্যাই ওই দেশের উন্নতির জন্য প্রধান সহায়ক হতে পারে।
সবুজ সংকট: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরে যেসব পরিবেশগত সমস্যা রয়েছে, তা এরই মধ্যে খাদ্য, শক্তি ও বাড়ি নির্মাণের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এ জন্য প্রতি বছর প্রাকৃতিক সম্পদের পুনর্ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। হর্ন অব আফ্রিকায় (ইথিওপিয়া) ব্যাপক খাদ্যাভাব ও বৃষ্টিহীনতার জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত জনসংখ্যার বৃদ্ধি। আর এর প্রভাব পড়ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার ওপর। প্রতিবেদনটি বলছে, এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে গোটা বিশ্ব চাহিদার তুলনায় পানির সংকট বাড়বে ৪০ শতাংশ।
শহরের ভবিষ্যত্: শহর কিংবা গ্রামে জনসংখ্যার ভারসাম্য অপরিবর্তনীয় রয়েছে। জনসংখ্যা শহরকে ক্রমেই পুঞ্জীভূত করে ফেলছে বলে জানিয়েছে ইউএনএফপিএ। সংস্থাটি দেখিয়েছে, টোকিওতে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা, এর পরিমাণ হলো তিন কোটি ৬৭ লাখ। এ ছাড়া দিল্লিতে দুই কোটি ২০ লাখ, সাওপাওলোতে দুই কোটি এবং মুম্বাইতেও দুই কোটি মানুষের বসবাস।
যেহেতু বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাই এখন দরকার খুব ভালো নগর পরিকল্পনার। আবাসিক এলাকাও বেশ জরুরি। শহরে আবাসনব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ও সবুজায়নের দিকেও জোর দিতে হবে।
অভিবাসন: অনেক উন্নত দেশেই শ্রমিকের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য অভিবাসন একটি ভালো উপায়। এ ক্ষেত্রে উচ্চ জনসংখ্যার দেশ থেকে লোকজনকে ওইসব দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
পরিবার পরিকল্পনা: বিশ্বের অনেক দেশ এখনো জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অনেক পিছিয়ে আছে। আর এটার মূল কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে অজ্ঞতা।
এ বিষয়ে বাবাটুন্ডে ওজোটিমেহিন বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনার জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন এই মুহূর্তে তার জোগান নেই। সব শেষে তিনি আরও বলেছেন, শক্তিশালী জনসংখ্যা পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
No comments