কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই আবাসন খাত চাঙা করার উদ্যোগ
ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবার রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়েই দেশের ভেঙে পড়া আবাসন খাতে প্রাণ ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। চাকরির ক্ষেত্র তৈরিসংক্রান্ত প্রস্তাব রিপাবলিকানরা আটকে দেওয়ার পর তিনি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যেগুলো কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই নিতে পারবেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা গত সোমবার লাস ভেগাস অঙ্গরাজ্য সফরকালে ঘোষণা দিয়েছেন, বন্ধকি ঋণে আটকে পড়া গৃহ-মালিকদের ঋণ পুনর্মূল্যায়ন সহজ করা হবে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোকাবিলায় কংগ্রেসের নিষ্ক্রিয়তার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
ওবামা বলেন, এসব পদক্ষেপ দেশে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তার বিকল্প না হলেও এর ফলে কিছুটা পার্থক্য তৈরি হবে। রিপাবলিকানদের আচরণে বিরক্ত ওবামা বলেন, ‘এসব কাজের জন্য আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে অকেজো হয়ে পড়া কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য ধৈর্য নিয়ে আর বসে থাকতে পারি না। যেখানে তারা কিছুই করতে চায় না, সেখানে আমিই উদ্যোগী হব।’
চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জনপ্রিয়তা ক্রমেই নিম্নমুখী। দেশে বেকারত্বের হার এখন প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থনৈতিক প্রাণচাঞ্চল্যের অন্যতম ক্ষেত্র আবাসন খাতে চলছে চরম সংকট। গত পাঁচ বছরে আবাসন খাতে রীতিমতো ধস নেমেছে। বাড়িঘরের বাজারমূল্য নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গৃহ-মালিকদের বন্ধকের পরিমাণ ঘরবাড়ির বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি। চড়া সুদের বন্ধকি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় অনেক বাড়িঘর মালিকের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বন্ধকদাতা ব্যাংকগুলোও বাড়িঘর বিক্রি করতে পারছে না বাজারমূল্য কমে যাওয়ার কারণে। ব্যাপক কর্মহীনতা এবং অর্থনৈতিক মন্দা থাকার কারণে ঘরবাড়ির ক্রেতার সংখ্যাও সর্বনিম্ন পর্যায়ে। প্রেসিডেন্ট ওবামা আবাসন খাতে চরম ধস নামা নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস শহরকেই বেছে নিয়েছেন তাঁর পদক্ষেপ শুরুর জন্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় নেভাদায় বেকারত্বের হার বেশি। সেটা ১৩ দশমিক ৪ ভাগ। গত চার বছরে সেখানে বাড়ির মূল্য ১৭ ভাগ কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতিতে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ঘোষণায় বলেন, বন্ধকি ঋণে আটকে পড়া বাড়ির মালিকেরা কম সুদে ঋণ পুনর্বিন্যাস করতে পারবেন। যেসব বাড়ির মালিকেরা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন, তাঁরা ভিন্ন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। গৃহঋণ এবং গৃহঋণ পুনর্মূল্যায়নে এর আগে আরোপিত কড়াকড়িও শিথিল করা হবে। যেসব বাড়িঘরের বাজারমূল্য ঋণের মূল্যমানের নিচে নেমে গেছে, সেসব বাড়ির মালিকেরাও নতুন করে ঋণসুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
ওবামা আরও বলেন, দেশব্যাপী এক কোটির বেশি বাড়ির মালিক ডুবতে বসেছেন। তার মানে, তাঁদের বাড়ির বর্তমান মূল্যের চেয়ে তাঁদের ঋণের পরিমাণ বেশি। লাস ভেগাসের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সারা দেশেই এ খাতে দুর্দিন চলছে। ওবামা স্বীকার করেন, বেকারত্বের হার এবং গৃহ উপকরণের দাম না কমানো পর্যন্ত আবাসন খাতের সব সংকট দূর করা সম্ভব নয়।
দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইন প্রণয়নের জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত সপ্তাহে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ আটকে দেন রিপাবলিকানরা। তাঁরা বলছেন, কর বাড়ানোর বিষয়সংবলিত ওই প্রস্তাবের ফলে ধনী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীরা নাখোশ হবে। এতে বেকারত্বের পাল্লা আরও ভারী হবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা গত সোমবার লাস ভেগাস অঙ্গরাজ্য সফরকালে ঘোষণা দিয়েছেন, বন্ধকি ঋণে আটকে পড়া গৃহ-মালিকদের ঋণ পুনর্মূল্যায়ন সহজ করা হবে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোকাবিলায় কংগ্রেসের নিষ্ক্রিয়তার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
ওবামা বলেন, এসব পদক্ষেপ দেশে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তার বিকল্প না হলেও এর ফলে কিছুটা পার্থক্য তৈরি হবে। রিপাবলিকানদের আচরণে বিরক্ত ওবামা বলেন, ‘এসব কাজের জন্য আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে অকেজো হয়ে পড়া কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের জন্য ধৈর্য নিয়ে আর বসে থাকতে পারি না। যেখানে তারা কিছুই করতে চায় না, সেখানে আমিই উদ্যোগী হব।’
চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জনপ্রিয়তা ক্রমেই নিম্নমুখী। দেশে বেকারত্বের হার এখন প্রায় ১০ শতাংশ। অর্থনৈতিক প্রাণচাঞ্চল্যের অন্যতম ক্ষেত্র আবাসন খাতে চলছে চরম সংকট। গত পাঁচ বছরে আবাসন খাতে রীতিমতো ধস নেমেছে। বাড়িঘরের বাজারমূল্য নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গৃহ-মালিকদের বন্ধকের পরিমাণ ঘরবাড়ির বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি। চড়া সুদের বন্ধকি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় অনেক বাড়িঘর মালিকের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। বন্ধকদাতা ব্যাংকগুলোও বাড়িঘর বিক্রি করতে পারছে না বাজারমূল্য কমে যাওয়ার কারণে। ব্যাপক কর্মহীনতা এবং অর্থনৈতিক মন্দা থাকার কারণে ঘরবাড়ির ক্রেতার সংখ্যাও সর্বনিম্ন পর্যায়ে। প্রেসিডেন্ট ওবামা আবাসন খাতে চরম ধস নামা নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস শহরকেই বেছে নিয়েছেন তাঁর পদক্ষেপ শুরুর জন্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় নেভাদায় বেকারত্বের হার বেশি। সেটা ১৩ দশমিক ৪ ভাগ। গত চার বছরে সেখানে বাড়ির মূল্য ১৭ ভাগ কমেছে। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি জাতীয় অর্থনীতিতে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ঘোষণায় বলেন, বন্ধকি ঋণে আটকে পড়া বাড়ির মালিকেরা কম সুদে ঋণ পুনর্বিন্যাস করতে পারবেন। যেসব বাড়ির মালিকেরা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন, তাঁরা ভিন্ন বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কম সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। গৃহঋণ এবং গৃহঋণ পুনর্মূল্যায়নে এর আগে আরোপিত কড়াকড়িও শিথিল করা হবে। যেসব বাড়িঘরের বাজারমূল্য ঋণের মূল্যমানের নিচে নেমে গেছে, সেসব বাড়ির মালিকেরাও নতুন করে ঋণসুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
ওবামা আরও বলেন, দেশব্যাপী এক কোটির বেশি বাড়ির মালিক ডুবতে বসেছেন। তার মানে, তাঁদের বাড়ির বর্তমান মূল্যের চেয়ে তাঁদের ঋণের পরিমাণ বেশি। লাস ভেগাসের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সারা দেশেই এ খাতে দুর্দিন চলছে। ওবামা স্বীকার করেন, বেকারত্বের হার এবং গৃহ উপকরণের দাম না কমানো পর্যন্ত আবাসন খাতের সব সংকট দূর করা সম্ভব নয়।
দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইন প্রণয়নের জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত সপ্তাহে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ আটকে দেন রিপাবলিকানরা। তাঁরা বলছেন, কর বাড়ানোর বিষয়সংবলিত ওই প্রস্তাবের ফলে ধনী কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারীরা নাখোশ হবে। এতে বেকারত্বের পাল্লা আরও ভারী হবে।
No comments