দাকোপ-কয়রায় আইলা-প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থ বিতরণ মাঝপথে বন্ধ by গৌরাঙ্গ নন্দী,
খুলনা জেলার আইলা-দুর্গত দাকোপ ও কয়রার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অনুদানের পুরো টাকা এখনো পায়নি। এক কিস্তি টাকা ছাড়ের পর বাকি টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি উৎকোচ দিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ২৩ জুলাই আইলা-দুর্গত এলাকা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী দুর্গত মানুষের জন্য গৃহ-নির্মাণ সহায়তা হিসেবে এই অনুদানের ঘোষণা দেন। তিনি প্রতিটি পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেন।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দৌলতুজ্জামান ও দাকোপ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম খান অর্থ বিতরণ বাকি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাঁধ না আটকানোয় জোয়ারের পানিতে প্রতিদিন দুইবার এলাকাটি ডুবতে থাকায় গত বছর (প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর) এই টাকা বিতরণ করা হয়নি। এ বছরের গত মার্চ মাসের দিকে পানি সরে গেলে টাকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথম দফায় প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। পরে বাকি আট হাজার টাকা দেওয়ার কথা।
দাকোপের কামারখোলা ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের তারাপদ মণ্ডল, সুব্রত বাছাড়, কার্তিক মণ্ডলরা অভিযোগ করেন, তাঁরা দ্বিতীয় দফার আট হাজার টাকা এখনো পাননি। একজন বলেন, 'মেম্বাররে যারা এক হাজার করে টাকা দিছে তারাই টাকা আনতি পারিছে। যারা টাকা দেয়নি, তারা বাকি টাকা তুলতে পারেনি।' এর মধ্যে কার্তিক মণ্ডল এক হাজার টাকা দিয়েও অনুদানের আট হাজার টাকা পাননি। তিনি বলেন, 'এলাকায় মেম্বারের (ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য) লোক বলে পরিচিত রুহুল আমিনের কাছে আমি এক হাজার টাকা দিয়েছিলাম, আমার সেই সময় টাকাগুলো ভীষণ দরকার ছিল। তারপরও টাকা পাইনি।' সুব্রত বাছাড় হতাশ কণ্ঠে বলেন, 'আমি অনুদানের টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি।'
দাকোপের কামারখোলা ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের তারাপদ মণ্ডল, সুব্রত বাছাড়, কার্তিক মণ্ডলরা অভিযোগ করেন, তাঁরা দ্বিতীয় দফার আট হাজার টাকা এখনো পাননি। একজন বলেন, 'মেম্বাররে যারা এক হাজার করে টাকা দিছে তারাই টাকা আনতি পারিছে। যারা টাকা দেয়নি, তারা বাকি টাকা তুলতে পারেনি।' এর মধ্যে কার্তিক মণ্ডল এক হাজার টাকা দিয়েও অনুদানের আট হাজার টাকা পাননি। তিনি বলেন, 'এলাকায় মেম্বারের (ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য) লোক বলে পরিচিত রুহুল আমিনের কাছে আমি এক হাজার টাকা দিয়েছিলাম, আমার সেই সময় টাকাগুলো ভীষণ দরকার ছিল। তারপরও টাকা পাইনি।' সুব্রত বাছাড় হতাশ কণ্ঠে বলেন, 'আমি অনুদানের টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি।'
No comments