কিশোরগঞ্জ বিএনপিতে কোন্দল-করিমগঞ্জে ১৪৪ ধারা সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় গতকাল বুধবার বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এতে কোনো পক্ষেরই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি। পরে গতকাল দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দলীয় কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।জেলা বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরেই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায়ই এসব নিয়ে বিএনপির একাধিক বিবদমান গ্রুপ ক্রিয়াশীল।


দলীয় ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল করিমগঞ্জে ওসমান ফারুকের নেতৃত্বাধীন উপজেলা বিএনপি এক সমাবেশ আহ্বান করে। ময়মনসিংহে খালেদা জিয়ার মহাসমাবেশ সফল করতে এ সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। করিমগঞ্জ বাঁশমহালে ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওসমান ফারুকের। কিন্তু প্রতিপক্ষ সাবেক সভাপতি রফিকুর রহমান গ্রুপ একই এলাকায় সমাবেশ ঘোষণা করে মঙ্গলবার ব্যাপক মাইকিং করে। এতে আবার দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করিমগঞ্জ উপজেলা সদরের বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে করিমগঞ্জ বাজারে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। করিমগঞ্জে সমাবেশ করতে না পেরে কিশোরগঞ্জে চলে আসেন ওসমান ফারুক। গতকাল দুপুরে শহরের ইসলামিয়া মার্কেট এলাকায় তাঁর গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৭২২২) রাস্তার পাশে রেখে কাছেই একটি ঘরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একদল যুবক হঠাৎ হামলা চালিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর করে। তবে ওই সময় গাড়িতে কেউ ছিল না। এদিকে গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ওসমান ফারুক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় ড. ওসমান ফারুক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.