সিরিয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ওপর নির্যাতন চলছে
সরকারবিরোধীদের দমন অভিযানের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোয় এখন রোগীদের ওপর নির্যাতন ও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। গত সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টির ৩৯ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সিরিয়ায় অন্তত চারটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ওপর নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জড়িত। এ ছাড়া আহত বিক্ষোভকারী ও বিক্ষোভসংশ্লিষ্ট ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের যেসব স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পড়েছেন উভয় সংকটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আহত বেসামরিক লোকজন হাসপাতালে না যাওয়াটাই নিরাপদ মনে করছে।
তবে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে সরকারবিরোধী রোগীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মার্চে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাশার সরকারের কঠোর দমন অভিযান সত্ত্বেও এ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
সিরিয়ার একজন মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, গত মার্চে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে সরকার।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক গবেষক সিলিনা নাসের বলেন, এটা গভীর উদ্বেগের বিষয় যে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ সম্ভবত হাসপাতালগুলোয় নিরাপত্তা বাহিনীকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিয়েছে এবং অনেক ঘটনায় দেখা গেছে, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের যেসব রোগীর যত্ন নেওয়ার কথা, সেসব রোগীর ওপরই তারা নির্যাতন চালাচ্ছে ও দুর্ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি চলছে। অনেকেই এখন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নির্যাতন এড়াতে তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে, এমন অস্থায়ী হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা নিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
দামেস্ক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের সহপ্রতিষ্ঠাতা রাদওয়ান জিয়াদেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী কতজনকে আটক করেছে, কেউ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানে না।
অ্যামনেস্টির ৩৯ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সিরিয়ায় অন্তত চারটি সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ওপর নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা জড়িত। এ ছাড়া আহত বিক্ষোভকারী ও বিক্ষোভসংশ্লিষ্ট ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের যেসব স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পড়েছেন উভয় সংকটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আহত বেসামরিক লোকজন হাসপাতালে না যাওয়াটাই নিরাপদ মনে করছে।
তবে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে সরকারবিরোধী রোগীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত মার্চে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বাশার সরকারের কঠোর দমন অভিযান সত্ত্বেও এ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
সিরিয়ার একজন মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, গত মার্চে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে সরকার।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক গবেষক সিলিনা নাসের বলেন, এটা গভীর উদ্বেগের বিষয় যে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ সম্ভবত হাসপাতালগুলোয় নিরাপত্তা বাহিনীকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিয়েছে এবং অনেক ঘটনায় দেখা গেছে, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের যেসব রোগীর যত্ন নেওয়ার কথা, সেসব রোগীর ওপরই তারা নির্যাতন চালাচ্ছে ও দুর্ব্যবহার করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতি চলছে। অনেকেই এখন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নির্যাতন এড়াতে তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে, এমন অস্থায়ী হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা নিচ্ছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
দামেস্ক সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের সহপ্রতিষ্ঠাতা রাদওয়ান জিয়াদেহ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী কতজনকে আটক করেছে, কেউ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানে না।
No comments