ওয়াদা পূরণ করতেই হবে -প্রথম দিন কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী
টানা
তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে প্রথম কার্যালয়ে এসে
কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিলেন শেখ হাসিনা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ
তাগাদা দিয়ে বলেন, যে ওয়াদা আমরা জাতির কাছে দিয়ে এসেছি সেটা বাস্তবায়ন
করতেই হবে। এটা করতে হলে কাজ করতে হবে। সেজন্য নির্বাচনী ইশতেহারকে আমরা
গুরুত্ব দেই। ক্ষমতাটা শুধু চেয়ারে বসে ভোগ করা নয়, এটা জনগণের কাছে
দায়িত্ববোধ।
প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখার জন্য সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর আজ পিএমও অফিসে তার প্রথম কর্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, যদিও কোনো দেশের পক্ষেই শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সরকারের একটা দায়িত্ব হলো এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাতে এটি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং আমাদের সকল সাফল্য ম্লান করে না দেয়। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা দেশে বারংবার ঘটেছে। ‘কিন্তু আমরা দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।
প্রযুক্তির বদৌলতে এই সাফল্য এসেছে এবং এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা ভালো ফল। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণের কল্যাণে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে জনগণ তার সুফল ভোগ করতে পারে। আমরা দেশকে উন্নত ও সম্ভাবনাময় জাতিতে পরিণত করতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছি।
এটাকে অবশ্যই আমাদের ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই, যাতে করে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। দেশ সকল ক্ষেত্রে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে চায়। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আর অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যেন দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই যে বা যারা দেশের ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করবে এবং উন্নয়নকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বিশ্ববাসী আমাদের দেশকে সম্মানের চোখে দেখে থাকে। কিন্তু এক সময় বাংলাদেশকে খরা, দুর্ভিক্ষ, বন্যার দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছিলো। যা আমাদের কষ্ট দিতো। আর আমরা এটাকে সহ্য করতে চাই না। তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে আমি মনে করতাম আর কাউকে দেশকে খাটো করতে দেবো না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি, তাই সব সময় মাথা উঁচু করে থাকতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি পাকিস্তানি জনগণ আমাদের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বাংলাদেশের মতো তাদের দেশকে রূপান্তরিত হতে দেখতে চায় এবং এর চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আর হতে পারে না’। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের জনগণের সেবা করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা ছিল না। ‘কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কীভাবে কাজ করা যায় সেকথা চিন্তা করে এবং ওই চিন্তার কারণে আমরা তাদের জন্য সব করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) কর্মকাণ্ডে গতি আনতে তিনি তার আগের মেয়াদগুলোর মতো শিগগিরই মন্ত্রণালয়সমূহ পরিদর্শন শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ব্যাপারে লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী এম. আবুল কালাম আজাদ। এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব, উপদেষ্টাবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকরা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: চতুর্থ বার এবং টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ চত্বরে সংরক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পুপার্ঘ্য অর্পণের পর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালনে এদিনই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার প্রথম অফিস করেন। শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পৌঁছলে তাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখার জন্য সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর আজ পিএমও অফিসে তার প্রথম কর্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, যদিও কোনো দেশের পক্ষেই শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সরকারের একটা দায়িত্ব হলো এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাতে এটি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং আমাদের সকল সাফল্য ম্লান করে না দেয়। প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা দেশে বারংবার ঘটেছে। ‘কিন্তু আমরা দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।
প্রযুক্তির বদৌলতে এই সাফল্য এসেছে এবং এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা ভালো ফল। প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের জনগণের কল্যাণে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে জনগণ তার সুফল ভোগ করতে পারে। আমরা দেশকে উন্নত ও সম্ভাবনাময় জাতিতে পরিণত করতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছি।
এটাকে অবশ্যই আমাদের ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় সকল প্রকার উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই, যাতে করে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। দেশ সকল ক্ষেত্রে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে চায়। বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আর অপরের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর যেন দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই যে বা যারা দেশের ক্ষমতায় আসুক না কেন তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করবে এবং উন্নয়নকে সামনের দিকে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বিশ্ববাসী আমাদের দেশকে সম্মানের চোখে দেখে থাকে। কিন্তু এক সময় বাংলাদেশকে খরা, দুর্ভিক্ষ, বন্যার দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছিলো। যা আমাদের কষ্ট দিতো। আর আমরা এটাকে সহ্য করতে চাই না। তিনি বলেন, ‘সেই সময় থেকে আমি মনে করতাম আর কাউকে দেশকে খাটো করতে দেবো না। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছি, তাই সব সময় মাথা উঁচু করে থাকতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনকি পাকিস্তানি জনগণ আমাদের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে বাংলাদেশের মতো তাদের দেশকে রূপান্তরিত হতে দেখতে চায় এবং এর চেয়ে আনন্দের মুহূর্ত আর হতে পারে না’। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের জনগণের সেবা করার ব্যাপারে কোনো চিন্তা ছিল না। ‘কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কীভাবে কাজ করা যায় সেকথা চিন্তা করে এবং ওই চিন্তার কারণে আমরা তাদের জন্য সব করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) কর্মকাণ্ডে গতি আনতে তিনি তার আগের মেয়াদগুলোর মতো শিগগিরই মন্ত্রণালয়সমূহ পরিদর্শন শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ব্যাপারে লক্ষ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী এম. আবুল কালাম আজাদ। এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব, উপদেষ্টাবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক ও অন্যান্য পরিচালকরা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: চতুর্থ বার এবং টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণের বেদিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত শেখ হাসিনা পরে শিখা অনির্বাণ চত্বরে সংরক্ষিত দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পুপার্ঘ্য অর্পণের পর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালনে এদিনই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার প্রথম অফিস করেন। শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পৌঁছলে তাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments