উত্তর প্রদেশে একাই লড়বে কংগ্রেস
উত্তর
প্রদেশে কংগ্রেস সম্ভবত একাই লড়বে। প্রার্থী দেবে ৮০ আসনেই।
আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এই কথা ঘোষণা না হলেও, সম্ভবত এটাই হতে চলেছে দলীয়
সিদ্ধান্ত। রোববার উত্তর প্রদেশ নিয়ে বৈঠকে বসেন দলের শীর্ষ নেতা গুলাম
নবি আজাদ ও উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজ বব্বর। ঠিক হয়েছে, রাজ্যের
বিভিন্ন জেলায় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মোট ১৩টি জনসভা করবেন।
গতকাল শনিবার লক্ষ্ণৌয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রাজ্যের মোট ৮০ আসনের মধ্যে ৭৬টি নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতা অখিলেশ সিং যাদব। যে চারটি আসন তাঁরা ছেড়ে রেখেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাহুল গান্ধীর আমেঠি ও সোনিয়ার রায়বেরিলি। এই দুই আসনে বহুদিন থেকেই এসপি-বিএসপি প্রার্থী দেয় না। অন্য দুটি আসন ছাড়া হচ্ছে অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) জন্য। লক্ষণীয়, ওই ঘোষণা সত্ত্বেও রাহুল বা অজিত সিং কেউই ‘বুয়া-ভাতিজা’র একতরফা ঘোষণার বিন্দুমাত্র সমালোচনা করেননি। বরং দুবাইয়ে থাকা রাহুল ওই জোটবদ্ধতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, ‘দুই দলের নেত্রী ও নেতার প্রতি আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার ওঁদের আছে। তবে আমরাও দু-একটা চমক দেখাব। আমরা নিজেদের মতো করে লড়ব।’
কংগ্রেস ৮০ আসনেই লড়লে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। বিজেপির এতে উৎফুল্লই হওয়ার কথা। কিন্তু উত্তর প্রদেশের জাতভিত্তিক রাজনীতিতে কংগ্রেস সব আসনে একা দাঁড়ালে তা বিজেপির বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে কংগ্রেসের একটা বড় অংশের ধারণা।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তিন বছর পর ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট ও ৭টি আসন। ১৯৮৯ সালের পর এই রাজ্যে কংগ্রেস আর ক্ষমতায় আসেনি। দলের তফসিল ভোট চলে যায় বিএসপিতে, মুসলমান ভোট টেনে নেয় এসপি। সামান্য যা কিছু ভোট অবশিষ্ট তা উচ্চবর্ণের, যাদের ভোট কখনো এসপি ও বিএসপিতে ‘ট্রান্সফার’ হয়নি। ১৯৯১ সালে কংগ্রেস-বিএসপি জোট বাঁধলেও কংগ্রেসের উচ্চবর্ণ ভোট বিএসপির বাক্সে না পড়ে চলে যায় বিজেপিতে। ২০১৭ সালেও তা এসপিতে না গিয়ে যায় বিজেপিতে। ৮০ আসনে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিজেপির তাই ক্ষতি বলেই এই মহলের ধারণা।
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, তিন রাজ্য জয়ের পর রাজ্যের কংগ্রেসিদের মধ্যে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। একা লড়লে অনেককে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ করে দেওয়া যাবে। আবার বিজেপির পথেও কাঁটা ফেলা যাবে। দলের এক বড় নেতা অবশ্য মনে করছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
গতকাল শনিবার লক্ষ্ণৌয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রাজ্যের মোট ৮০ আসনের মধ্যে ৭৬টি নিজেদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতা অখিলেশ সিং যাদব। যে চারটি আসন তাঁরা ছেড়ে রেখেছেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রাহুল গান্ধীর আমেঠি ও সোনিয়ার রায়বেরিলি। এই দুই আসনে বহুদিন থেকেই এসপি-বিএসপি প্রার্থী দেয় না। অন্য দুটি আসন ছাড়া হচ্ছে অজিত সিংয়ের রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) জন্য। লক্ষণীয়, ওই ঘোষণা সত্ত্বেও রাহুল বা অজিত সিং কেউই ‘বুয়া-ভাতিজা’র একতরফা ঘোষণার বিন্দুমাত্র সমালোচনা করেননি। বরং দুবাইয়ে থাকা রাহুল ওই জোটবদ্ধতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, ‘দুই দলের নেত্রী ও নেতার প্রতি আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল। নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার ওঁদের আছে। তবে আমরাও দু-একটা চমক দেখাব। আমরা নিজেদের মতো করে লড়ব।’
কংগ্রেস ৮০ আসনেই লড়লে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ত্রিমুখী। বিজেপির এতে উৎফুল্লই হওয়ার কথা। কিন্তু উত্তর প্রদেশের জাতভিত্তিক রাজনীতিতে কংগ্রেস সব আসনে একা দাঁড়ালে তা বিজেপির বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে কংগ্রেসের একটা বড় অংশের ধারণা।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। তিন বছর পর ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট ও ৭টি আসন। ১৯৮৯ সালের পর এই রাজ্যে কংগ্রেস আর ক্ষমতায় আসেনি। দলের তফসিল ভোট চলে যায় বিএসপিতে, মুসলমান ভোট টেনে নেয় এসপি। সামান্য যা কিছু ভোট অবশিষ্ট তা উচ্চবর্ণের, যাদের ভোট কখনো এসপি ও বিএসপিতে ‘ট্রান্সফার’ হয়নি। ১৯৯১ সালে কংগ্রেস-বিএসপি জোট বাঁধলেও কংগ্রেসের উচ্চবর্ণ ভোট বিএসপির বাক্সে না পড়ে চলে যায় বিজেপিতে। ২০১৭ সালেও তা এসপিতে না গিয়ে যায় বিজেপিতে। ৮০ আসনে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিজেপির তাই ক্ষতি বলেই এই মহলের ধারণা।
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, তিন রাজ্য জয়ের পর রাজ্যের কংগ্রেসিদের মধ্যে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। একা লড়লে অনেককে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ করে দেওয়া যাবে। আবার বিজেপির পথেও কাঁটা ফেলা যাবে। দলের এক বড় নেতা অবশ্য মনে করছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও হতে পারে।
No comments