নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধরের অভিযোগ
দায়িত্ব
পালনকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিজিবি’র এক কর্মকর্তা মারধর করেছেন
বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধরে আহত ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী
কমিশনার রাজিবুল ইসলামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া
হয়েছে। গতকাল সকালে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে
অসন্তোষ তৈরি হয়। এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের
কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন।
এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পানি সম্পদ সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেন,
বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। রহমত নামে বিজিবি’র একজন মেজরের বিরুদ্ধে
রাজিবুলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে একটি
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি সম্পর্কে
খোলাসা হওয়া যাবে।
অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হবে বলে আমরা আশাবাদী। সাভারের ইউএনও শেখ রাসেল হাসান বলেন, বিজিবি’র একজন কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বিধিবহির্ভূত ঘটনা ঘটেছে।
এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তারা আইনসম্মত সমাধানের চেষ্টা করছেন। সাভারে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাভারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে বিজিবি’র একটি দলের সঙ্গে সাভারের উলাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম। সেখানে বিজিবি’র দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেজর রহমত। রাজিবুল সেখানে যাওয়ার পরে মেজর রহমত তাকে ‘আল মুসলিম’ পোশাক কারখানার ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে বসান। রাজিবুল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন সেখানে তিনি লিখেছেন, আল মুসলিম কারখানার ভেতরে ওই কক্ষে মেজর রহমত তার অধীনস্থ বিজিবি’র দুই সদস্যকে ডেকে বলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে সরাসরি গুলি করতে হবে, পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন।
বিষয়টির প্রতিবাদ করে রাজিবুল বলেন, নিয়মানুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়েই গুলি করতে হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মেজর রহমত চড়াও হন রাজিবুলের ওপর। তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। রাজিবুল কোনো রকমে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে রাখা গাড়ির কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। কয়েকটি জেলা থেকে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ব্যানারে প্রতিবাদপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আসছে।
অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হবে বলে আমরা আশাবাদী। সাভারের ইউএনও শেখ রাসেল হাসান বলেন, বিজিবি’র একজন কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে বিধিবহির্ভূত ঘটনা ঘটেছে।
এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তারা আইনসম্মত সমাধানের চেষ্টা করছেন। সাভারে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানান, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাভারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে বিজিবি’র একটি দলের সঙ্গে সাভারের উলাইল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম। সেখানে বিজিবি’র দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেজর রহমত। রাজিবুল সেখানে যাওয়ার পরে মেজর রহমত তাকে ‘আল মুসলিম’ পোশাক কারখানার ভেতরে একটি কক্ষে নিয়ে বসান। রাজিবুল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন সেখানে তিনি লিখেছেন, আল মুসলিম কারখানার ভেতরে ওই কক্ষে মেজর রহমত তার অধীনস্থ বিজিবি’র দুই সদস্যকে ডেকে বলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে সরাসরি গুলি করতে হবে, পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন।
বিষয়টির প্রতিবাদ করে রাজিবুল বলেন, নিয়মানুযায়ী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়েই গুলি করতে হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মেজর রহমত চড়াও হন রাজিবুলের ওপর। তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। রাজিবুল কোনো রকমে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে রাখা গাড়ির কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। কয়েকটি জেলা থেকে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ব্যানারে প্রতিবাদপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আসছে।
No comments