ধান সংগ্রহে জালিয়াতি by আনোয়ার পারভেজ ও আনিছুল ইসলাম

বগুড়ার কাহালু উপজেলার কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষক সুলতান খান উপজেলা খাদ্যগুদামে তিন মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন। সরকারি সংগ্রহ অভিযানের আওতায় এ ধান বেচে তিনি গুদামের নথিতে স্বাক্ষর করে ৬৬ হাজার টাকা বুঝে নিয়েছেন।
কিন্তু ঠিকানা ধরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা গ্রামে গেলে সুলতান খানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মাহফুজার রহমান জানালেন, তাঁর ছেলে সুলতান খান দুই বছর আগে মারা গেছেন।
১ মে থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। কাহালু উপজেলা খাদ্যগুদামের নথি অনুযায়ী, এ অভিযানের আওতায় উপজেলায় কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী ১৩১ জন কৃষকের কাছ থেকে মাথাপিছু গড়ে তিন মেট্রিক টন করে মোট ৩৭৮ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এর মধ্যে প্রথম সপ্তাহেই কেনা হয় ৩২৮ মেট্রিক টন ধান।
মৃত ব্যক্তির নামে গুদামে ধান দেওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওই ১৩১ জন কৃষকের তালিকা থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২০ জনকে নির্বাচন করে প্রথম আলো। এর মধ্যে ১৬ জনের বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আর দুজনের সঙ্গে মুখোমুখি এবং দুজনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা হয়।
এ অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০ জনের মধ্যে দুজন কৃষক আগেই মারা গেছেন। ভোলতা গ্রামের মৃত সুলতান খান ছাড়া অপর ব্যক্তি হলেন নারহট্ট ইউনিয়নের মাধববাগ গ্রামের তোজাম্মেল শেখ। এঁদের নামে গুদামে ধান সরবরাহ করা হয়েছে এবং টাকাও নেওয়া হয়েছে।
বাকি ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জন কৃষক তাঁদের নামে ধান বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের কৃষি কার্ড কাউকে ধার দেননি বলেও দাবি করেন। তিনজন গুদামে ধান বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। একজন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
যে তিনজন গুদামে ধান দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন, তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ এবং তাঁর ভাই আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন কবিরাজ, আরেক ভাই শাহজাহান আলী কবিরাজ। আর আওয়ামী লীগের কর্মী বলে পরিচিত গণেশ চন্দ্র তিন টন ধান দিয়েছেন বলে গুদামের নথিতে উল্লেখ থাকলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি এই কবিরাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, কৃষকের নামে গুদামে ধান বিক্রির এ পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাহালু পৌরসভার মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ এবং তাঁর ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ, সাবেক সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন কবিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) পি এম বেলাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রমুখ।
অভিযোগ স্বীকার করে কামাল উদ্দিন কবিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাই, আমি মিথ্যা কথা বলব না। দলীয়ভাবে বৈঠক করে সমঝোতার ভিত্তিতে ৩৭৮ মেট্রিক টন ধান ভাগাভাগি করে গুদামে দেওয়া হয়। এর মধ্যে পরিচিতজনের কৃষি কার্ডের মাধ্যমে আমি ৪০ মেট্রিক টন ধান গুদামে দিয়েছি।’ তিনি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তাঁর ভাই পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ২০ মেট্রিক টন, আরেক ভাই শাজাহান আলী কবিরাজ ১০ মেট্রিক টন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ৫০, যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন ২০, যুবলীগের সম্মেলনের খরচ মেটানো বাবদ ১০, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ২০, উপজেলা ছাত্রলীগ ২০, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ২০, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মনসুর রহমান ও কৃষক লীগ মিলে ২০, শ্রমিক লীগ ১০ এবং উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কবিতা বেগম পাঁচ মেট্রিক টন ধান গুদামে দিয়েছেন। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ৫০ মেট্রিক টন ধানের ভাগাভাগি নিয়ে মেয়রের সঙ্গে যুবলীগের মেহেদী হাসানের বিরোধ বাধে এবং তা সহিংসতায় গড়ায়।
কামাল উদ্দিন কবিরাজ আরও বলেন, ‘তবে আমার ভাই শাজাহান আলী ১০ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করে যা লাভ করেছেন, তা দিয়ে গ্রামে এক প্রতিবন্ধীকে ঘর করে দিয়েছেন।’
অনুসন্ধান: ভোলতা গ্রামের মৃত কৃষক সুলতান খানের দুই ভাই হারুন অর রশিদ ও শহিদুল ইসলামের কাছ থেকেও তিন মেট্রিক টন করে ধান কেনা হয়েছে বলে গুদামের নথিতে দেখানো হয়েছে। শহিদুল ইসলাম বীরকেদার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই সুলতান ২০১৩ সালে মারা গেছেন। আমি গুদামে এক ছটাক ধানও দিইনি। আমাদের নামে যদি গুদামে ধান ক্রয় দেখানো হয়, তবে সেটা কেউ জালিয়াতি করেছে।’
নারহট্ট ইউনিয়নের মাধববাগ গ্রামের কৃষক তোজাম্মেল শেখের (আগেই মারা গেছেন) কাছ থেকে তিন মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে বলে গুদামের নথিতে উল্লেখ রয়েছে। নথির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে তাঁর ১০৫৪০৪০৬০৭৮৬ নম্বরের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের ফটোকপি। তোজাম্মেলের ছেলে বকুল শেখ বলেন, ‘গত জানুয়ারিত হামার বাপ ক্যানসার হয়্যা মারা গেচে। হামার বাপ ব্যাচা থাকতেও কোনো দিন গুদামত ধান দিবার যায়নি। বাপের কৃষি কার্ড তো হামার কাচেই আচে।’
গুদামের নথি অনুযায়ী, একই গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে তিন টন ধান কেনা হয়েছে। ওই গ্রামে গিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৫) বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কোনো গুদামত ধান দিবার যাইনি। বুড়া বয়সে হামাকেরে নাম ভাঙায়া এ কাম যে করিচে, সে এ্যাকটা বাটপার।’
শিলকোমর গ্রামের ইউনুস আলীর নামে গুদামে দেওয়া তিন মেট্রিক টন ধানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি।
বীরকেদার ইউনিয়নের মদনাই গ্রামের কৃষক সোলেমান আলীর নামে তিন মেট্রিক টন ধান গুদামে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হামি সামান্য জমিত ধান আবাদ করি। হামরা কোনো দিনই গুদামত ধান দিবার যাইনি।’
একই গ্রামের কৃষক নূরুল হুদার নামেও তিন মেট্রিক টন ধান কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে গুদামের নথিতে। নূরুল হুদার ছেলে বাদল মিয়া বলেন, ‘হামার আব্বা বৃদ্ধ, অচল মানুষ। দুই বছর আগে আওয়ামী লীগের একজন তো ব্যাংকে ১০ টাকার অ্যাকাউন্ট খোলার কথা কয়া আব্বার কৃষি কার্ডের ফটোকপি লিয়ে গেচলো। ওই নেতাই আব্বার নামে গুদামে ধান দিতে পারে।’
খাদ্যগুদামের নথি অনুযায়ী, দুর্গাপুর ইউনিয়নের আটাশি গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিকের কাছ থেকে তিন মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এ কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দিনই গুদামে ধান দিতে যাইনি। আমার নামে যে কৃষি সহায়তা কার্ড রয়েছে, সেটাও এত দিন জানতাম না।’
প্রশ্ন উঠেছে, কৃষক গুদামে ধান বিক্রি না করলে তাঁদের কৃষি কার্ডের ফটোকপি কী করে সেখানে গেল? জবাব খুঁজতে গিয়ে খাদ্যগুদামের নথিতে দেখা গেল, কয়েকটি বাদে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই কার্ডের স্বাক্ষরের সঙ্গে খাদ্যগুদামের নথিতে করা স্বাক্ষরের মিল পাওয়া যায়নি।
গুদামে ধান বিক্রির কথা স্বীকার করা একাধিক দলীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, খাদ্য বিভাগের ধান ক্রয়ের পুরোনো বছরের নথি থেকে কিছু কৃষি কার্ড সংগ্রহ করা হয়েছে, কিছু কার্ড তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর কিছু কার্ড নেতারাই সংগ্রহ করেছেন।
কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষকদের কৃষি কার্ডের ফটোকপি বিভিন্ন সময় হাতবদল হয়েছে। আগে কৃষি ভর্তুকি দেওয়ার সময় কিছু কার্ড কৃষি বিভাগে এবং ইউরিয়ার মতো সার কিনতে গিয়ে কিছু কার্ডের ফটোকপি ডিলার ও জনপ্রতিনিধিদের হাতে রয়ে গেছে। দলীয় নেতারা হয়তো ওই সব জায়গা থেকে কৃষি কার্ড সংগ্রহ করেছেন।
কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঝরনা বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছর আগে প্রথমবার এবং এক বছর আগে দ্বিতীয় দফায় কৃষি কার্ড বিতরণ করা হয়। কিন্তু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে কৃষকের তথ্য থাকলেও কোনো কৃষকের কার্ড নেই। ফলে এ দপ্তর থেকে কোনো কার্ড কারও হাতে যাওয়ার সুযোগ নেই।
কাহালু উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাদের বলেন, কৃষকের নাম ভাঙিয়ে দলীয় লোকজন ধান দিয়েছেন, সেটা সবারই জানা। খাদ্য বিভাগের বিল প্রদানের নথির স্বাক্ষরের সঙ্গে কৃষি কার্ড বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের স্বাক্ষর মেলালেই বের হয়ে যাবে কতজন প্রকৃত কৃষক গুদামে ধান দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
কাহালু উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩১ মে কাহালুতে যোগদান করার পর আমি ৫০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছি। এর আগেই গুদামে ধান ঢুকেছে ৩২৮ মেট্রিক টন। আমার সময়ে কৃষি সহায়তা কার্ড ছাড়া কারও কাছ থেকে ধান কেনা হয়নি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন কবিরাজ দাবি করেন, গুদামে ৪০ টন ধান দিতে গিয়ে তিনি নিজেই ৭৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন আগের খাদ্য পরিদর্শক আবদুস সোবহানকে। তিনি জানান, প্রতি টন ধানে দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে নিজেই তদবির করে অন্য উপজেলায় বদলি হয়ে গেছেন ওই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে কাহালু থেকে বদলি হয়ে বর্তমানে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা খাদ্য পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা আবদুস সোবহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেবেন, এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে?’ তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি সবই বোঝেন। যাঁরা আমার ওপর অখুশি ছিলেন, তাঁরা এখন ঘুষের কথা বলছেন। আমি কারও কাছ থেকে ঘুষ নিইনি।’
বগুড়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চলতি সংগ্রহ মৌসুমে জেলায় কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৮৫৬ মেট্রিক টন। জেলার অন্য কোথাও ধান সংগ্রহ না হলেও কাহালু উপজেলায় ৩৭৮ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার পুরোটাই অর্জিত হয়েছে।’ তবে তিনি দাবি করেন, গুদামে ধান দেওয়ার সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কেউ আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগ তিনি পাননি।
কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ কৃষকের নামে দলীয় নেতা-কর্মীদের গুদামে ধান দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এর সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘গুদামে ধান ঢোকানো হয়েছে মাত্র দুই থেকে তিন দিনে। আর ওই সময়ে আমি অসুস্থ হয়ে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি ছিলাম।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। কিন্তু দলের নাম ভাঙিয়ে এতটা অপকর্ম কখনো কাউকে করতে দেখিনি।’ দলের সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ করে মেয়র বলেন, ‘দলে উড়ে এসে জুড়ে বসা কিছু নেতার অপকর্মের দায় দলকে নিতে হচ্ছে। সন্ত্রাসী-মাদকসেবীদের সহযোগী সংগঠনের পদে বসিয়ে নানা অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। দলের ভেতরে থাকা ওই নেতারাই আমার ও আমার পরিবারের রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’
কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পি এম বেলাল উদ্দিন—দুজনই গুদামে ধান দেওয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃষকেরাই গুদামে ধান দিয়েছে, কোনো নেতা গুদামে ধান দিতে যায়নি।’
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ও তাঁর তিন ভাই মিলে ২০০ মেট্রিক টন ধান গুদামে দিয়েছেন। অবশিষ্ট ১৭৮ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে কিছু ধানের ভাগ পেয়েছেন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
খাদ্য বিভাগ সূত্র ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে সময় গুদামে ধান কেনা হয়, তখন বাজারে মোটা ধানের দাম ছিল প্রতি কেজি ১০ থেকে ১১ টাকা। আর সরকারের সংগ্রহমূল্য ছিল প্রতি কেজি ২২ টাকা। সেই হিসাবে কাহালু গুদামে ৩৭৮ মেট্রিক টন ধান দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাভবান হয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.