এবার বরখাস্ত হলেন পরিদর্শক আলমগীর
পরিদর্শক আলমগীর হোসেন |
সিলেটের
শিশু সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যাকাণ্ডের শুরুতে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে
প্রত্যাহার করা সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার সেই পরিদর্শক (তদন্ত)
আলমগীর হোসেনকে এবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত আদেশের সঙ্গে
ওসি আলমগীরকে সিলেট থেকে রংপুর পুলিশে সংযুক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার
দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা পেয়ে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে জানান, বরখাস্তের পর আলমগীরকে রংপুর পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বরখাস্ত করা হয় জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেনকে। শিশু সামিউল হত্যার ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে এ নিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হলেন।
সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে ৮ জুলাই শিশু সামিউলকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। এ সময় জনতা মুহিত আলম নামের একজনকে ধরে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করে। ঘটনার চার দিন পর শিশু সামিউলকে নির্যাতন করার ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র নিয়ে প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘নির্মম পৈশাচিক!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় হয়। পালিয়ে সৌদি আরব যাওয়া ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলামসহ একে একে ধরা পড়েন জড়িত ১২ জন। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার শুরুতে জালালাবাদ থানা-পুলিশের গাফিলতি থাকায় জড়িত ব্যক্তিরা পালানোর সুযোগ পান।
মহানগর পুলিশ জানায়, পুলিশের গাফিলতি তদন্ত করতে মহানগর পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ কমিশনারের কাছে দাখিল করে। ৪২৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হলে পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় এসআই আমিনুল ও এসআই জাকিরকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার দিন ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক আলমগীরকে জালালাবাদ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার দিন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন চট্টগ্রামে একটি মামলার সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন।
আলমগীর হোসেন এর আগে সিলেট রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় প্রায় তিন মাসে আগে যোগ দেন।
আজ শিশু-কিশোর সমাবেশ: সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশু-কিশোর সমাবেশের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী। দুপুর ১২টায় বাদেয়ালি গ্রামের রাস্তা থেকে সামিউলের বাড়ি পর্যন্ত শিশু-কিশোরেরা মানববন্ধন করবে। পরে সমাবেশ করবে। আশপাশ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত খুদে শিক্ষার্থীরাও এতে একাত্ম হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে জানান, বরখাস্তের পর আলমগীরকে রংপুর পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বরখাস্ত করা হয় জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেনকে। শিশু সামিউল হত্যার ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে এ নিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হলেন।
সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে ৮ জুলাই শিশু সামিউলকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। এ সময় জনতা মুহিত আলম নামের একজনকে ধরে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করে। ঘটনার চার দিন পর শিশু সামিউলকে নির্যাতন করার ২৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র নিয়ে প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘নির্মম পৈশাচিক!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় হয়। পালিয়ে সৌদি আরব যাওয়া ঘটনার মূল হোতা কামরুল ইসলামসহ একে একে ধরা পড়েন জড়িত ১২ জন। অভিযোগ ওঠে, ঘটনার শুরুতে জালালাবাদ থানা-পুলিশের গাফিলতি থাকায় জড়িত ব্যক্তিরা পালানোর সুযোগ পান।
মহানগর পুলিশ জানায়, পুলিশের গাফিলতি তদন্ত করতে মহানগর পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ কমিশনারের কাছে দাখিল করে। ৪২৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হলে পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় এসআই আমিনুল ও এসআই জাকিরকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার দিন ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক আলমগীরকে জালালাবাদ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার দিন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন চট্টগ্রামে একটি মামলার সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন।
আলমগীর হোসেন এর আগে সিলেট রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় প্রায় তিন মাসে আগে যোগ দেন।
আজ শিশু-কিশোর সমাবেশ: সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামে আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিশু-কিশোর সমাবেশের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী। দুপুর ১২টায় বাদেয়ালি গ্রামের রাস্তা থেকে সামিউলের বাড়ি পর্যন্ত শিশু-কিশোরেরা মানববন্ধন করবে। পরে সমাবেশ করবে। আশপাশ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত খুদে শিক্ষার্থীরাও এতে একাত্ম হবে।
No comments