ছাত্রলীগের অন্যায় বরদাশত করব না: শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীদের কোনো অন্যায় কর্মকাণ্ড বরদাশত করবেন না বলে হুঁশিয়ারি
উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্র রাজনীতির ওপর দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কোনো প্রকার অন্যায় কর্মকাণ্ড বরদাশত করবেন না। তিনি বলেন, ‘তোমাদের ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ব্যাপারে দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে—যাতে প্রত্যেকে দেখতে পায় তোমরা জাতিকে কিছু দিতে পার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে হবে।’
অতীতে ছাত্র রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি অতীতে কোনো ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড সহ্য করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে শেখ রেহানার পুত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক, জয়ের পত্নী ক্রিস্টিন ওভারমেয়ার, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
অতীতে দেশে বহু হামলা ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য শক্তিশালী সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রলীগের সদ্য সমাপ্ত কাউন্সিল ও স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা একটি দৃষ্টান্ত¯স্থাপন করেছে। যার প্রতিফলন অন্যদের মধ্যেও ঘটতে পারে। তবে আমি জানি না, অন্যরা এটি অনুসরণ করবে কি করবে না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার আদর্শ নিয়ে চলে। একটা লক্ষ্যে স্থির রেখেই তারা রাজনীতি করে। কাজেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অল্প বয়স থেকেই সেভাবে তৈরি করতে হবে নিজেকে। আমি কী পেলাম না পেলাম সেটা বড় কথা না। আমি দেশকে কী দিতে পারলাম, মানুষকে কী দিতে পারলাম সেটাই বড় কথা।’
বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তিসহ নানা খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। যদি আমরা ভোগের রাজনীতি করতাম তাহলে এটা করতে পারতাম না। কারণ রাজনীতিটা আমাদের কাছে দেশ সেবা করার সুযোগ।’
বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি সব সময় এ দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন এবং অতিরিক্ত ভালোবেসেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের তিনি একমাত্র নেতা যিনি সংগঠন করবার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। সংগঠন ছাড়া আসলে কোনো লক্ষ্যে অর্জন করা সম্ভব না। সংগঠন যত শক্তিশালী হবে ততই কিন্তু আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশের উন্নতি করা সম্ভব হবে। আদর্শ নিয়ে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আদর্শহীন সংগঠন হলো কান্ডারিহীন নৌকার মতো। কোথায় ভেসে যাবে কেউ জানে না।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা
এদিকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতারা। এ সময় সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নতুন কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের সব চেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে প্রগতির পথে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমাদের দায়িত্ব।
অন্যদিকে শুধু নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন।
সোমবার বিকেলে গণভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী ছাত্র রাজনীতির ওপর দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কোনো প্রকার অন্যায় কর্মকাণ্ড বরদাশত করবেন না। তিনি বলেন, ‘তোমাদের ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ব্যাপারে দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে—যাতে প্রত্যেকে দেখতে পায় তোমরা জাতিকে কিছু দিতে পার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে হবে।’
অতীতে ছাত্র রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি অতীতে কোনো ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড সহ্য করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগও বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে শেখ রেহানার পুত্র রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক, জয়ের পত্নী ক্রিস্টিন ওভারমেয়ার, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
অতীতে দেশে বহু হামলা ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো ঘটনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে এবং তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য শক্তিশালী সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রলীগের সদ্য সমাপ্ত কাউন্সিল ও স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা একটি দৃষ্টান্ত¯স্থাপন করেছে। যার প্রতিফলন অন্যদের মধ্যেও ঘটতে পারে। তবে আমি জানি না, অন্যরা এটি অনুসরণ করবে কি করবে না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার আদর্শ নিয়ে চলে। একটা লক্ষ্যে স্থির রেখেই তারা রাজনীতি করে। কাজেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অল্প বয়স থেকেই সেভাবে তৈরি করতে হবে নিজেকে। আমি কী পেলাম না পেলাম সেটা বড় কথা না। আমি দেশকে কী দিতে পারলাম, মানুষকে কী দিতে পারলাম সেটাই বড় কথা।’
বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য-প্রযুক্তিসহ নানা খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। যদি আমরা ভোগের রাজনীতি করতাম তাহলে এটা করতে পারতাম না। কারণ রাজনীতিটা আমাদের কাছে দেশ সেবা করার সুযোগ।’
বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি সব সময় এ দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন এবং অতিরিক্ত ভালোবেসেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের তিনি একমাত্র নেতা যিনি সংগঠন করবার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। সংগঠন ছাড়া আসলে কোনো লক্ষ্যে অর্জন করা সম্ভব না। সংগঠন যত শক্তিশালী হবে ততই কিন্তু আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশের উন্নতি করা সম্ভব হবে। আদর্শ নিয়ে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আদর্শহীন সংগঠন হলো কান্ডারিহীন নৌকার মতো। কোথায় ভেসে যাবে কেউ জানে না।’
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির শ্রদ্ধা
এদিকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতারা। এ সময় সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নতুন কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের সব চেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে প্রগতির পথে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে নেওয়াই হবে আমাদের দায়িত্ব।
অন্যদিকে শুধু নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন।
No comments