বৃষ্টিতে ভুগছে চট্টগ্রাম
চার দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের অর্ধেকের বেশি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের অনেক এলাকার সড়ক। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসা-বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এত চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। গতকাল রোববার প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে গেছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, গত শনিবার বেলা তিনটা থেকে গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবারও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
গতকাল সকাল সোয়া নয়টায় নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় ছিল হাঁটুপানি। ২ নম্বর গেট মোড় থেকে জিইসি যাওয়ার সড়কের দুই পাশ পানিতে ডুবে আছে। পানির কারণে যানবাহন কম চলায় বিপাকে পড়েন কর্মজীবীরা। সুযোগ বুঝে রিকশাচালকেরাও অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকেন যাত্রীদের কাছে। তবে রিকশাও অন্যদিনের তুলনায় কম চলেছে। যে এলাকায় পানি বেশি জমেছে, সেখানে যেতে চাননি চালকেরা। বাধ্য হয়ে রিকশার অপেক্ষায় না থেকে অনেকেই পানি ঠেলে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। জিইসি মোড়ে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে ভিজে ভিজে কখন আগ্রাবাদের অফিসে পৌঁছাব জানি না?’
সকাল ১০টায় নগরের মেহেদিবাগ এলাকায় গিয়েও দেখা যায় হাঁটুপানি। সড়কে রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহনের চলাচল ছিল খুবই কম। একটি রিকশার পেছনে ছুটছে বেশ কয়েকজন। শ্রীবাস নামের এক পথচারী জানান, তিনি প্রবর্তক মোড় যাবেন। কিন্তু কোনো রিকশাচালক যেতে রাজি হচ্ছেন না।
মেহেদিবাগ থেকে প্রবর্তক মোড়ে এসে দেখা যায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কোমরপানিতে ডুবে আছে মোড়টি। এই মোড় হয়ে মেডিকেল ও চকবাজার যেতে হয়। এক ঘণ্টা পর চকবাজারে গিয়ে কথা হয় দোকানি রফিকের সঙ্গে। তিনি জানান, ভোরে একবার তাঁর দোকানে পানি ঢোকে। এতে কিছু মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
গতকাল নগরের ষোলশহর, মুরাদপুর, বেপারিপাড়া, এক্সেস রোড, বাকলিয়া, কাপাসগোলা, হালিশহর, আগ্রবাদ, চাক্তাই, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টির মাত্রা কমে এলে কিছু কিছু এলাকার পানি নেমে যায়। আবার ভারী বৃষ্টিতে ডুবে যায় এসব এলাকা।
দুপুরে আগ্রাবাদ এলাকার লাকী প্লাজার সামনে কথা হয় অটোরিকশাচালক রায়হানের সঙ্গে। তিনি জানান, গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকেছে। ঠিকমতো চলছে না গাড়ি। তিনি বলেন, ‘গাড়ি বের করেও বিপদে আছি। যেদিকে যাই শুধু পানি।’
পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নগরের লালখান বাজার, আকবর শাহ এলাকা, বায়েজিদ এলাকার পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
নগরের আসকার দিঘির পূর্ব পাড় ও নাসিরাবাদ বড়ুয়া গলিতে প্রবল বৃষ্টিতে দুটি দেয়াল ধসে পড়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
টানা বৃষ্টিতে ম্যানোলা পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষ ভেঙে গেছে। গতকাল সকাল সাতটার দিকে ভবনের পাশের প্রতিরোধ দেয়াল ভেঙে যায়। এতে পাহাড়ের ওপরে থাকা একটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার জানান, একাডেমীতে মূলত ক্লাস হয় বিকেলে। পাহাড় ধসের সময় ওই কক্ষে কেউ ছিল না। তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানায়, গত শনিবার বেলা তিনটা থেকে গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবারও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
গতকাল সকাল সোয়া নয়টায় নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় ছিল হাঁটুপানি। ২ নম্বর গেট মোড় থেকে জিইসি যাওয়ার সড়কের দুই পাশ পানিতে ডুবে আছে। পানির কারণে যানবাহন কম চলায় বিপাকে পড়েন কর্মজীবীরা। সুযোগ বুঝে রিকশাচালকেরাও অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকেন যাত্রীদের কাছে। তবে রিকশাও অন্যদিনের তুলনায় কম চলেছে। যে এলাকায় পানি বেশি জমেছে, সেখানে যেতে চাননি চালকেরা। বাধ্য হয়ে রিকশার অপেক্ষায় না থেকে অনেকেই পানি ঠেলে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। জিইসি মোড়ে কথা হয় ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে ভিজে ভিজে কখন আগ্রাবাদের অফিসে পৌঁছাব জানি না?’
সকাল ১০টায় নগরের মেহেদিবাগ এলাকায় গিয়েও দেখা যায় হাঁটুপানি। সড়কে রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহনের চলাচল ছিল খুবই কম। একটি রিকশার পেছনে ছুটছে বেশ কয়েকজন। শ্রীবাস নামের এক পথচারী জানান, তিনি প্রবর্তক মোড় যাবেন। কিন্তু কোনো রিকশাচালক যেতে রাজি হচ্ছেন না।
মেহেদিবাগ থেকে প্রবর্তক মোড়ে এসে দেখা যায় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কোমরপানিতে ডুবে আছে মোড়টি। এই মোড় হয়ে মেডিকেল ও চকবাজার যেতে হয়। এক ঘণ্টা পর চকবাজারে গিয়ে কথা হয় দোকানি রফিকের সঙ্গে। তিনি জানান, ভোরে একবার তাঁর দোকানে পানি ঢোকে। এতে কিছু মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
গতকাল নগরের ষোলশহর, মুরাদপুর, বেপারিপাড়া, এক্সেস রোড, বাকলিয়া, কাপাসগোলা, হালিশহর, আগ্রবাদ, চাক্তাই, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টির মাত্রা কমে এলে কিছু কিছু এলাকার পানি নেমে যায়। আবার ভারী বৃষ্টিতে ডুবে যায় এসব এলাকা।
দুপুরে আগ্রাবাদ এলাকার লাকী প্লাজার সামনে কথা হয় অটোরিকশাচালক রায়হানের সঙ্গে। তিনি জানান, গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢুকেছে। ঠিকমতো চলছে না গাড়ি। তিনি বলেন, ‘গাড়ি বের করেও বিপদে আছি। যেদিকে যাই শুধু পানি।’
পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নগরের লালখান বাজার, আকবর শাহ এলাকা, বায়েজিদ এলাকার পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
নগরের আসকার দিঘির পূর্ব পাড় ও নাসিরাবাদ বড়ুয়া গলিতে প্রবল বৃষ্টিতে দুটি দেয়াল ধসে পড়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
টানা বৃষ্টিতে ম্যানোলা পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনের নিচতলার দুটি কক্ষ ভেঙে গেছে। গতকাল সকাল সাতটার দিকে ভবনের পাশের প্রতিরোধ দেয়াল ভেঙে যায়। এতে পাহাড়ের ওপরে থাকা একটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার জানান, একাডেমীতে মূলত ক্লাস হয় বিকেলে। পাহাড় ধসের সময় ওই কক্ষে কেউ ছিল না। তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
No comments