ব্রাজিলের গমের ফয়সালা আরও দুই সপ্তাহ পর

ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম বিতরণে বাধ্য করা যাবে না—এ ধরনের পর্যবেক্ষণ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আরও দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল আবেদন করতে বলেছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম জোর করে বিতরণ না করার পর্যবেক্ষণ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ ৯ জুলাই চেম্বার বিচারপতি আজ ২৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন। একই সঙ্গে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুন জনস্বার্থে এ রিট আবেদনটি করা হয়। আবেদনের পক্ষে হাইকোর্টে শুনানি করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও আইনজীবী এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
৮ জুলাই রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট আদেশে বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মধ্যে যে অংশ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, তা থেকে কেউ ফেরত দিতে চাইলে সরকারকে ফেরত নিতে হবে। আর এখনো বিতরণ না হওয়া গম যদি কেউ নিতে না চায়, তবে তাকে জোর করে দেওয়া যাবে না। তবে ওই গম যে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের অংশ, এটা নিশ্চিত হতে হবে।
আদেশে আদালত আরও বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম গবেষণাগারে পরীক্ষার যতগুলো প্রতিবেদন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আদালতকে দিয়েছেন, তার একটিতেও বলা হয়নি এ গম খাওয়ার অনুপযোগী। যদিও এ গমের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে এতে জীবন্ত পোকা বা কীটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তার পরও আমদানি করা এ গমের একটি বিশাল অংশ ইতিমধ্যে সারা দেশে বিতরণ করা হয়েছে এবং এ গম খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে গেছেন এমন কোনো ঘটনা জানা যায়নি।
গত বছরের শেষ দিকে ব্রাজিল থেকে চারটি ধাপে মোট দুই লাখ পাঁচ হাজার ১২৮ টন গম আমদানি করা হয়। এর মধ্যে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯২৬ টন বিতরণ করা হয়েছে। সারা দেশে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কারাগার, বিভিন্ন ডিলার ও আটা-ময়দা কল, টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখাসহ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই গম বিতরণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।

No comments

Powered by Blogger.