এপিজে আবদুল কালাম আর নেই, ভারতে ৭ দিনের শোক
এপিজে আবদুল কালাম আর নেই, ভারতজুড়ে শোকের ছায়া |
ভারতের
সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল পাকির জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম (এপিজে আবদুল
কালাম) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি’র অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় মেঘালয়ের শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে ‘বি-স্কুলের’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। বক্তৃতার মাঝে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চ থেকে পড়ে যান মিসাইলম্যান খ্যাত এ বিজ্ঞানী। তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বহু চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। রাতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক জন শৈল এই সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর নিশ্চিত করেন।
ভারতজুড়ে শোকের ছায়া
এপিজে আবদুল কালামের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতের রাজনৈতিক, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী এবং শিক্ষক-ছাত্রসহ আপামর জনতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টু্ইটারে গভীর শোক প্রকাশ করে আবদুল কালামকে পথ প্রদর্শক হিসাবে ব্যাখ্যা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ড. কালামের মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। এক বিশাল শূন্যস্থান ছেড়ে গেলেন তিনি। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।‘
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। লন্ডন থেকে শোকবার্তায় তিনি বলেন, “খুব খারাপ খবর। আমার সঙ্গে ওনার গভীর সম্পর্ক ছিল। কালামের ছিলেন ভারতমাতার অন্যতম প্রিয় সন্তান। সাধারণের কাছে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।”
এছাড়া, শোক প্রকাশ করছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব, কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ভারত সরকার দেশে সাত দিনের রাষ্ট্রী শোক ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবদুল কালাম ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রাশ্বেরামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন তিনি। ১৯৫৪ সালে এপিজে আবদুল কালাম ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রাস থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ১৯৬০ সালে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন।
কর্মজীবনে তিনি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (আইএসআরও) বৈজ্ঞানিক প্রশাসক পদে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমানবিক পরীক্ষা পোখরান-২ এ তিনি ছিলেন প্রধান অবদানকারী। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার এপিজে আবদুল কালামকে ১৯৮১ সালে পদ্ম ভূষণ, ১৯৯০ সালে পদ্ম বিভূষণ ও ১৯৯৭ সালে ভারত রত্ন উপাধি দেয়। এই তিন জাতীয় উপাধি ছাড়াও জাতীয় স্বার্থে ও মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি আরও অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পদক ও সম্মানে ভূষিত হন।
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি’র অনলাইন সংস্করণে বলা হয়েছে, আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় মেঘালয়ের শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে ‘বি-স্কুলের’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। বক্তৃতার মাঝে হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চ থেকে পড়ে যান মিসাইলম্যান খ্যাত এ বিজ্ঞানী। তৎক্ষণাৎ তাঁকে স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বহু চেষ্টার পরেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। রাতে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক জন শৈল এই সাবেক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর নিশ্চিত করেন।
ভারতজুড়ে শোকের ছায়া
এপিজে আবদুল কালামের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতের রাজনৈতিক, বুদ্ধিজীবী, বিজ্ঞানী এবং শিক্ষক-ছাত্রসহ আপামর জনতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টু্ইটারে গভীর শোক প্রকাশ করে আবদুল কালামকে পথ প্রদর্শক হিসাবে ব্যাখ্যা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘ড. কালামের মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। এক বিশাল শূন্যস্থান ছেড়ে গেলেন তিনি। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত।‘
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। লন্ডন থেকে শোকবার্তায় তিনি বলেন, “খুব খারাপ খবর। আমার সঙ্গে ওনার গভীর সম্পর্ক ছিল। কালামের ছিলেন ভারতমাতার অন্যতম প্রিয় সন্তান। সাধারণের কাছে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়।”
এছাড়া, শোক প্রকাশ করছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব, কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
সাবেক এই প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ভারত সরকার দেশে সাত দিনের রাষ্ট্রী শোক ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
ভারতের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবদুল কালাম ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রাশ্বেরামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেন তিনি। ১৯৫৪ সালে এপিজে আবদুল কালাম ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রাস থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ১৯৬০ সালে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন।
কর্মজীবনে তিনি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থায় (ডিআরডিও) বিজ্ঞানী ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (আইএসআরও) বৈজ্ঞানিক প্রশাসক পদে দীর্ঘদিন কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমানবিক পরীক্ষা পোখরান-২ এ তিনি ছিলেন প্রধান অবদানকারী। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভারত সরকার এপিজে আবদুল কালামকে ১৯৮১ সালে পদ্ম ভূষণ, ১৯৯০ সালে পদ্ম বিভূষণ ও ১৯৯৭ সালে ভারত রত্ন উপাধি দেয়। এই তিন জাতীয় উপাধি ছাড়াও জাতীয় স্বার্থে ও মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি আরও অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পদক ও সম্মানে ভূষিত হন।
No comments