‘সিন্ডিকেট’ মনোনীতরাই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে- সাইফুর সভাপতি, জাকির সম্পাদক
ভোট
হলেও অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কথিত ‘সিন্ডিকেট’ মনোনীত প্রার্থীরাই
ছাত্রলীগের নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ ও
নেতৃত্ব তৈরির লাগাম বহুল আলোচিত সিন্ডিকেটের হাতেই থাকল বলে মনে করছেন
সংগঠনের অনেকে।
ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জাকির হোসাইন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোট গ্রহণ শেষে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। রাতে আরও তিনটি পদে মনোনীত তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন সহসভাপতি আজিজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান (নাদিম) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন।
সংগঠনের একাধিক সূত্রের দাবি, এ দুজনই যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন, তা আগের রাতেই নেতা-কর্মীরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান। তারপরও নিয়ম রক্ষার ভোটে ২ হাজার ৮১৯ জন কাউন্সিলর ভোট দেন। এর মধ্যে সাইফুর পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯০ ভোট ও জাকির হোসাইন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৬ ভোট।
এঁরা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী। সাইফুরের বাড়ি মাদারীপুর, তিনি আগের কমিটির পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আর জাকিরের বাড়ি মৌলভীবাজার, তিনি এর আগে সহসম্পাদক ছিলেন। সাইফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের এবং জাকির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটা অংশ ‘অনুসারীদের’ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনতে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন বলে অনেক দিন ধরেই সংগঠনটির ভেতরে-বাইরে আলোচনা আছে। ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনেও এই সিন্ডিকেট ভূমিকা রেখে আসছে। আর এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার প্রধান ভূমিকা রাখেন বলে অভিযোগ আছে। যদিও লিয়াকত শিকদার এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে আসছেন।
সংগঠনের একাধিক সূত্র জানায়, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে সাইফুর ও জাকিরকে ‘সিন্ডিকেটের’ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এ কথা জানিয়ে দিয়ে ওই প্যানেলের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়। তাঁদের নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
অবশ্য সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে সিন্ডিকেট বিরোধী উপদল নিজ নিজ পক্ষের ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনার জন্য নানা চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। এমনকি সাইফুর ও জাকিরকে মোকাবিলা করার মতো প্রার্থী দিতে পারেনি। গতকাল ভোটের মাঠে সাইফুর-জাকিরের প্যানেলের বাইরে আর কাউকে দেখা যায়নি।
যদিও প্রার্থিতার তালিকায় সভাপতি পদে আরও সাতজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরও ১৫ জনের নাম ছিল। এমন তিনজন পদপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, শেষ মুহূর্তে তাঁরা বুঝতে পারেন যে ভোট চাইলেও তাঁরা পাবেন না। কারণ, আগের রাতে ‘সিন্ডিকেট’ ভোটারদের কবজা করে ফেলেছে। একজন বলেন, ‘কার কাছ ভোট চাইব, আমাদের ভোটারদের তালিকাই তো দেওয়া হয়নি।’
গতকাল সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের বাইরে সাইফুর ও জাকিরের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়। তাঁরা এবং তাঁদের সমর্থকেরা কাউন্সিলরদের কাছে ভোট চান। ভোটারদের লাইনের শেষ মাথায় দাঁড়ানো ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতাকে দেখা যায়, ভোটারদের হাতে টুকরো কাগজ গুঁজে দিতে। তাতে লেখা ছিল—‘স. সাইফুর রহমান সোহাগ, সা. স. মো. জাকির হোসাইন।’ দিন শেষে তাঁরাই বিজয়ী হন।
শুরুতে সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬৪ জন, যা নির্বাচনের সময় আটজনে নেমে আসে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৪২ জন। পরে তা ১৬ জনে নেমে আসে। গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, মোট তিন হাজার ১৩৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ জন।
ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি সাইফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জাকির হোসাইন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোট গ্রহণ শেষে নতুন নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। রাতে আরও তিনটি পদে মনোনীত তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন সহসভাপতি আজিজুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান (নাদিম) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন।
সংগঠনের একাধিক সূত্রের দাবি, এ দুজনই যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন, তা আগের রাতেই নেতা-কর্মীরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান। তারপরও নিয়ম রক্ষার ভোটে ২ হাজার ৮১৯ জন কাউন্সিলর ভোট দেন। এর মধ্যে সাইফুর পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯০ ভোট ও জাকির হোসাইন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৬ ভোট।
এঁরা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী। সাইফুরের বাড়ি মাদারীপুর, তিনি আগের কমিটির পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আর জাকিরের বাড়ি মৌলভীবাজার, তিনি এর আগে সহসম্পাদক ছিলেন। সাইফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের এবং জাকির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের একটা অংশ ‘অনুসারীদের’ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনতে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলছেন বলে অনেক দিন ধরেই সংগঠনটির ভেতরে-বাইরে আলোচনা আছে। ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনেও এই সিন্ডিকেট ভূমিকা রেখে আসছে। আর এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার প্রধান ভূমিকা রাখেন বলে অভিযোগ আছে। যদিও লিয়াকত শিকদার এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে আসছেন।
সংগঠনের একাধিক সূত্র জানায়, ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে সাইফুর ও জাকিরকে ‘সিন্ডিকেটের’ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। বাকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এ কথা জানিয়ে দিয়ে ওই প্যানেলের পক্ষে কাজ করতে বলা হয়। তাঁদের নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়।
অবশ্য সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে সিন্ডিকেট বিরোধী উপদল নিজ নিজ পক্ষের ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনার জন্য নানা চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। এমনকি সাইফুর ও জাকিরকে মোকাবিলা করার মতো প্রার্থী দিতে পারেনি। গতকাল ভোটের মাঠে সাইফুর-জাকিরের প্যানেলের বাইরে আর কাউকে দেখা যায়নি।
যদিও প্রার্থিতার তালিকায় সভাপতি পদে আরও সাতজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আরও ১৫ জনের নাম ছিল। এমন তিনজন পদপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, শেষ মুহূর্তে তাঁরা বুঝতে পারেন যে ভোট চাইলেও তাঁরা পাবেন না। কারণ, আগের রাতে ‘সিন্ডিকেট’ ভোটারদের কবজা করে ফেলেছে। একজন বলেন, ‘কার কাছ ভোট চাইব, আমাদের ভোটারদের তালিকাই তো দেওয়া হয়নি।’
গতকাল সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের বাইরে সাইফুর ও জাকিরের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়। তাঁরা এবং তাঁদের সমর্থকেরা কাউন্সিলরদের কাছে ভোট চান। ভোটারদের লাইনের শেষ মাথায় দাঁড়ানো ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতাকে দেখা যায়, ভোটারদের হাতে টুকরো কাগজ গুঁজে দিতে। তাতে লেখা ছিল—‘স. সাইফুর রহমান সোহাগ, সা. স. মো. জাকির হোসাইন।’ দিন শেষে তাঁরাই বিজয়ী হন।
শুরুতে সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬৪ জন, যা নির্বাচনের সময় আটজনে নেমে আসে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৪২ জন। পরে তা ১৬ জনে নেমে আসে। গতকাল ভোট গ্রহণ শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান বলেন, মোট তিন হাজার ১৩৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ জন।
No comments