জনবলসংকটে সান্তাহার লালমনিরহাট রেল রুট: ১৬টি স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ
নিয়োগ-প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় তীব্র জনবলসংকটে পড়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সান্তাহার-লালমনিরহাট রুট। এখানকার ৩১টি রেলস্টেশনের মধ্যে অন্তত ১৬টির অপারেশনাল ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৪টি আন্তনগর ও লোকাল ট্রেন।
গাইবান্ধা রেলস্টেশন সূত্র জানায়, জনবলসংকটের কারণে কার্যক্রম বন্ধ হওয়া ১৬টি স্টেশন হচ্ছে রংপুরের অন্তর্গত মহেন্দ্রনগর, অন্নদানগর, চৌধুরানী; গাইবান্ধার অন্তর্গত হাসানগঞ্জ, নলডাঙ্গা, কুপতলা, ত্রিমোহিনী, বাদিয়াখালী, মহিমাগঞ্জ, শালমারা; বগুড়ার অন্তর্গত ভেলুরপাড়া, সৈয়দ আহম্মদ কলেজ, কাহালু, পাঁচপীর মাজার, আলতাফনগর ও নশরৎপুর। এসব স্টেশনের কোনোটাতে স্টেশনমাস্টার নেই, কোনোটাতে পয়েন্টসম্যান নেই।
সূত্র জানায়, প্রতিটি স্টেশনে তিনজন স্টেশনমাস্টার, দুজন পোর্টার, চারজন পয়েন্টসম্যান, একজন ঝাড়ুদারসহ মোট ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। অথচ এসব স্টেশনে এক থেকে দুজন করে কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, বিভিন্ন টেকনিক্যাল পদে নিয়োগ করা হলেও বাণিজ্যিক ও অপারেশনাল পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রক্রিয়াও মামলার কারণে আটকে গেছে। এতে পরিস্থিতি কোনোভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিমাগঞ্জ স্টেশনে দুটি লাইনের মধ্যে একটি খুলে রাখা হয়েছে। অন্য লাইনটি আগাছায় ঢেকে গেছে। স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। ওই দিন ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ মহিমাগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী মনজুর হাবীব বলেন, ‘বগুড়া মেইল দুপুর ১২টায় এখানে আসার কথা। সাড়ে ১১টায় স্টেশনে এসেছি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। পরে ট্রেনটি কোথায়, সেটি জানতে গিয়ে দেখি স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। টিকিট দেওয়ার কেউ নেই।’ এরপর বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেন এলে বিনা টিকিটেই তাঁকে ভ্রমণ করতে হলো।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পানের দোকানি ধলু মিয়া বলেন, ইচ্ছেমতো ট্রেন আসছে, ইচ্ছেমতো যাচ্ছে। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে কর্মরত রেলের পোর্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি একাই স্টেশনের সম্পদ পাহারা দিচ্ছি।’
একই অবস্থা নলডাঙ্গা স্টেশনের। এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। এই স্টেশনে তিনটি লাইনের মধ্যে প্রথম লাইনটি চালু রাখা হয়েছে। অন্য দুটি ট্রেন চলাচল না করায় আগাছায় ঢেকে আছে। স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। স্টেশনসংলগ্ন ব্যবসায়ী জোহা মিয়া বলেন, কোন ট্রেন কখন আসে, তা জানার কোনো উপায় নেই। বিশেষত স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় একটি লাইন চালু রাখা হয়েছে। এ কারণে দূরবর্তী স্টেশনে ট্রেনের ক্রসিং করা হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে এসেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নলডাঙ্গা স্টেশন এলাকার চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, টিকিট বিক্রির লোক নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে জরিমানাসহ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
নলডাঙ্গা থেকে কুপতলা স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল একই অবস্থা। এখানে আগে থেকেই লাইন একটি। প্ল্যাটফর্ম নেই। মাস্টারের কার্যালয় বন্ধ। সেখানে কিছু যাত্রী আড্ডা দিচ্ছেন। কুপতলা গ্রামের কলেজশিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, আগে মুঠোফোনে শুনে মাস্টার ট্রেন আসার ঘণ্টা বাজাতেন। এখন তা নেই। ট্রেনগুলো স্টেশনে ঢোকার আগে জোরে জোরে বাঁশি বাজায়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (ডিটিএস) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই সব স্টেশনে অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু আছে। বিভিন্ন সময়ে মামলার কারণে নিয়োগ-প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খুব দ্রুত নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
গাইবান্ধা রেলস্টেশন সূত্র জানায়, জনবলসংকটের কারণে কার্যক্রম বন্ধ হওয়া ১৬টি স্টেশন হচ্ছে রংপুরের অন্তর্গত মহেন্দ্রনগর, অন্নদানগর, চৌধুরানী; গাইবান্ধার অন্তর্গত হাসানগঞ্জ, নলডাঙ্গা, কুপতলা, ত্রিমোহিনী, বাদিয়াখালী, মহিমাগঞ্জ, শালমারা; বগুড়ার অন্তর্গত ভেলুরপাড়া, সৈয়দ আহম্মদ কলেজ, কাহালু, পাঁচপীর মাজার, আলতাফনগর ও নশরৎপুর। এসব স্টেশনের কোনোটাতে স্টেশনমাস্টার নেই, কোনোটাতে পয়েন্টসম্যান নেই।
সূত্র জানায়, প্রতিটি স্টেশনে তিনজন স্টেশনমাস্টার, দুজন পোর্টার, চারজন পয়েন্টসম্যান, একজন ঝাড়ুদারসহ মোট ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা। অথচ এসব স্টেশনে এক থেকে দুজন করে কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, বিভিন্ন টেকনিক্যাল পদে নিয়োগ করা হলেও বাণিজ্যিক ও অপারেশনাল পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রক্রিয়াও মামলার কারণে আটকে গেছে। এতে পরিস্থিতি কোনোভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মহিমাগঞ্জ স্টেশনে দুটি লাইনের মধ্যে একটি খুলে রাখা হয়েছে। অন্য লাইনটি আগাছায় ঢেকে গেছে। স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। ওই দিন ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ মহিমাগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী মনজুর হাবীব বলেন, ‘বগুড়া মেইল দুপুর ১২টায় এখানে আসার কথা। সাড়ে ১১টায় স্টেশনে এসেছি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। পরে ট্রেনটি কোথায়, সেটি জানতে গিয়ে দেখি স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। টিকিট দেওয়ার কেউ নেই।’ এরপর বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেন এলে বিনা টিকিটেই তাঁকে ভ্রমণ করতে হলো।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পানের দোকানি ধলু মিয়া বলেন, ইচ্ছেমতো ট্রেন আসছে, ইচ্ছেমতো যাচ্ছে। এর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে কর্মরত রেলের পোর্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি একাই স্টেশনের সম্পদ পাহারা দিচ্ছি।’
একই অবস্থা নলডাঙ্গা স্টেশনের। এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। এই স্টেশনে তিনটি লাইনের মধ্যে প্রথম লাইনটি চালু রাখা হয়েছে। অন্য দুটি ট্রেন চলাচল না করায় আগাছায় ঢেকে আছে। স্টেশনমাস্টারের কার্যালয় তালাবদ্ধ। স্টেশনসংলগ্ন ব্যবসায়ী জোহা মিয়া বলেন, কোন ট্রেন কখন আসে, তা জানার কোনো উপায় নেই। বিশেষত স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় একটি লাইন চালু রাখা হয়েছে। এ কারণে দূরবর্তী স্টেশনে ট্রেনের ক্রসিং করা হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে এসেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নলডাঙ্গা স্টেশন এলাকার চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, টিকিট বিক্রির লোক নেই। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে জরিমানাসহ ভাড়া দিতে হচ্ছে।
নলডাঙ্গা থেকে কুপতলা স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল একই অবস্থা। এখানে আগে থেকেই লাইন একটি। প্ল্যাটফর্ম নেই। মাস্টারের কার্যালয় বন্ধ। সেখানে কিছু যাত্রী আড্ডা দিচ্ছেন। কুপতলা গ্রামের কলেজশিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, আগে মুঠোফোনে শুনে মাস্টার ট্রেন আসার ঘণ্টা বাজাতেন। এখন তা নেই। ট্রেনগুলো স্টেশনে ঢোকার আগে জোরে জোরে বাঁশি বাজায়। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (ডিটিএস) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ওই সব স্টেশনে অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু আছে। বিভিন্ন সময়ে মামলার কারণে নিয়োগ-প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খুব দ্রুত নিয়োগ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
No comments