কুমিল্লা সরকারি কলেজে শ্রেণিকক্ষে বৃষ্টির পানি, দুর্ভোগ
কুমিল্লা সরকারি কলেজের অনার্স ভবনের ছাদ চুইয়ে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। মেজেতে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করছেন এক কর্মচারী। ছবি -প্রথম আলো |
বৃষ্টির
পানি ছাদ চুইয়ে শ্রেণিকক্ষে পড়ছে। কক্ষের মেজে পানিতে থইথই করছে। সকালে
কয়েক দফা কর্মচারীরা বাটি নিয়ে পানি অপসারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই
কক্ষে পরীক্ষা চলছিল। একপর্যায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কক্ষ পরিবর্তন করে। এতে ৬২
জন শিক্ষার্থী নির্ধারিত ওই কক্ষে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাৎক্ষণিকভাবে
তঁাদের অন্য কক্ষে পরীক্ষা নেওয়া হয়। গতকাল শনিবার কুমিল্লা সরকারি কলেজের
অনার্স (স্নাতক সম্মান) ভবনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ওই কলেজের
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৪-৯৫
অর্থবছরে এই কলেজে তিনতলাবিশিষ্ট অনার্স ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর আর ওই
ভবন সংস্কার না করায় এর পলেস্তারা খসে পড়ছে। এক বছর ধরে ওই ভবনের তৃতীয়
তলার ছাদ চুইয়ে পানি ভেতরে পড়ছে। বিভিন্ন সময় পলেস্তারা খসে পড়েছে
শিক্ষার্থীদের ওপর। সর্বশেষ গত ২০ জুন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো.
ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়ার মাথায় পলেস্তারা পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবনটি
সংস্কারের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী
প্রকৌশলীর কাছে চিঠি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুন থেকে সাত লাখ টাকা
ব্যয়ে সংস্কারকাজ শুরু হয়। সংস্কারকাজ ঢিমেতালে শুরু হওয়ার মাঝখানেই অবিরাম
বর্ষণ শুরু হয়। এতে সংস্কারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে
ওই ভবনের ৪২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর কক্ষে ছাদ চুইয়ে অনবরত পানি পড়ছে। এতে
শ্রেণিকক্ষের মেজেতে পানি জমে গেছে। তার ওপর মেজের খোয়া (ইট ও পাথরের
মিশ্রণ) উঠে গেছে। গতকাল স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা ছিল ৪২
নম্বর কক্ষে। পরীক্ষা দিতে ওই কক্ষে যান ৬২ জন পরীক্ষার্থী। এরপর তাঁরা
পানি দেখে কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষ একই ভবনের
নিচতলার একটি স্যাঁতসেঁতে কক্ষে ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
এতে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
সরেজমিনে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় দেখা যায়, কলেজের একজন কর্মচারী বাটি নিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বড় আকারের ওই কক্ষ থেকে কিছুতেই তিনি পানি সরাতে পারছেন না। এ সময় ইংরেজি বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী বলেন, কেবল ৪২ নম্বর কক্ষ নয়, এই ভবনের সব কক্ষই ক্লাস করার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কুমিল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান তারেক বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ায় সংস্কারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। আগস্ট মাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে। এ ব্যাপারের কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন রহমান বলেন, ঈদের ছুটির পর সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। গতকাল পরীক্ষা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় দেখা যায়, কলেজের একজন কর্মচারী বাটি নিয়ে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বড় আকারের ওই কক্ষ থেকে কিছুতেই তিনি পানি সরাতে পারছেন না। এ সময় ইংরেজি বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী বলেন, কেবল ৪২ নম্বর কক্ষ নয়, এই ভবনের সব কক্ষই ক্লাস করার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কুমিল্লার উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান তারেক বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ায় সংস্কারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। আগস্ট মাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ হবে। এ ব্যাপারের কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন রহমান বলেন, ঈদের ছুটির পর সংস্কারকাজ শুরু হয়নি। গতকাল পরীক্ষা নিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।
No comments