ঝিনাইদহের নরহরিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেড়া ভাঙা, টিনের চালাও ফুটা by আজাদ রহমান
বছরের পর বছর ঝিনাইদহ সদরের নরহরিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারদিকে ভাঙাচোরা চাটাইয়ের বেড়া এবং ফুটো টিনের নিচে ক্লাস চলছে। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো |
ভাঙাচোরা
চাটাই দিয়ে ঘেরা বেড়া আর টিনের চালার নিচে দীর্ঘদিন ধরে নরহরিদ্রা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ক্লাস
বন্ধ হয়ে যায়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের নরহরিদ্রা গ্রামে
অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ হলেও
তাঁরা সে অনুযায়ী বেতন পাননি। আর ভবনের অভাবে শিশুদের ঠিকমতো পাঠদান করাতে
পারছেন না। কষ্টের মধ্যেও বিদ্যালয়ে পাঠ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ভালো
ফলাফল করছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, চাটাই দিয়ে ঘেরা বেড়া ও টিনের চালার নিচে তিন কক্ষের একটি ঘরে ক্লাস চলছে। নিচে ভেজা মাটি, যার ওপর বেঞ্চে বসে ক্লাস করছে শিশুরা। শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শেষ হয়েছে। এরপর শুরু হবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভালো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেন জানান, গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ১৯৯৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামের রাজ কুমার কণ্ডু স্কুলের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। যে জমির ওপর গ্রামের কিছু মানুষের সহযোগিতায় চাটাই-টিন চার কক্ষের একটি ঘর করা হয়। তিনটি কক্ষে ক্লাস চলে, আর ছোট একটি কক্ষে বসেন শিক্ষকেরা। তিনি জানান, মোট চারজন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ২০১১ সাল থেকে তারা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। প্রথম বছর ২১ জন, ২০১২ সালে ১৭ জন, ২০১৩ সালে ১৮ জন ও ২০১৪ সালে ২১ জন সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের সবাই পাশ করেছে। তিনি বলেন, পড়ালেখায় তাদের স্কুল খুবই ভালো করছে। তিনি বলেন ইতিপূর্বে এটি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে চললেও সরকারের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণায় এটিও সরকারি করা হয়েছে। তারপরও বিদ্যালয়ের দিকে কারও নজর নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, এই দীর্ঘ সময় তাঁরা স্কুলটিতে পাঠদান করে এলেও পাঠদান উপযোগী একটি ভবন নির্মাণ করা হয়নি। এখন তাঁরা কষ্ট করে শিশুদের পড়ালেখা করাচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ে পানি জমে যায়, টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। এ কারণে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়। এ ছাড়া গরমের সময় টিনের চালার নিচে বসে থাকা যায় না। বাচ্চারা খুবই কষ্ট পান। শিক্ষকেরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ওই স্কুলটি সরকারি করা হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্যও তাঁরা উচ্চপর্যায়ে লিখেছেন। আশা করছেন দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষকেরাও তাঁদের বেতন পাবেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, চাটাই দিয়ে ঘেরা বেড়া ও টিনের চালার নিচে তিন কক্ষের একটি ঘরে ক্লাস চলছে। নিচে ভেজা মাটি, যার ওপর বেঞ্চে বসে ক্লাস করছে শিশুরা। শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস শেষ হয়েছে। এরপর শুরু হবে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভালো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেন জানান, গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ১৯৯৯ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামের রাজ কুমার কণ্ডু স্কুলের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। যে জমির ওপর গ্রামের কিছু মানুষের সহযোগিতায় চাটাই-টিন চার কক্ষের একটি ঘর করা হয়। তিনটি কক্ষে ক্লাস চলে, আর ছোট একটি কক্ষে বসেন শিক্ষকেরা। তিনি জানান, মোট চারজন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। ২০১১ সাল থেকে তারা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। প্রথম বছর ২১ জন, ২০১২ সালে ১৭ জন, ২০১৩ সালে ১৮ জন ও ২০১৪ সালে ২১ জন সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের সবাই পাশ করেছে। তিনি বলেন, পড়ালেখায় তাদের স্কুল খুবই ভালো করছে। তিনি বলেন ইতিপূর্বে এটি বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে চললেও সরকারের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণায় এটিও সরকারি করা হয়েছে। তারপরও বিদ্যালয়ের দিকে কারও নজর নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, এই দীর্ঘ সময় তাঁরা স্কুলটিতে পাঠদান করে এলেও পাঠদান উপযোগী একটি ভবন নির্মাণ করা হয়নি। এখন তাঁরা কষ্ট করে শিশুদের পড়ালেখা করাচ্ছেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ে পানি জমে যায়, টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। এ কারণে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়। এ ছাড়া গরমের সময় টিনের চালার নিচে বসে থাকা যায় না। বাচ্চারা খুবই কষ্ট পান। শিক্ষকেরা আরও অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ওই স্কুলটি সরকারি করা হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্যও তাঁরা উচ্চপর্যায়ে লিখেছেন। আশা করছেন দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষকেরাও তাঁদের বেতন পাবেন।
No comments