‘রাস্তাডার কোনো মা-বাপ নি’
‘এ রাস্তায় চলা ভারি জ্বালা, খাদ আর কাদা। ঝাঁকুনির ঠেলায় মাজা (কোমর) ভাঙে যায়।’
খুলনা রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে মাত্রাতিরিক্ত খানাখন্দ আর কাদায় এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন রজত শুভ্র। গত শুক্রবার কথা হয় ঢাকাগামী এই যাত্রীর সঙ্গে। খুলনা নগরের ব্যস্ততম রেলস্টেশন সড়কের এতটাই দুর্দশা যে বিরক্তির সঙ্গে ক্ষোভও ঝরে পড়ল রজতের (২৮) কণ্ঠে, ‘রাস্তাডার কোনো মা-বাপ নি (নেই)।’
শুধু স্টেশন সড়ক নয়, নগরের রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটিরও বেহাল দশা। পিচ উঠে গিয়ে পাথর ও খোয়া বেরিয়ে এসেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এখানে ঢাকা, বরিশাল ও উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোর স্ট্যান্ড। ওই স্ট্যান্ড টাউন সার্ভিসের বাসগুলোরও ঠিকানা। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় স্ট্যান্ডটি।
রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে সড়কের দুর্দশার কথা জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
কয়েক দিন ধরে খুলনায় থেমে থেমে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। হাউস বিল্ডিং করপোরেশন ভবন থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কে কাদা-পানির মাখামাখি। হালকা বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তগুলো ডুবে যায়। কাদায় ভরে যায় পুরো সড়ক। তখন হাঁটা যায় না। গর্তে পড়ে রিকশা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন কয়েকজন।
রাজশাহীগামী ট্রেনযাত্রী মুক্তা হাসান বললেন, নগরে ঢোকা ও বেরোনোর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলতে গেলে দুর্ভোগের শেষ নেই। খানাখন্দের পাশাপাশি সারাক্ষণ এই সড়কে এলোমেলোভাবে ট্রাক পার্ক করা থাকে। এখানে রিকশায় চলতে শরীরে ব্যথা তো হয়ই, ভাড়াও দিতে হয় বেশি। সড়কটির পাশেই খুলনা বড় বাজার পাকা-কাঁচামাল আড়তদার মালিক সমিতি। ওই সমিতির সভাপতি আবুল বাশার পাটোয়ারী বলেন, এই সড়ক দিয়ে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় আড়তে মালামাল আনা-নেওয়া করা হয়। এখান দিয়ে প্রচুর ট্রাক চলে। সড়কটির ধারণক্ষমতা মাত্র ২০-২৫ টন। এ কারণে এটি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের পূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ লিয়াকত আলী খান বলেন, নতুন রেলস্টেশনের জন্য কাজ চলছে। এ জন্য সড়ক বেশি খারাপ হয়েছে। ঈদের কয়েক দিন আগে ইট ও সুরকি দিয়ে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে আবার তা নষ্ট হয়ে গেছে। এলজিইডির সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হবে। দরপত্র হয়ে গেছে, বৃষ্টি একটু কমলেই কাজ শুরু করা হবে।
খুলনা রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে মাত্রাতিরিক্ত খানাখন্দ আর কাদায় এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন রজত শুভ্র। গত শুক্রবার কথা হয় ঢাকাগামী এই যাত্রীর সঙ্গে। খুলনা নগরের ব্যস্ততম রেলস্টেশন সড়কের এতটাই দুর্দশা যে বিরক্তির সঙ্গে ক্ষোভও ঝরে পড়ল রজতের (২৮) কণ্ঠে, ‘রাস্তাডার কোনো মা-বাপ নি (নেই)।’
শুধু স্টেশন সড়ক নয়, নগরের রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটিরও বেহাল দশা। পিচ উঠে গিয়ে পাথর ও খোয়া বেরিয়ে এসেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এখানে ঢাকা, বরিশাল ও উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোর স্ট্যান্ড। ওই স্ট্যান্ড টাউন সার্ভিসের বাসগুলোরও ঠিকানা। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় স্ট্যান্ডটি।
রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে সড়কের দুর্দশার কথা জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
কয়েক দিন ধরে খুলনায় থেমে থেমে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। হাউস বিল্ডিং করপোরেশন ভবন থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কে কাদা-পানির মাখামাখি। হালকা বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তগুলো ডুবে যায়। কাদায় ভরে যায় পুরো সড়ক। তখন হাঁটা যায় না। গর্তে পড়ে রিকশা উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন কয়েকজন।
রাজশাহীগামী ট্রেনযাত্রী মুক্তা হাসান বললেন, নগরে ঢোকা ও বেরোনোর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলতে গেলে দুর্ভোগের শেষ নেই। খানাখন্দের পাশাপাশি সারাক্ষণ এই সড়কে এলোমেলোভাবে ট্রাক পার্ক করা থাকে। এখানে রিকশায় চলতে শরীরে ব্যথা তো হয়ই, ভাড়াও দিতে হয় বেশি। সড়কটির পাশেই খুলনা বড় বাজার পাকা-কাঁচামাল আড়তদার মালিক সমিতি। ওই সমিতির সভাপতি আবুল বাশার পাটোয়ারী বলেন, এই সড়ক দিয়ে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় আড়তে মালামাল আনা-নেওয়া করা হয়। এখান দিয়ে প্রচুর ট্রাক চলে। সড়কটির ধারণক্ষমতা মাত্র ২০-২৫ টন। এ কারণে এটি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের পূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ লিয়াকত আলী খান বলেন, নতুন রেলস্টেশনের জন্য কাজ চলছে। এ জন্য সড়ক বেশি খারাপ হয়েছে। ঈদের কয়েক দিন আগে ইট ও সুরকি দিয়ে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে আবার তা নষ্ট হয়ে গেছে। এলজিইডির সিআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটি সংস্কার করা হবে। দরপত্র হয়ে গেছে, বৃষ্টি একটু কমলেই কাজ শুরু করা হবে।
No comments