কারাগারে ঈদের খুশি ভাগাভাগি by গাজী ফিরোজ
ঈদ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কারাগারে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানে গান করছেন এক শিল্পী |
কারও
ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পথে, কারও চলছে বছরের পর বছর সাজা। কেউ কেউ
বিচারাধীন মামলায় আটক রয়েছেন। তাঁরা সবাই পরিবার–পরিজন থেকে অনেক দূরে
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। তবু সবকিছু ভুলে নেচে-গেয়ে
সেমাই-পোলাও খেয়ে ঈদ আনন্দে মেতেছিলেন বন্দীরা। কারাগারে ঈদ উৎসবে
মেতেছিলেন ভিন্নধর্মাবলম্বীরাও।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, বন্দীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন ঈদের আনন্দ। এতে বন্দীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে। যা কারাগারে বিশৃঙ্খলা রোধে সহায়ক হবে।
কারাগার কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আছেন ৪ হাজার ৯০৮ জন। এর মধ্যে কয়েদি (সাজাপ্রাপ্ত) আছেন ১ হাজার ২০৮ জন। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন ৪৯ জন। বন্দীদের মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে প্রায় ৫০০ জন। ঈদের দিন সকালে বন্দীদের দেওয়া হয় সেমাই ও মুড়ি। ওই দিন কারা অভ্যন্তরে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন কয়েদিরা। তবে বৃষ্টির কারণে কারাগারের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও হালদা ভবনে আলাদাভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন বন্দীরা।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের উপকারাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন জানান, নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলি করেন। দুপুরে বন্দীদের খেতে দেওয়া হয় ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ। রাতে পোলাও, মাংস, পান-সুপারি ও চমচম পরিবেশন করা হয় বন্দীদের মধ্যে। ঈদের পর মঙ্গলবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, বন্দীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন ঈদের আনন্দ। এতে বন্দীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠবে। যা কারাগারে বিশৃঙ্খলা রোধে সহায়ক হবে।
কারাগার কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী আছেন ৪ হাজার ৯০৮ জন। এর মধ্যে কয়েদি (সাজাপ্রাপ্ত) আছেন ১ হাজার ২০৮ জন। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন ৪৯ জন। বন্দীদের মধ্যে মুসলিম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী রয়েছে প্রায় ৫০০ জন। ঈদের দিন সকালে বন্দীদের দেওয়া হয় সেমাই ও মুড়ি। ওই দিন কারা অভ্যন্তরে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন কয়েদিরা। তবে বৃষ্টির কারণে কারাগারের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও হালদা ভবনে আলাদাভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেন বন্দীরা।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের উপকারাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন জানান, নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলি করেন। দুপুরে বন্দীদের খেতে দেওয়া হয় ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ। রাতে পোলাও, মাংস, পান-সুপারি ও চমচম পরিবেশন করা হয় বন্দীদের মধ্যে। ঈদের পর মঙ্গলবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গানের সুরে ঈদ আনন্দে মেতে ওঠেন বন্দীরাl ছবি: সংগৃহীত |
কারাধ্যক্ষ
মাহবুবুল ইসলাম জানান, কারাগারের কেস টেবিলের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়।
মঞ্চে বন্দীরা গান পরিবেশন করেন। কয়েদি মনির ‘তীরহারা ওই ঢেউয়ের সাগর’,
মিন্টু ‘তোরে পুতুলের মতো করে’ গেয়ে সবাইকে আনন্দ দেন। হাজতি সৌমিত্র
বড়ুয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামি সন্তোষ কুমারসহ ভিন্নধর্মাবলম্বী বন্দীরাও
মেতেছিলেন ঈদ উৎসবে। এদিকে ঈদের দিন সকাল থেকে গত সোমবার পর্যন্ত কারাগারের
সাক্ষাৎকক্ষে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ভিড়। খুশির দিনে স্বজনকে একনজর
দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন অনেকেই। সারা বছর কারাগারে আটক
বন্দীদের বাইরে থেকে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ঈদ উপলক্ষে পরিবার থেকে আনা
খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। রাঙ্গুনিয়া থানার অপহরণ
মামলার আসামি মো. মোস্তফা ঈদের দুদিন আগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আসেন।
তাঁর জন্য খাবার নিয়ে এসেছেন তাঁর ভাই মো. করিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন,
‘ভাইকে মায়ের রান্না করা খাবার দিতে পেরেছি। একনজর দেখতেও পেরেছি। এটাই
আমার ঈদের আনন্দ।’
No comments