পানিবন্দী লাখো মানুষ, দুজনের মৃত্যু
প্রবল
বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কক্সবাজারের
চকরিয়ায় পানিতে ভেসে গিয়ে শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই দিন
ধরে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গতকাল
রোববার সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে
গেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার গ্রামীণ সড়কগুলো।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, নোয়াখালী ও ফেনীতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে
লাখো মানুষ।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চকরিয়া ও পেকুয়া: চকরিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনি জানান, উপজেলার অভ্যন্তরীণ সব সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ২০ একর আমনের বীজতলা।
ইউএনও জানান, উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, পানিতে ভেসে গিয়ে এক বৃদ্ধ ও এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিলখালী ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রাম, পেকুয়া ইউনিয়নের ১৮ গ্রাম, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম, টৈটং ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম ও উজানটিয়া ইউনিয়নের আটটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিনি জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান জানান, উপজেলার ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যাদুর্গত লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, উপজেলার অন্তত ১০ একর আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বান্দরবান: ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার সাত উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ আছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সদর, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার তিনটি বড় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা শহরের নিচু এলাকাগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার লোকজনকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের ওয়াপদা ব্রিজ, ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, কাশেমপাড়া, হাফেজগোনা, উজানিপাড়া ও বাসস্টেশন এলাকা পানিতে ডুবে আছে।
বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় জেলা সদরের সঙ্গে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা সদর ও আশপাশের নিচু এলাকা ডুবে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ জানান, উপজেলার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চকরিয়া ও পেকুয়া: চকরিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে উপজেলার অন্তত ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তিনি জানান, উপজেলার অভ্যন্তরীণ সব সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ২০ একর আমনের বীজতলা।
ইউএনও জানান, উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, পানিতে ভেসে গিয়ে এক বৃদ্ধ ও এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিলখালী ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রাম, পেকুয়া ইউনিয়নের ১৮ গ্রাম, বারবাকিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম, টৈটং ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম ও উজানটিয়া ইউনিয়নের আটটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিনি জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পেকুয়ার ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খান জানান, উপজেলার ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যাদুর্গত লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, উপজেলার অন্তত ১০ একর আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বান্দরবান: ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার সাত উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ আছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। সদর, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলার তিনটি বড় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা শহরের নিচু এলাকাগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার লোকজনকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের ওয়াপদা ব্রিজ, ইসলামপুর, আর্মিপাড়া, কাশেমপাড়া, হাফেজগোনা, উজানিপাড়া ও বাসস্টেশন এলাকা পানিতে ডুবে আছে।
বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ায় জেলা সদরের সঙ্গে থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা সদর ও আশপাশের নিচু এলাকা ডুবে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমদ জানান, উপজেলার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার:
কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা, টেকপাড়া ও বার্মিজ মার্কেট এলাকার দুই
কিলোমিটার প্রধান সড়ক কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে গেছে
পাঁচ শতাধিক দোকানে।
রামু উপজেলার মিঠাপানিরছড়া এলাকার তিন কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় গতকাল সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁকখালী নদীর পানি উপচে দুই তীরের ২১টি গ্রামের অন্তত সাত হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার নারী-শিশুকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, উপজেলার ৩০ গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। উপজেলার পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উখিয়ার ১২টি গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সাতকানিয়া: ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে শনিবারের মতো গতকালও কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক, সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক ও সাতকানিয়া-চুনতি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতকানিয়ার বড়দুয়ারা ও দস্তিদারহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, উপজেলার ২৮২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এতে ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বান্দরবান সড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে গেছে। এ কারণে বান্দরবানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে।
গতকাল সকালে সাতকানিয়া পৌর এলাকার জেলেপাড়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউএনওর বাসভবনসহ উপজেলা সদরের কোথাও কোমরসমান আবার কোথাও হাঁটুপানিতে ডুবে আছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্যমতে, উপজেলার অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ: টেকনাফের ইউএনও শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় গতকাল দুপুর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সদর, হ্নীলা, বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ জানান, উপজেলার হ্নীলা, সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
নোয়াখালী: গতকাল দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এদিকে সেনবাগের ইউএনও উদয়ন দেওয়ান জানান, কেশারপাড় ও ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন দুটির বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক দুই-তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি জানান, বন্যার কারণে উপজেলার ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সেনবাগের একাধিক বাসিন্দা জানান, অনেক বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের খামার ও পুকুরের মাছ।
রামু উপজেলার মিঠাপানিরছড়া এলাকার তিন কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় গতকাল সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম জানান, প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁকখালী নদীর পানি উপচে দুই তীরের ২১টি গ্রামের অন্তত সাত হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার নারী-শিশুকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম রহিম উল্লাহ জানান, উপজেলার ৩০ গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দী। উপজেলার পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উখিয়ার ১২টি গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সাতকানিয়া: ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে শনিবারের মতো গতকালও কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক, সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়ক ও সাতকানিয়া-চুনতি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতকানিয়ার বড়দুয়ারা ও দস্তিদারহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, উপজেলার ২৮২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এতে ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, বান্দরবান সড়কের কয়েকটি স্থানে পানি উঠে গেছে। এ কারণে বান্দরবানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে।
গতকাল সকালে সাতকানিয়া পৌর এলাকার জেলেপাড়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউএনওর বাসভবনসহ উপজেলা সদরের কোথাও কোমরসমান আবার কোথাও হাঁটুপানিতে ডুবে আছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্যমতে, উপজেলার অন্তত চার লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ: টেকনাফের ইউএনও শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় গতকাল দুপুর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সদর, হ্নীলা, বাহারছড়া ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ জানান, উপজেলার হ্নীলা, সাবরাং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
নোয়াখালী: গতকাল দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
এদিকে সেনবাগের ইউএনও উদয়ন দেওয়ান জানান, কেশারপাড় ও ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়ন দুটির বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক দুই-তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি জানান, বন্যার কারণে উপজেলার ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সেনবাগের একাধিক বাসিন্দা জানান, অনেক বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের খামার ও পুকুরের মাছ।
টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন সড়ক হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। পানি ঠেলে চলতে হচ্ছে মানুষকে। গতকাল সকাল নয়টায় দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে তোলা ছবি l সৌরভ দাশ |
ফেনী:
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মোহরবাগ, কশুল্যা,
রঘুনাথপুর, গোতমখালী, সেকান্দরপুর, নারায়ণপুর, শরিফপুর ও কৈখালী; সদর
উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর ও উত্তর খানেবাড়ী
এবং পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের জগৈরগাঁও ও এলাহিগঞ্জ গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির
অবনতি হয়েছে। ভেসে গেছে মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের চাপে গত শনিবার ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফুলগাজী বাজার এবং ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, সাহাপাড়া ও জগৎপুর প্লাবিত হয়। গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।
গতকাল ফুলগাজীতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামাণিক জানান, গতকাল সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনীতে ৬৫৭ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৬০৫ হেক্টর আউশ ধানের ফসল ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান জানান, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পটিয়া: গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নে শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাটিখাইন ও পৌর এলাকায় বাঁধের আরও কয়েকটি স্থান ঝুঁকির মধ্যে আছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। বাকিগুলো আংশিক প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ পরিবারের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার দুই হাজারের বেশি পুকুর ও খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী ও নোয়াখালী অফিস, বান্দরবান, পটিয়া ও সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম), টেকনাফ ও চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি}
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের চাপে গত শনিবার ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফুলগাজী বাজার এবং ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, সাহাপাড়া ও জগৎপুর প্লাবিত হয়। গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।
গতকাল ফুলগাজীতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামাণিক জানান, গতকাল সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনীতে ৬৫৭ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৬০৫ হেক্টর আউশ ধানের ফসল ও ৫০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান জানান, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পটিয়া: গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নে শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। ভাটিখাইন ও পৌর এলাকায় বাঁধের আরও কয়েকটি স্থান ঝুঁকির মধ্যে আছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। বাকিগুলো আংশিক প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ পরিবারের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার দুই হাজারের বেশি পুকুর ও খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
{প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, কক্সবাজারের নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী ও নোয়াখালী অফিস, বান্দরবান, পটিয়া ও সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম), টেকনাফ ও চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি}
No comments