চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্তরা by সুজন ঘোষ
চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের জন্য এক বছর আগে মধ্যম হালিশহরের মৃত আবুল বশরের ১৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। জমি ও স্থাপনা বাবদ তাঁর পরিবারের পাওনা এক কোটি সাত লাখ টাকা। গত সেপ্টেম্বরে এই টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো ক্ষতিপূরণের অর্থ পায়নি পরিবারটি। আবুল বশরের পরিবারের মতো আরও অন্তত ৫০টি পরিবার জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পায়নি।
মৃত আবুল বশরের ছেলে আবুল হাসান বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া বন্ধ রাখতে একটি পক্ষ হাইকোর্টে রিট করেছেন। এখন আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে টাকা বুঝে পাচ্ছি না।’
সিডিএ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করতে এবং ক্ষতিপূরণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত বছরের ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বিবি হালিমা গং নামের একটি পক্ষ। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী আগস্ট পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ফলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কাউকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে না।
সিডিএ সূত্র জানায়, নগরের পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সাগর পাড়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়ক নির্মাণ করছে সিডিএ। প্রকল্পের জন্য ১১৫ পরিবারের কাছ থেকে ১২৬ দশমিক ৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৯৩ কোটি টাকা।
সিডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখাকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪০৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ একর জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কাজী হাসান বিন শামস বলেন, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দেখভাল করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। তাই এ ক্ষেত্রে সিডিএর কিছু করণীয় নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকেরা বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও সিডিএর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে তাঁরা ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। কবে টাকা বুঝে পাবেন, তার কোনো সুনির্দিষ্ট জবাবও কেউ দিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালত নির্দেশ দিলে টাকা পরিশোধ করতে কোনো আপত্তি নেই। তিনি জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞার আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অর্ধেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
রিট মামলার বাদী বিবি হালিমার ছেলে রকিবুল হাসান বলেন, ‘ভুল জরিপের ভিত্তিতে আমাদের পূর্বপুরুষদের জমির মালিকানা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করা এবং এর আগে কাউকে ক্ষতিপূরণের অর্থ না দেওয়ার জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।’
মৃত আবুল বশরের ছেলে আবুল হাসান বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া বন্ধ রাখতে একটি পক্ষ হাইকোর্টে রিট করেছেন। এখন আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে টাকা বুঝে পাচ্ছি না।’
সিডিএ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করতে এবং ক্ষতিপূরণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত বছরের ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বিবি হালিমা গং নামের একটি পক্ষ। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী আগস্ট পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ফলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কাউকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিচ্ছে না।
সিডিএ সূত্র জানায়, নগরের পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সাগর পাড়ে ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়ক নির্মাণ করছে সিডিএ। প্রকল্পের জন্য ১১৫ পরিবারের কাছ থেকে ১২৬ দশমিক ৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৯৩ কোটি টাকা।
সিডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখাকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৪০৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ একর জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কাজী হাসান বিন শামস বলেন, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দেখভাল করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। তাই এ ক্ষেত্রে সিডিএর কিছু করণীয় নেই।
ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকেরা বলেন, ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও সিডিএর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে তাঁরা ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। কবে টাকা বুঝে পাবেন, তার কোনো সুনির্দিষ্ট জবাবও কেউ দিচ্ছে না।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালত নির্দেশ দিলে টাকা পরিশোধ করতে কোনো আপত্তি নেই। তিনি জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞার আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অর্ধেককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
রিট মামলার বাদী বিবি হালিমার ছেলে রকিবুল হাসান বলেন, ‘ভুল জরিপের ভিত্তিতে আমাদের পূর্বপুরুষদের জমির মালিকানা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই জমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করা এবং এর আগে কাউকে ক্ষতিপূরণের অর্থ না দেওয়ার জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।’
No comments